বাংলা ভাষায় হাদিস এক্সপ্লোরার مكتشف الحديث باللغة الإنجليزية
       

 
Hadith   2   الحديث
الأهمية: دخل علينا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حين توُفِّيَتْ    ابنته، فقال: اغْسِلْنَهَا ثلاثًا، أو خمسًا، أو أكثر من ذلك -إن رَأَيْتُنَّ ذلك- بماء وَسِدْرٍ، واجعلن في الأخيرة كافورًا -أو شيئًا من كافور- فإذا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي
থিম: আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা (যায়নাব) রাদিয়াল্লাহু <�আনহা ইন্তিকাল করলে তিনি আমাদের নিকট এসে বললেন : তোমরা তাকে তিনবার বা পাঁচবার বা প্রয়োজন মনে করলে তার চেয়ে অধিকবার বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল দাও। শেষবারে কর্পুর বা (তিনি বলেছেন) কিছু কর্পুর ব্যবহার করবে। তোমরা শেষ করে আমাকে খবর দাও।

عن أُمّ عَطِيَّةَ الأنصارية -رضي الله عنها- قالت: �دخل علينا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حين تُوُفِّيَتْ    ابنته، فقال: اغْسِلْنَهَا ثلاثا، أو خمسا، أو أكثر من ذلك -إن رَأَيْتُنَّ ذلك- بماء وَسِدْرٍ، واجْعَلْنَ في الأخيرة كافُورا -أو شيئا من كافور- فإذا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي �. فلما فَرَغْنَا آذَنَّاهُ، فأعطانا حَقْوَهُ، وقال: أَشْعِرْنَهَا بِهِ -تعني إزاره-.
وفي رواية �أو سَبْعا�، وقال: � ابْدَأْنَ بِمَيَامِنِهَا ومَواضِعِ الوُضوء منها� وإن أُمّ عَطِيَّةَ قالت: وجعلنا رأسها ثلاثة قُرُون�.

উম্মু আতিয়্যাহ্ আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা (যায়নাব) রাদিয়াল্লাহু <�আনহা ইন্তিকাল করলে তিনি আমাদের নিকট এসে বললেন : তোমরা তাকে তিনবার বা পাঁচবার বা প্রয়োজন মনে করলে তার চেয়ে অধিকবার বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল দাও। শেষবারে কর্পুর বা (তিনি বলেছেন) কিছু কর্পুর ব্যবহার করবে। তোমরা শেষ করে আমাকে খবর দাও। আমরা শেষ করার পর তাঁকে জানালাম। তখন তিনি তাঁর চাদরখানি আমাদেরকে দিয়ে বললেন : এটি তাঁর শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে দাও। অপর বর্ণনায় বর্ণিত: �অথবা সাত বার� এবং তিনি বলেন, তার ডান দিক থেকে এবং ওযূর অঙ্গগুলো থেকে আরম্ভ কর।� আর উম্মে আতিয়্যাহ রদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমরা তার চুলকে তিনটি বেনি করি।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لما تُوُفيت    زينب -رضي الله عنها-، وهي بنت النبي -صلى الله عليه وسلم- ، دخل النبي -صلى الله عليه وسلم- على النسوة اللاتي يغسلنها، وفيهن "أم عطية الأنصارية" ليعلمهن صفة غسلها، لتخرج من هذه الدنيا إلى ربها، طاهرة نقية فقال: اغسلنها ثلاثاً، أو خمسا، ليكون قطع غسلهن على وتر أو أكثر من ذلك، إن رَأيْتُنَّ أنها تحتاج إلى الزيادة على الخمس، وأنه لازم.
وليكون الغسل أنقى، والجسد أصلب، اجعلن مع الماء سدراً، وفي الأخيرة كافورا، لتكون مطيبة بطيب يبعد عنها الهوام، ويشد جسدها، ووصاهن أن يبدأن بأشرف أعضائها، من الميامن، وأعضاء الوضوء، وأمرهن - إذا فرغن من غسلها على هذه الكيفية- أن يخبرنه.
فلما فرغن وأعلمنه، أعطاهن إزاره الذي باشر جسده الطاهر، ليشعرنها إياه، أي ليكون مما يلي جسدها، فيكون بركة عليها في قبرها، وقد نقضت النسوة اللاتي يغسلن زينب رأسها وغسلنه وجعلنه ثلاثة قرون الناصية قرن والجانبان قرنان وألقينه خلفها.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেয়ে যয়নব মারা যাওয়ার পর তিনি তাকে যারা গোসল দিচ্ছেন তাদের নিকট প্রবেশ করলেন, তাদের গোসলের পদ্ধতি শেখানোর উদ্দেশ্যে যাতে এ দুনিয়া থেকে তার রবের কাছে পুত পবিত্র অবস্থায় বের হয়। আর তাদের মধ্যে ছিলেন, উম্মে আতিয়্যাহ আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহা। তিনি তাদের বললেন, তোমরা তাকে তিনবার বা পাঁচবার বেজোড় গোসল দাও বা প্রয়োজন মনে করলে তার চেয়েও অধিকবার গোসল দাও। অর্থাৎ, যদি মনে করো পাঁচবারের বেশি প্রয়োজন তাহলে তাই করো। এটি অবশ্যই জরুরি যাতে তার গোসল পরিপূর্ণ হয় এবং শরীর পরিস্কার হয়। আর পানির সাথে বরই পাতা দাও এবং শেষবারে কর্পূর ব্যবহার করবে, যাতে এমন সুঘ্রাণ হয় যদ্বারা কীট প্রতঙ্গগুলো তার থেকে দূরে থাকে এবং তার দেহ শক্ত ও অক্ষত থাকে। তারপর তিনি তাদের নির্দেশ দেন যে, তারা যেন তার সম্মানিত অঙ্গ- ওযূর অঙ্গগুলো দ্বারা ডান দিক থেকে গোসল দেওয়া শুরু করেন। তারপর তিনি তাদের নির্দেশ দেন যে, এ পদ্ধতিতে তারা যখন তাকে গোসল দেওয়া শেষ করে তাকে যেন খবর দেয়। তারা যখন গোসল দেওয়া শেষ করল এবং তাকে সংবাদ দিল, তখন তিনি তাঁর চাদরখানি তাদেরকে দিয়ে দিলেন, যে চাদর দ্বারা সে তার পবিত্র দেহকে ডাকতেন। যাতে তা তার শরীরের সাথে জড়িয়ে দেয়। ফলে তা তার কবরে তার জন্য বরকত হবে। যে সব নারীগণ তাকে গোসল দিয়েছিল তারা তার মাথা খুলেন এবং তা ধুয়ে দেন। আর তার চুলকে তিনটি বেনি করেন। একটি কপালের বেনি আর দুটি দুই পাশের বেনি এবং তার চুলকে পিছনে ফেলে দেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 1751

 
Hadith   3   الحديث
الأهمية: حجَّ بي مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- في حجة الوداع، وأنا ابن سبع سنين
থিম: বিদায় হজে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে আমাকে নিয়ে হজ করা হয়েছে। আমি তখন সাত বছরের ছেলে।�

عن السَّائب بن يزيد -رضي الله عنهما- قال: �حُجَّ بي مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- في حجة الوداع، وأنا ابن سبع سنين�.

সায়েব ইবন ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �বিদায় হজে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে আমাকে নিয়ে হজ করা হয়েছে। আমি তখন সাত বছরের ছেলে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
السائب بن يزيد -رضي الله عنهما- صحابيٌّ صغير، حجَّ به أهْلُهُ على عهد النبي -صلى الله عليه وسلم- فأدرك حجة الوداع، وأقرهم النبي -عليه الصلاة والسلام- على الحج بالصبيان، وتُحسَبُ له حجة تطوع، لكن إذا بلغ يَلْزَمُهُ أن يحج مَرةً أخرى حجة الإسلام، ويفعل الصَّبِيُّ في الحج مثل فعل الكبير من الإحرام والتَّجرُّد مِنَ المخِيطِ والتلبية ونحوها، فإذا عجز عنها فعلها عنه وَلِيُّهُ، كأبيه وأمه.
সায়িব ইবন ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু একজন ছোট সাহাবী। তার পরিবার তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে হজ করে এবং সে বিদায়ী হজ পায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে বাচ্চাদের নিয়ে হজ করার অনুমতি দেন। আর এটা তার নফল হজ হিসেবে গণ্য হবে। যখন সে বালেগ হবে তাকে পুণরায় ফরয হজ করতে হবে। হজে বাচ্চারাও বড়দের মতো ইহরাম বাঁধবে, তালবিয়া পাঠ করবে, সিলাই করা কাপড় পরা থেকে বিরত থাকবে এবং অন্যান্য সব কাজই করবে। যদি কোনো কর্ম করতে অক্ষম হয় তবে তার অভিভাবক যেমন মাতা ও পিতা তার পক্ষ থেকে সেটা আদায় করবে। আত-তাওযীহ শরহু জামে আস-সহীহ ১২/৪৭৩, উমদাতুল কারী, ১০/২১৮, ইবন উসাইমীন এর শরহু রিয়াদুস সালেহীন ৫/৩২৬-৩২৭।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2750

 
Hadith   4   الحديث
الأهمية: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حَج على رَحل وكانت زاملته
থিম: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহনে চড়ে হজ সমাধা করেন। আর ঐ বাহনটিই ছিল প্রয়োজনীয় যাবতীয় সাজ-সরঞ্জামের বাহক।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه-: أنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حَجَّ على رَحْلٍ وكانتْ زَامِلَتَهُ.

আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহনে চড়ে হজ্জ সমাধা করেন। আর ঐ বাহনটিই ছিল প্রয়োজনীয় যাবতীয় সাজ-সরঞ্জামের বাহক।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حجَّ النبيُّ -عليه الصلاة والسلام- على ظهر البعير من غير محملٍ وهو الشيء الذي يوضع على البعير، ولم يكن له بعيرٌ آخر يحمل عليه طعامه ومتاعه، بل يجعَلُهُ معه على هذا البعير،مما يدل على زهده وتقلله من الدنيا -عليه السلام-، والحديث لا يَدُلُّ على تحريم ركوب الدواب المريحة والفاخرة في الحج، وإن كان التقلُّلُ من الرفاهية والتنعم في الحج هو الأفضل اقتداءً برسول الله -صلى الله عليه وسلم-.
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম �মাহমাল� বিহীন (বসার গদি ছাড়াই) উটের পিঠে চড়ে হজ পালন করেছেন। উটের উপর রাখার গদিকে �মাহমাল� বলা হয়। খাদ্য-পানীয় ও আসবাব-পত্র বহন করার তার দ্বিতীয় কোনো উট ছিল না। বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও স্বল্প পরিমাণ গ্রহণের প্রমাণ বহণ করে। তবে হাদীসটি দ্বারা হজে আরামদায়ক ও উন্নত যান-বাহন ব্যবহার করা হারাম হওয়ারর প্রমাণ বহন করে না। যদিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণ করে হজের মধ্যে ভোগ-বিলাস ও আরাম-আয়েশ কম করাই উত্তম।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2751

 
Hadith   5   الحديث
الأهمية: رباط يوم وليلة خير من صيام شهر وقيامه، وإن مات جرى عليه عمله الذي كان يَعمل، وأجري عليه رزقه، وأمن الفتان
থিম: একদিন ও একরাত সীমান্ত প্রহরায় রত থাকা একমাস সিয়াম ও কিয়াম অপেক্ষা উত্তম। আর যদি ঐ অবস্থায় মারা যায়, তাহলে তাতে ঐসব কাজের প্রতিদান দেওয়া হবে, যা সে পূর্বে করত এবং তার রিযিক অব্যাহত থাকবে এবং তাকে (কবরের) ফিৎনা থেকে মুক্ত রাখা হবে।

عن سلمان الفارسي -رضي الله عنه- مرفوعاً: �رباط يوم وليلة خير من صيام شهر وقيامه، وإن مات جرى عليه عمله الذي كان يعمل، وأُجْرِيَ عليه رزقه، وأَمِنَ الفَتَّانَ�.

সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �একদিন ও একরাত সীমান্ত প্রহরায় রত থাকা একমাস সিয়াম ও কিয়াম অপেক্ষা উত্তম। আর যদি ঐ অবস্থায় মারা যায়, তাহলে তাতে ঐসব কাজের প্রতিদান দেওয়া হবে, যা সে পূর্বে করত এবং তার রিযক অব্যাহত থাকবে এবং তাকে (কবরের) ফিৎনা থেকে মুক্ত রাখা হবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حراسة يوم وليلة في سبيل الله لحماية المسلمين خير من صيام شهر وقيام ليله، وإذا مات المجاهد بقي أجر عمله مستمراً لا ينقطع، و كذلك يرزق من الجنة ؛لأنه حي عند ربه في الجنة، وتحصل له كرامة بأن لا يأتيه الملكان ليسألاه، وذلك لأنه مات مرابطاً في سبيل الله -تعالى-، مع العلم أن الرباط من الجهاد في سبيل الله، لأنه ملازمة أماكن الحدود لحماية المسلمين من الكفار.
মুসলিমদের হিফাযতের জন্য একরাত ও একদিন পাহারাদারী করা একমাস সিয়াম ও কিয়াম থেকে উত্তম। মুজাহিদ যখন মারা যায় তার আমলের সাওয়াব চালু থাকে, বন্ধ হয় না। অনুরূপভাবে জান্নাত থেকে তাকে খাদ্য দেওয়া হয়। কারণ, সে জান্নাতে তার রবের নিকট জীবিত। তার আরও মর্যাদা লাভ হয় যে, দু�জন ফিরিশতা তাকে প্রশ্ন করার জন্য আসে না। কারণ, সে আল্লাহর রাস্তায় পাহারারত অবস্থায় মারা গেছেন। এ কথাও স্বীকৃত যে, পাহারা দেওয়া আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার নামান্তর। কারণ, পাহারাদারির অর্থই হচ্ছে কাফিরদের থেকে মুসলিমদের রক্ষা করার উদ্দেশ্যে সীমান্তে অবস্থান করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2752

 
Hadith   6   الحديث
الأهمية: عمرة في رمضان تعدل حجة - أو حجة معي
থিম: রমযানের মাসে ওমরাহ হজের বরাবর অথবা আমার সঙ্গে হজের বরাবর।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- مرفوعاً: �عمرة في رمضان تعدل حجة - أو حجة معي�.

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �রমযান মাসের ওমরাহ হজের সমতুল্য অথবা আমার সঙ্গে হজের সমতুল্য।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أداء عمرة في شهر رمضان يماثل أجرها أجر حجة تطوع أو حجة مع النبي -صلى الله عليه وسلم-، والمقصود في الشرف والأجر، لا أن العمرة في رمضان يحصل بها فريضة الحج.
রমযান মাসে ওমরার সাওয়াব নফল হজ বা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হজের সমতুল্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2753

 
Hadith   7   الحديث
الأهمية: كان النبي-صلى الله عليه وسلم- يعتكف في كل رمضان عشرة أيام، فلما كان العام الذي قبض فيه اعتكف عشرين يوما
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক রমযান মাসের (শেষ) দশদিন ই�তিকাফ করতেন। তারপর যে বছরে তিনি মারা যান, সে বছরে বিশ দিন ই�তিকাফ করেছিলেন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: كان النبي-صلى الله عليه وسلم- يعتكف في كل رمضان عشرة أيام، فلما كان العام الذي قُبِضَ فيه اعتكف عشرين يوماً.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক রমযান মাসের (শেষ) দশদিন ই�তিকাফ করতেন। তারপর যে বছরে তিনি মারা যান, সে বছরে বিশ দিন ই�তিকাফ করেছিলেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان النبيُّ -عليه الصلاة والسلام- يلزمُ المسجدَ مُنقطِعَاً لعبادة الله في كل رمضان عشرة أيامٍ، وكان يعتكف في العشر الأوسط منه رجاء إدراك ليلة القدر، فلما عَلِمَ أنها في العشر الأواخر منه اعتكفها، ثم اعتكف في العام الذي ماتَ فِيهِ عِشرين يوماً زيادة في الطاعة والتقرب لله -تعالى-.
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক রমযানের দশ দিন ইবাদতের জন্য ফারিগ হয়ে মসজিদকে আঁকড়ে ধরতেন। আর তিনি মাঝের দশদিন কদরের রাত পাওয়ার জন্য ইতেকাফ করতেন, যখন তিনি জানলেন যে কদরের রাত শেষ দশ দিনে তখন তিনি ঐ দশ দিনে ইতেকাফ করলেন। এরপর তিনি যে বছর মারা যান ঐ বছরে বিশদিন আল্লাহর অধিক আনুগত্য ও নৈকট্যের জন্যে ইতিকাফ করেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2754

 
Hadith   8   الحديث
الأهمية: كانت عكاظ، ومجنة، وذو المجاز أسوَاقًا في الجاهلية، فتأَثموا أن يتجروا في المواسم، فنزلت: ليس عليكم جناح أن تبتغوا فضلًا من ربكم
থিম: উক্কায, মাজিন্নাহ ও যুল-মাজায নামক স্থানগুলো (ইসলামপূর্ব) জাহেলী যুগের বাজার ছিল। ফলে সাহাবায়ে কেরাম সে মৌসুমগুলোতে ব্যবসা করাকে পাপ মনে করলেন। তার বৈধতার জন্যে অবতীর্ণ হলো, যার অর্থ, �(হজের সময়) তোমাদের জন্য তোমাদের রবের অনুগ্রহ কামনা (ব্যবসা-বাণিজ্যে) করায় কোনো দোষ নেই।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- قال:    كانت عُكَاظُ، ومَجِنَّةُ، وذُو المجَازِ أسوَاقَاً في الجاهلية، فَتَأَثَّمُوا أنْ يَتَّجِرُوا في المواسم، فنزلت: {ليس عليكم جناح أن تبتغوا فضلاً من ربكم} "البقرة" (198) في مواسم الحج.

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা কর্তৃক মারফূ� হিসেবে বর্ণিত, উকায, মাজিন্নাহ ও যুল-মাজায (ইসলামপূর্ব) জাহেলী যুগে প্রসিদ্ধ বাজার ছিল। ফলে সাহাবায়ে কেরাম (হজের) মৌসুমগুলোতে তথায় ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পাপ মনে করলেন। তাই অবতীর্ণ হলো, যার অর্থ, �(হজের সময়) তোমাদের জন্য তোমাদের রবের অনুগ্রহ কামনা করায় (অর্থাৎ ব্যবসা-বাণিজ্যে) কোনো দোষ নেই।� [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৮]

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كانت هذه الأماكن أسواقاً للمشركين من قبل الإسلام يُتَاجِرُون فيها في أيام الحج، فخاف الصحابة -رضي الله عنهم- أن يأثموا إذا تَاجَرُوا فيها في أيام الحج، فأنزل الله هذه الآية ليُبَيِّنَ لهم أنَّ التجارة في موسم الحج لا تُفْسِدُهُ مع أداء النسك على الوجه الشرعي، على أنَّ التجارة في الحج جائزةٌ، لكنَّ الأولى والأحسن التفرغ لأداء نسك الحج، فهذا هو الأفضل.
এ জায়গাগুলো মুশরিকদের বাজার ছিল। তারা হজের মৌসুমে এখানে ব্যবসা বাণিজ্য করতো। তাই হজের মৌসুমে তথায় ব্যবসা-বাণিজ্য করলে পাপী হবেন সাহাবীরা আশঙ্কা করলেন। তখন আল্লাহ তা�আলা এ আয়াত নাযিল করে তাদের জানিয়ে দেন যে, হজের মৌসুমে হজের আহকামগুলো শর�ঈ পদ্ধতিতে আদায় করে ব্যবসা করলে তাদের হজ নষ্ট হবে না। কারণ, হজের ভেতর ব্যবসা করা বৈধ। তবে উত্তম ও ভালো হচ্ছে হজের আহকামগুলো পালনের জন্য পুরোপুরি ফারেগ থাকা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2755

 
Hadith   9   الحديث
الأهمية: كل ميت يختم على عمله إلا المرابط في سبيل الله، فإنه يَنْمي له عمله إلى يوم القيامة، ويؤمن فتنة القبر
থিম: প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে সাথে তার আমল শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সীমান্ত প্রহরীর সাওয়াব বন্ধ হয় না। কিয়ামত পর্যন্ত তার আমলের সাওয়াব বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং সে কবরের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।

عن فَضَالَةُ بنُ عُبَيْدٍ وسلمان الفارسي وعقبة بن عامر الجهني -رضي الله عنهم- مرفوعاً: �كُلُّ مَيِّتٍ يُخْتَمُ على عَمَلِهِ إلا الُمرَابِطَ في سبيل الله، فإنه يَنْمِي لَهُ عَمَلَهُ    يوم القيامة، ويُؤَمَّنُ فتنة القبر�.

ফাদালাহ বিন উবাইদ, সালমান আল-ফারসী এবং উকবা ইবন আমের আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে মরফূ হিসেবে বর্ণিত, �প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে সাথে তার আমল শেষ হয়ে যায়, কিন্তু সীমান্ত প্রহরীর সাওয়াব বন্ধ হয় না। কিয়ামত পর্যন্ত তার আমলের সাওয়াব বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং সে কবরের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كُلُّ مَيِّتٍ يَنْقَطِعُ عَمَلُهُ بالموتِ فلا يُكْتَبُ لَهُ أجرٌ جديدٌ، إلا المرابِطَ في سبيل الله الذي يَحرِسُ حُدُودَ المسلمين،فإنَّ الله يُكْرِمُهُ ببقاءِ أجْرِ عَمَلِهِ،ويَأْمَنُ فِتنَةَ القَبْرِ فلا يسأله الملكان.
প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে সাথে তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তার জন্য আর কোনো নতুন সাওয়াব লিখা হয় না। কিন্তু সীমান্ত প্রহরীর সাওয়াব বাকী থাকে যারা মুসলিমদের সীমানা পাহারা দেয়। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তার আমলের সাওয়াব জারী রেখে তাকে সম্মানিত করেন এবং কবরের ফিতনা থেকে নিরাপদ রাখেন। সুতরাং দুই ফিরিশতা (মুনকার ও নাকির) তাকে কোনো প্রশ্ন করবে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2756

 
Hadith   10   الحديث
الأهمية: من حج، فلم يرفث، ولم يفسق، رجع كيوم ولدته أمه
থিম: যে ব্যক্তি হজ পালন করল এবং (তাতে) কোনো অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচার করল না, সে ব্যক্তি ঠিক ঐ দিনকার মত (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরল, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছেন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: �مَنْ حَجَّ، فلَمْ يَرْفُثْ، وَلم يَفْسُقْ، رَجَعَ كَيَوْمَ وَلَدْتُهُ أُمُّهُ�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মরফূ� হিসেবে বর্ণিত, �যে ব্যক্তি হজ পালন করল এবং (তাতে) কোন অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচার করল না, সে ব্যক্তি ঠিক ঐ দিনকার মত (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরল, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
مَنْ حَجَّ لله -تعالى- ولم يَصْدُرْ منه كلامٌ قبيحٌ ولا فعلٌ سيءٌ أثناء المناسك، ولم يأتِ بمعصيةٍ رَجَعَ مِنْ حَجِّهِ مَغْفُوراً له، كما يُولَدُ الصَّبِيُّ سَالماً من الذُّنُوب، وتكفيرُ الحجِّ للذُّنُوب والخطايا خاصٌّ بصغائر الذنوب، أما الكبائرُ فلا بُدَّ لها من التوبة.
যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ পালন করল এবং হজ পালনকালীন তার থেকে কোনো মন্দ কথা ও কাজ প্রকাশ পেলো না এবং সে কোনো পাপও করল না, সে তার হজ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরল, যেমন শিশু নিষ্পাপ হয়ে জন্ম লাভ করে। আর হজের কাফ্ফারা (গুনাহ মাপের বিষয়টি) ছোট গোনাহ ও ভুল-ত্রুটির সাথে নির্দিষ্ট, অন্যদিকে কবীরা গোনাহের জন্য তাওবা করা জরুরী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2758

 
Hadith   11   الحديث
الأهمية: لَكُنَّ أفضل الجهاد: حج مبرور
থিম: �তোমাদের (মহিলাদের) জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে �মাবরূর� হজ।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت:    قُلتُ: يا رَسُولَ الله، نَرَى الجهادَ أفضلَ العمل، أفلا نُجاهِد؟ فقال: �لَكُنَّ أفضلُ الجهادِ: حجٌّ مبرور�.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, �হে আল্লাহর রাসূল! আমরা জিহাদকে সর্বোত্তম আমল হিসেবে জানি, আমরা কি জিহাদ করব না?� তিনি বললেন, �তোমাদের (মহিলাদের) জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে �মাবরূর� হজ।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كانت أم المؤمنين عائشةُ -رضيَ الله عنها- والنساءُ معها يعتقدن أنَّ أفضل الأعمال وأكثرها أجراً الجهاد في سبيل الله ومقاتلة الأعداء، فأرشَدَهُنَّ -عليه الصلاة والسلام- إلى جهادٍ أفضل في حقهن من القتال، وهو الحج الذي لا إثم يخالطه، سُمِّيَ الحجُّ جهاداً لأنه جهادٌ للنفس، وفيه بذلٌ للمال وطاقة البدن.
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু <�আনহা ও তার সাথে নারীরা বিশ্বাস করত যে, সর্বোত্তম ও অধিক সাওয়াবের আমল হচ্ছে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও দুশমনদের সাথে যুদ্ধ করা, ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ক্ষেত্রে উত্তম আমলের নির্দেশনা দিলেন, আর সেটি হচ্ছে এমন হজ, যার সাথে পাপের সংমিশ্রন থাকে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2759

 
Hadith   12   الحديث
الأهمية: يا عباس، يا عم رسول الله، سلوا الله العافية في الدنيا والآخرة
থিম: হে আব্বাস, হে আল্লাহর রাসূলের চাচা! তোমরা আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা প্রার্থনা করো।

عن أبي الفضل العباس بن عبد المطلب -رضي الله عنه- قال: قلتُ: يا رسول الله عَلِّمْنِي شيئا أسأله الله -تعالى-، قال: �سَلُوا اللهَ َالعافية� فمكثتُ أياما،ً ثم جِئْتُ فقلتُ: يا رسول الله علمني شيئا أسأله الله -تعالى-، قال لي: �يا عباس، يا عَم رسول الله، سَلُوا الله العافية في الدنيا والآخرة�.

আবুল ফাদাল আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, �হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কিছু শিক্ষা দিন যা আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব। তিনি বললেন, �তোমরা আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করো। অত:পর কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আবার গেলাম এবং তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কিছু শিক্ষা দিন যা আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব। তিনি আমাকে বললেন, হে আব্বাস, হে আল্লাহর রাসূলের চাচা! তোমরা আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা প্রার্থনা করো।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذا الحديث من جوامع كلمه -صلى الله عليه وسلم-، فقد سأله عمه العباس -رضي الله عنه- أن يعلمه دعاءً، فعلمه دعاءً هو عبارة عن جملة قصيرة، شديدة الإيجاز عميقة الدلالة، استوعبت خير الدنيا والآخرة، وتنكير لفظ (شيئاً) للتعظيم؛ لأنه يريد شيئاً يسيراً قولياً يسأل الله به ليس به كلفة مع عظم الأجر فقال: �سلوا الله العافية�، وعدم تقييد العافية بشيء يجعلها عافية عامة تستلزم السلامة من كل شر دينوي وأخروي.
এ হাদীসটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু �আলাইহি ওয়াসালামের জাওয়ামে�উ কালিম (বক্তব্য সংক্ষেপ, অর্থ ব্যাপক) এর অন্তর্গত। এতে বাক্য অতি সংক্ষিপ্তাকারে বলা হয়, কিন্তু এর অর্থ অনেক গভীর ও ব্যাপক। হাদীসটিতে দুনিয়া ও আখিরাতের সব ধরণের কল্যাণ সন্নিবেশিত হয়েছে। এখানে শাইয়ান শব্দটি সম্মানার্থে অনিদিষ্টবাচক শব্দে ব্যবহৃত হয়েছে। কেননা বর্ণনাকারী এর দ্বারা উদ্দেশ্য করেছেন যে, তিনি অতি ছোট মৌখিক দো�আ শিখে এর দ্বারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে আর আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে অপরিসীম প্রতিদান দিবেন। অত:পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু �আলাইহি ওয়াসালাম বললেন, �তোমরা আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করো।� তিনি এখানে নিরাপত্তাকে কোন কিছুর সাথে নির্দিষ্ট করেন নি; বরং সাধারণ নিরাপত্তা চেয়েছেন যা দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় অকল্যাণ থেকে নিরাপত্তা লাভ অত্যাবশ্যক করে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ লিগাইরিহী]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2932

 
Hadith   13   الحديث
الأهمية: إذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلا يَمْسَحْ يَدَهُ حَتَّى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا
থিম: যখন তোমাদের কেউ খাবার খায় তখন সে তার হাত নিজে চাটা অথবা চাটানো ছাড়া হাত মুছবে না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ -رضي الله عنهما- أَنَّ النَّبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ: ��إذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلا يَمْسَحْ يَدَهُ حَتَّى يَلْعَقَهَا، أَوْ يُلْعِقَهَا�.

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যখন তোমাদের কেউ খাবার খায় তখন সে তার হাত নিজে চাটা অথবা চাটানো ছাড়া হাত মুছবে না�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أمر النَّبِي -صلى الله عليه وسلم- مَنْ أكل طَعَاماً ألا يَمْسَحَ يده أَو يغسلها حتى يَلْعَقَها أَو يُلْعِقَها، وقد جاءت علة هذا في بعض الروايات أَنَّهُ لا يَدْرِي في أيّ طَعامِه الْبَرَكَة، ومِنْ أَجْلِ ذَلِك أَمَرَ النَّبي -صلى الله عليه وسلم- بِلَعْقِ الأَصَابِعِ فَلَعَلَّ الْبَرَكَة فِيمَا عَلِقَ بِها مِنْ الطَّعَام.
যে ব্যক্তি খাবার খায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এ নির্দেশ দেন যে, সে যেন তার হাত নিজে চাটা বা চাটানো ছাড়া না মুছে বা না ধোয়। কারণ, সে জানে না খাবারের কোন অংশে বরকত নিহিত। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঙ্গুল ছাটার নির্দেশ দেন। হতে পারে বরকত খাদ্যের যে অংশ আঙ্গুলের সাথে লেগে আছে তাতেই রয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2935

 
Hadith   14   الحديث
الأهمية: إذَا جَمَعَ الله -عَزَّ وَجَلَّ- الأَوَّلِينَ وَالآخَرِينَ: يُرْفَعُ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ، فَيُقَالُ: هَذِهِ غَدْرَةُ فُلانِ بْنِ فُلانٍ
থিম: কিয়ামতের দিনে প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে (বিশেষ) পতাকা নির্দিষ্ট হবে। বলা হবে যে, এটা অমুকের ছেলে অমুকের গাদ্দারির প্রতীক।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- مرفوعاً: "إذا جمع الله -عز وجل- الأَوَّلِينَ والآخِرين: يرفع لكل غادر لِوَاءٌ، فيقال: هذه غَدْرَةُ فلان بن فلان".

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত �কিয়ামতের দিনে প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে (বিশেষ) পতাকা নির্দিষ্ট হবে। বলা হবে যে, এটা অমুকের ছেলে অমুকের গাদ্দারির প্রতীক।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
إذا جمع الله الأولين والآخرين يوم القيامة جيء بكل غادر ومعه علامة غدرته، وهي اللواء المقترن به، فيفتضح بها بين الناس.
কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা�আলা যখন পূর্বের ও পরের সবাইকে একত্র করবেন তখন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতককে উপস্থিত করা হবে। আর তার সাথে থাকবে তার ঘাতকতার নির্দশন। আর তা হলো পতাকা যা তার সাথে মিলিত হবে, তা দ্বারা মানুষের সামনে তাকে অপধস্থ করা হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2936

 
Hadith   15   الحديث
الأهمية: أن عمر بن الخطاب اسْتَشَارَ النَّاسَ فِي إمْلاصِ الْمَرْأَةِ
থিম: উমার ইবনুল খাত্তাব নারীকে অকালে গর্ভপাত করানো সম্পর্কে মানুষের কাছে পরামর্শ চাইলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ -رضي الله عنه- أَنَّهُ اسْتَشَارَ النَّاسَ فِي إمْلاصِ الْمَرْأَةِ، فَقَالَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ: �شَهِدْت النَّبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- قَضَى فِيهِ بِغُرَّةٍ- عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ- فَقَالَ: ائتني بِمَنْ يَشْهَدُ مَعَك، فَشَهِدَ مَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ�.

উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নারীকে অকালে গর্ভপাত করানো সম্পর্কে মানুষের কাছে পরামর্শ চাইলেন। তখন মুগীরাহ ইবন শু�বা বললেন, এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি গোলাম অথবা একটি বাঁদি দ্বারা ফায়সালা করার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখন সে বলল, তোমার সাথে আরও যারা উপস্থিত ছিল তাদের নিয়ে আসো। তখন তার সাথে মুহাম্মাদ ইবন মাসলামহ সাক্ষী দিলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
وضعَت امرأة ولدها ميتاً قبلَ أوان الولادة على إثر جنايةٍ عليها.
وكان من عادَة الخليفة العادل عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- أن يستَشير أصحابه وعلماءَهم في أموره وقضاياه فحين أسقطت هذه المرأة جنيناً ميتاً غيرَ تامٍّ، أشكل عليه الحكم في ديته، فاستشار الصحابة -رضي الله عنهم- في ذلك.
فأخبرَه المغيرةُ بن شعبة أنه شهِد النبي -صلى الله عليه وسلم- قضَى بدية الجنين "بغرَّة" عبد أو أمة.
فأراد عمر التَّثبُتَ من هذا الحكم، الذي سيكون تشريعاً عاماً إلى يوم القيامة.
فأكَّد على المغيرة أن يأتي بمن يشهد على صدق قوله وصحة نقله، فشهد محمد بن مسلمة الأنصاري على صدق ما قال، -رضي الله عنهم أجمعين-.

থিম: একজন মহিলার ওপর নির্যাতন করার ফলে সে নিজের গর্ভের সন্তান প্রসবের সময় আসার আগেই মৃত অবস্থায় প্রসব করে। ন্যায় পরায়ণ খলীফা উমার ইবনুল খাত্তাব তার যাবতীয় কর্মে ও বিচার কার্যে সিদ্ধান্ত নিতে সাহাবীগণ ও উলমাদের পরামর্শ গ্রহণ করতেন। এ মহিলাটি যেহেতু তার গর্ভজাত সন্তানকে অসম্পূর্ণ অবস্থায় মৃত গর্ভপাত করল তার দিয়্যতের বিধানটি তার কাছে অস্পষ্ট রইল। তাই তিনি সাহাবীগণের পরামর্শ নিলেন। তখন মুগীরাহ ইবন শু�বা রাদিয়াল্লাহ �আনহু সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গর্ভজাত সন্তানের দিয়ত একটি গোলাম অথবা একটি বাঁদি দ্বারা ফায়সালা করেন। তারপর উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু এ হুকুমটি সম্পর্কে নিশ্চিত হইতে চাইলেন যা কিয়ামত পর্যন্তের জন্য একটি সামগ্রিক আইনে পরিণত হবে। তখন তিনি মুগীরাহকে তাগীদ দিলেন যেন সে তার কথার সত্যতার ওপর ও তার বর্ণনার বিশুদ্ধতার ওপর সাক্ষী উপস্থিত করে। তখন মুহাম্মাদ ইবন মুসলামাহ আল-আনসারী সে যা বলেছে তার সত্যতার ওপর সাক্ষ্য প্রদান করেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2937

 
Hadith   16   الحديث
الأهمية: اسْتَفْتَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ رَسُولَ الله فِي نَذرٍ كَانَ عَلَى أُمهِ، تُوُفِّيَتْ قَبْلَ أَنْ تَقْضِيَهُ، قَالَ رَسُولُ الله-صلى الله عليه وسلم-: فَاقْضِهِ عَنْها
থিম: সা�দ ইবনু উবাদা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তার মায়ের একটি মান্নত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, যা পূর্ণ করার আগেই তার মা মারা যান। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি তার পক্ষ থেকে তা পূর্ণ করো।

عن عَبْدُ الله بْنُ عَبَّاسٍ -رضي الله عنه- قال: �استَفْتَى سعد بن عُبَادَةَ رسول الله في نَذْرٍ كان على أمِّه، تُوُفِّيَتْ قبل أَنْ تقضيَهُ، قال رسول الله-صلى الله عليه وسلم-: فاقْضِهِ عنها�.

ইবনু �আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত। সা�দ ইবনু উবাদা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তার মায়ের একটি মান্নত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, যা পূর্ণ করার আগেই তার মা মারা যান। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি তার পক্ষ থেকে তা পূর্ণ করো।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
تُوفِيَت أُمُّ سَعْدٍ ولَمْ تَقْضِ نَذْراً عَلَيْهَا، فسأل ابْنُها سَعْدُ بْنُ عُبَادَة النَّبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- أَنْ يَقْضِيَهُ عَنْهَا، فأجاز له ذلك، وقال: (اقضه عنها).
থিম: সা�আদের মা মারা গেল, অথচ তার ওপর থাকা মান্নত সে পুরো করতে পারেনি, তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ছেলে সা�আদ ইবন উবাদাহকে নির্দেশ দিলেন সে যেন তার মায়ের পক্ষ থেকে তা পূরণ করে দেয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2938

 
Hadith   17   الحديث
الأهمية: أَتَى النَّبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- عَيْنٌ مِنْ الْمُشْرِكِينَ، وَهُوَ فِي سَفَرِه
থিম: রাসূলুল্লাহর নিকট মুশরিকদের একজন গুপ্তচর উপস্থিত হলো। তখন তিনি সফরে ছিলেন।

عن سلمة بن الأكوع -رضي الله عنه- قال: �أَتَى النَّبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- عَيْنٌ مِنْ الْمُشْرِكِينَ، وَهُوَ فِي سَفَرِهِ، فَجَلَسَ عِنْدَ أَصْحَابِهِ يَتَحَدَّثُ، ثُمَّ انْفَتَلَ، فَقَالَ النَّبِيُّ -صلى الله عليه وسلم-: اُطْلُبُوهُ وَاقْتُلُوهُ فَقَتَلْتُهُ، فَنَفَّلَنِي سَلَبَهُ�.
فِي رِوَايَةٍ �فَقَالَ: مَنْ قَتَلَ الرَّجُلَ؟ فَقَالُوا: ابْنُ الأَكْوَعِ فَقَالَ: لَهُ سَلَبُهُ أَجْمَعُ�.

সালমা ইবনুল আকওয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, �রাসূলুল্লাহর নিকট মুশরিকদের একজন গুপ্তচর উপস্থিত হলো। তখন তিনি সফরে ছিলেন। সে সাহাবীদের সাথে বসে কথা বলছিল। অতঃপর সে চলে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তাকে তালাশ কর এবং তাকে হত্যা কর। ফলে আমি তাকে হত্যা করলাম। তারপর তিনি তার মাল সামানাহ নফল হিসেবে আমাকে প্রদান করলেন�। অপর বর্ণনায় বর্ণিত, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, �লোকটিকে কে হত্যা করল? তারা বলল, ইবনুল আকওয়া, তারপর বলল, তার জন্য তার সব মাল-সামানাহ�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذا الحديث في بيان حكم الإسلام فيمن يتجسس على المسلمين من الكفار الحربيين؛ فقد أخبر سلمة بن الأكوع -رضي الله عنه-، قال: "أتى النبي -صلى الله عليه وسلم- عين من المشركين" العين الجاسوس سمي به؛ لأن عمله بالعين، أو لشدة اهتمامه بالرؤية واستغراقه فيها كأن جميع بدنه صار عينا. "وهو": أي والحال أن النبي -صلى الله عليه وسلم- "في سفر، فجلس أي: الجاسوس، عند أصحابه يتحدث، ثم انفتل أي: انصرف، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: اطلبوه واقتلوه فقتلته، أي: فطلبته فوجدته فقتلته، فنَفَّلَنِي أي: أعطاني نفلًا، وهو ما يخص به الرجل من الغنيمة، ويزاد على سهمه، "سَلَبه": أي: ما كان عليه من الثياب والسلاح سمي به؛ لأنه يسلب عنه، ويدخل في السلب: المركب وما عليه من السرج والآلة، وما معه على الدابة من مال، وما على وسطه من ذهب وفضة.
এ হাদীসটিতে মুসলিম বিরোধী কাফিরদের পক্ষ থেকে যারা মুসলিমদের বিষয়ে গোয়েন্দাগিরী করে ইসলামে তাদের বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সালমা ইবন আকওয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহর নিকট মুশরিকদের একজন গুপ্তচর উপস্থিত হলো। আঈন-চোখ অর্থ গুপ্তচর। কারণ, তার কর্ম সাধারণত চোখ দিয়ে হয়ে থাকে। অথবা দেখার প্রতি তার গুরুত্ব বেশি হওয়া এবং তাতে সে অধিক মগ্ন হওয়ার কারণে তার পুরো দেহই যেন চোখ হয়ে গেছে। আর তিনি অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি সফরে ছিলেন। সে বসে পড়ল আর সাহাবীদের সাথে কথা বলছিল। অতঃপর সে চলে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তাকে তালাশ কর এবং তাকে হত্যা কর। ফলে আমি তাকে তালাশ করলাম তারপর তাকে পেয়ে হত্যা করলাম। তার মাল সামানাহ তিনি নফল হিসেবে আমাকে প্রদান করলেন। অর্থাৎ, আমাকে নফল দান করলেন। আর নফল হলো, কোন মানুষের জন্য গণীমতের মালকে খাস করা এবং তাকে তার অংশের ওপর কিছু অতিরিক্ত দেওয়া। সালাবুহু অর্থাৎ, তার নিকট কাপড়, অস্ত্র ইত্যাদি যা ছিল তাকে �সালাব� বলে নাম করণ করা হয়েছে। কারণ, তা তার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সাওয়ারী, তার উপর বিছানো বিছানা, অস্ত্র, বাহনের ওপর রাখা মালামাল এবং তার মাঝে থাকা স্বর্ণ ও চাঁদি সবই সালারেব অর্ন্তভুক্ত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2939

 
Hadith   18   الحديث
الأهمية: أَلا أُنَبِّئكُمْ بِأَكْبَرِ الكَبَائِرِ
থিম: আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় (কবীরাহ) গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দেবো না?

عن أبي    بَكْرَةَ- رضي الله عنه - عن النبي -صلى الله عليه وسلم- أنه قال: �أَلا أُنَبِّئُكم بِأَكْبَرِ الْكَبَائِر؟�- ثَلاثا- قُلْنَا: بَلى يا رسول الله، قَالَ: �الإِشْرَاكُ بِالله وَعُقُوقُ الوالدين، وكان مُتَّكِئاً فَجَلس، وَقَال: ألا وَقَوْلُ الزور، وَشهَادَةُ الزُّور�، فَما زال يُكَرِّرُها حتى قُلنَا: لَيْتَه سَكَت.

আবূ বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, �আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় (কবীরাহ) গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দেবো না?� তিনবার বললেন। আমরা বললাম, অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন, �আল্লাহর সাথে শরীক করা, মাতা-পিতার নাফরমানী করা, তিনি হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন, তারপর উঠে বসলেন এবং বললেন, সাবধান! মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।� তিনি কথাটি বার বার বলতেছিলেন। এমনকি আমরা বললাম, যদি তিনি চুপ হতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال لأصحابه: ألا أنبئكم أي أخبركم بأكبر الكبائر فذكر هذه الثلاث التي هي الإشراك بالله، وهو اعتداء على مقام الألوهية، وأخذٌ لحقه سبحانه وتعالى، وإعطاؤه لمن لا يستحقه من المخلوقين العاجزين، وعقوق الوالدين ذنب فظيع؛ لأنه مكافأة للإحسان بالإساءة لأقرب الناس، وشهادة الزور عامَّة لكل قول مُزوَّر ومكذوب يراد به انتقاص مَن وقع عليه بأخذ من ماله أو اعتداء على عرضه أو نحو ذلك.

Esin Hadith Text Arabic


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের বললেন, আমি কি তোদেরকে কবীরাহ গুনাহ কী জানিয়ে দিব না? অতঃপর তিনি এই তিনটি উল্লেখ করলেন, সেগুলো হলো: আল্লাহর সাথে শরীক করা। এটি হলো মাকামে উলুহিয়্যাতের ওপর সীমা লঙ্গন করা এবং আল্লাহ তা�আলার অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করে তা এমন সব অক্ষম সৃষ্টিকে দেওয়া যারা তার উপযুক্ত নয়। মাতা-পিতার নাফরমানি করা জঘন্য অপরাধ। কারণ, তা হলো সবচেয়ে নিকটতম লোককে মন্দ আচরণ দ্বারা অনুগ্রহের প্রতিদান দেওয়া। আর মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। এটি সব ধরনের মিথ্যা কথা ও অপবাদকে শামিল করে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, প্রতিপক্ষের সম্পদ হনন করা বা তার ইজ্জত সম্মান ইত্যাদির ওপর আঘাত করা।
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2941

 
Hadith   19   الحديث
الأهمية: إنَّ الله يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ
থিম: অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে মাতা-পিতার নামে সপথ করতে নিষেধ করেছেন।

عن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- قال: قَالَ رَسُولُ الله-صلى الله عليه وسلم-: �إنَّ الله يَنْهَاكُمْ أَن تَحْلِفُوا بِآبَائِكم�.
وَلمسلم: �فَمَن كان حَالِفا فَلْيَحْلِف بِالله أو لِيَصْمُت�.
وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ عُمَرُ -رضي الله عنه- قال: �فَوَالله ما حَلَفْتُ بِهَا منذ سَمِعْت رَسُولَ الله يَنْهَى عَنْهَا، ذَاكراً وَلا آثِراً�.

উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে মাতা-পিতার নামে সপথ করতে নিষেধ করেছেন।�
মুসলিমের বর্ণনায় বর্ণিত: �যে ব্যক্তি সপথ করতে চায় সে যেন আল্লাহর নামে সপথ করে অন্যথায় চুপ থাকে।�
অপর বর্ণনায় বর্ণিত: উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: �আল্লাহর কসম আমি রাসূলুল্লাহকে নিষেধ করতে শোনার পর থেকে আর কোন দিন ইচ্ছাকৃত বা কারো থেকে বর্ণনা করে তা দ্বারা সপথ করিনি।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سمِع رسولُ الله -صلى الله عليه وسلم- عمرَ -رضي الله عنه-    وهو يَحْلِفُ بِأَبيه فَنَادَاهم النَّبي -صلى الله عليه وسلم- رافِعَاً صَوْتَه:�إنَّ الله يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ� فَامْتَثَلَ الصَّحَابَةُ أَمْرَ رَسُولِ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- وَأَصْبحُوا لا يَحلِفُون إلا بالله، حتَّى ذكر عُمَرُ أنَّه لم يحلِف بغير الله منذُ سَمع رسولَ الله- صلى الله عليه وسلم � ينهى عن ذلك، لا مُتعمِّداً ولا ناقِلاً لحلِف غيرِه بغيرِ الله .
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে তার পিতার নামে কসম করতে শোনে উচাঁ আওয়াজে ডাক দিয়ে বললেন, অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে মাতা-পিতার নামে সপথ করতে নিষেধ করেছেন। সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ পালন করলেন এবং তারা আল্লাহর নাম ছাড়া সপথ করতেন না। এমনকি উমার রাদিয়াল্লাহু উল্লেখ করেন, তিনি রাসূলুল্লাহকে নিষেধ করতে শোনার পর থেকে আর কোন দিন ইচ্ছাকৃত ভাবে বা কারো থেকে বর্ণনা করে আল্লাহর নাম ছাড়া সপথ করিনি।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2945

 
Hadith   20   الحديث
الأهمية: أَنَّ امْرَأَةً وُجِدَتْ فِي بَعْضِ مَغَازِي النَّبِيِّ -صلى الله عليه وسلم- مَقْتُولَةً
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন একটি যুদ্ধে একজন নারীকে নিহত পাওয়া গেল।

عن عَبْدُ الله بن عمر -رضي الله عنهما- �أَنَّ امْرَأَةً وُجِدَتْ فِي بَعْضِ مَغَازِي النَّبِيِّ -صلى الله عليه وسلم- مَقْتُولَةً، فَأَنْكَرَ النَّبِيُّ -صلى الله عليه وسلم- قَتْلَ النِّسَاءِ، وَالصِّبْيَانِ�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু �আনহুমা থেকে বর্ণিত; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন একটি যুদ্ধে একজন নারীকে নিহত পাওয়া গেল, তখন তিনি নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
إنكار النبي -صلى الله عليه وسلم- قتل النساء والصبيان يدل على تحريم قتلهم، وقوله في بعض الأحاديث الواردة في هذا المعنى: (ما كانت هذه لتقاتل) تنبيه على علة النهي عن قتل النساء؛ لأن الغالب فيهن عدم المقاتلة وإن كان في بعضهن شر وشجاعة لكن الحكم عُلِّق على الأغلب، فمن قاتلت قوتلت.
নারী ও শিশুদের হত্যাকে নিন্দা করা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, তাদের হত্যা করা নিষিদ্ধ। কোন কোন হাদীসে এ অর্থে বর্ণিত তার বাণী (এ নারী যুদ্ধ করার জন্য ছিল না) নারীদের হত্যা করা নিষিদ্ধ হওয়া কারণের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ। কারণ, তাদের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়ম হলা যুদ্ধ না করা, যদিও তাদের কারো কারো মধ্য খারাবী ও সাহসিকতা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু বিধান অধিকাংশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। তাই তাদের থেকে যে নারী যুদ্ধ করবে তাকে হত্যা করা হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2949

 
Hadith   21   الحديث
الأهمية: يَعَضُّ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ كَمَا يَعَضُّ الْفَحْلُ، لا دِيَةَ لَك
থিম: তোমাদের কেউ কি অপর ভাইকে এমনভাবে চিবাতে পারে যেমন উট চিবায়, তোমার কোন ক্ষতিপূরণ নেই

عن عمران بن حصين -رضي الله عنهما- �أن رجلا عَضَّ يَدَ رجل؛ فَنَزَعَ يَدَهُ من فِيهِ؛ فوقعت ثَنِيَّتُهُ؛ فاختصما إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: يَعَضُّ أحدُكم أخاه كما يَعَضُّ الفَحْلُ؛ لا دِيَةَ لك�.

ইমরান ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত: এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির হাত দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরল। আর সে তার হাত তার মুখ থেকে টেনে বের করল, ফলে তার সামনের দাঁত পড়ে গেল। তারা দুইজন (অভিযোগ নিয়ে) নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেল। নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �তোমাদের কেউ কি অপর ভাইকে এমনভাবে চিবাতে পারে যেমন উট চিবায়, তোমার কোন ক্ষতিপূরণ নেই?�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
اعْتَدَى رجلٌ على آخر فعَضَّ يدَه؛ فانتزعَ المعْضُوضُ يدَه من فمِ العاضِّ؛ فسقطت ثنيتاه؛ فاختَصما إلى النبي -صلى الله عليه وسلم-.
العاضُّ يُطالبُ بديةِ ثنيتيه السَّاقطتين، والمعضُوضُ يدافع عن نفسه بأنَّه يريد إنقاذَ يده من أسنانه.
فأنكر النبي -صلى الله عليه وسلم- على المدَّعِي العاضِّ، كيف يفعل مثل ما يفعله غِلاظُ الحيوانات؟ وقال: يعضُّ أحدُكم أخاه، ثم بعد هذا يأتي ليُطالِب بديةِ أسنانه الجانية؟! ليس لك دية؛ فالبادي هو المعتدِي.
এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির ওপর সীমা লঙ্ঘন করল এবং দাঁত দিয়ে তার হাতকে কামড়ে ধরল, ফলে আহত ব্যক্তি কর্তনকারী ব্যক্তির মুখ থেকে হাত টেনে বের করল, ফলে তার সামনের দু�টি দাঁত পড়ে যায়। তারা দুইজন (অভিযোগ নিয়ে) নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেল। যে কামড় দিল সে তার পড়ে যাওয়া দুটি দাঁতের দিয়্যতের দাবি করল। আর যাকে কামড় দেওয়া হলো সে তাকে এ বলে প্রতিহত করছে যে, সে তার হাতকে তাদের দাঁতের থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে কেবল। নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কামড় দাতার দাবীকে প্রত্যাখ্যান করলেন। হিংস্র জন্তু যে কাজ করে তা কীভাবে মানুষ করতে পারে? তিনি বলেন, তোমাদের কেউ তার অপর ভাইকে কামড় দেয় অতঃপর সে আসে তার অপরাধী দাঁতসমূহের দিয়ত চাইতে। তোমার জন্য কোন ক্ষতিপূরণ নেই। যে শুরুকারী সেই অন্যায়কারী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2950

 
Hadith   22   الحديث
الأهمية: أَنَّ رَسُولَ الله-صلى الله عليه وسلم- اصْطَنَعَ خَاتَماً مِنْ ذَهَبٍ
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের একটি আংটি বানালেন।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- �أن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - اصْطَنَعَ خَاتَمًا من ذهب، فكان يجعل فَصَّهُ في باطن كَفِّهِ إذا لَبِسَهُ، فصنع الناس كذلك، ثم إنه جلس على المنبر فَنَزَعَهُ فقال: إني كنت أَلْبَسُ هذا الخَاتَمَ , وأجعل فَصَّهُ من داخل, فرمى به ثم قال: والله لا أَلْبَسُهُ أبدا فَنَبَذَ الناس خَواتِيمَهُمْ�.
   وفي لفظ �جعله في يده اليمنى�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের একটি আংটি বানালেন। তিনি যখন তা পরতেন তখন তার নকশাটি তার তালুর ভিতরে রাখতেন। লোকেরাও তাই করতো। তারপর একদিন তিনি মিম্বারে বসলে তা খুলে ফেললেন এবং বললেন, আমি এ আংটিটি পরতাম এবং তার নকশাটি ভিতরের দিকে রাখতাম তারপর তা ফেলে দিলেন। অতঃপর বললেন, আল্লাহর কসম আমি তা আর কখনো পরিধান করবো না। লোকেরাও তাদের আংটিসমূহ নিক্ষেপ করে দিল। অপর শব্দে বর্ণিত, সেটিকে সে তার ডান হাতে রেখে দিল।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أمر النبي -صلى الله عليه وسلم- أن يصنع له خاتم من ذهب، وكان إذا لبسه جعل فصه في باطن كفه اليمنى، فتبعه الصحابة على ذلك وصنعوا كما صنع، ثم بعد فترة جلس النبي -صلى الله عليه وسلم- على المنبر ليراه الناس، ثم قال: إني كنت ألبس هذا الخاتم، وأجعل فصه في داخل كفي، ثم رماه وقال: والله لا ألبسه أبدا، وكان ذلك بعد تحريمه، فرمى الصحابة خواتيمهم اقتداء برسول الله -صلى الله عليه وسلم-.
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য একটি স্বর্ণের আংটি বানানোর নির্দেশ দিলেন। আর যখন তিনি তা পরতেন তখন তার নকশাটি তার হাতের কব্জির ভিতরের দিকে রাখতেন। সাহাবীগণ এ বিষয়ে তার অনুসরণ করল এবং তারা তাই করল যা তিনি করলেন। কিছুদিন পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারের ওপর বসলেন যাতে তাকে মানুষ দেখতে পায়। অতঃপর তিনি বললেন, আমি এ আংটিটি পরিধান করতাম এবং তার নকশা কব্জির নিচে রাখতাম। তারপর তা তিনি ফেলে দিলেন এবং বললেন, আল্লাহর কসম আমি তা আর কখনো পরিধান করবো না। এটি ছিল নিষিদ্ধ হওয়ার পর। তারপর সাহাবীগণও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুকরণে তাদের আংটিসমূহ নিক্ষেপ করে দিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2951

 
Hadith   23   الحديث
الأهمية: كُلُّ شَرَابٍ أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ
থিম: যে সকল পানীয় নেশা সৃষ্টি করে, তা হারাম।

عن عائشة رضي الله عنها: �أَنَّ رسول الله-صلى الله عليه وسلم-    سُئِل عن الْبِتْعِ؟ فقال: كل شَرَابٍ أَسْكَر فهو حَرَامٌ�.

�আয়িশাহ রাদয়িাল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে সকল পানীয় নেশা সৃষ্টি করে, তা হারাম।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سئل النبي -صلى الله عليه وسلم- عن شرب البتع الذي هو نبيذ العسل، فأتى -صلى الله عليه وسلم- بجواب عام شامل، مفاده أنه لا عبرة باختلاف الأسماء، ما دام المعنى واحداً، والحقيقة واحدة.
فكل شراب أسكر، فهو خمر محرَّم، من أي نوع أخذ.
وهو من جوامع كَلِمه -صلى الله عليه وسلم- وحسن بيانه عن ربه، ولهذا جاء من العلم في مدة بعثته بما يسعد البشرية في الدنيا والآخرة.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মধুর পানীয় মদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি একটি সামগ্রিক ও ব্যাপক উত্তর দেন। যার সারমর্ম হলো নামের ভিন্নতার কোন গুরুত্ব নাই যতক্ষণ পর্যন্ত তার উদ্দেশ্য ও বাস্তবতা এক হবে। সুতরাং যে সকল পানীয় নেশা সৃষ্টি করে, তাই মদ, হারাম। যেখান থেকেই তা নেওয়া হোক।
এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অল্প শব্দে অনেক অর্থবোধক বাক্যসমূহের একটি বাক্য এবং স্বীয় রবের পক্ষ থেকে তার সুন্দর বর্ণনা। এ কারণেই তার আগমনের সময় এমন ইলমের আর্বিভাব হয় যা দুনিয়া ও আখিরাতে মানবতার জন্য কল্যাণকর ছিল।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2952

 
Hadith   24   الحديث
الأهمية: نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ وَهِيَ مِنْ خَمْسَةٍ: مِنْ الْعِنَبِ، وَالتَّمْرِ، وَالْعَسَلِ، وَالْحِنْطَةِ، وَالشَّعِيرِ
থিম: মদ হারাম হওয়ার বিধান নাযির হয়েছে। আর তা পাঁচটি জিনিষ থেকে হয়ে থাকে। আঙ্গুর, খেজুর, মধু, গম ও জব থেকে।

عن عَبْدُ الله بن عمر-رضي الله عنهما- أن عمر قال -على منبر رسول الله- -صلى الله عليه وسلم- : "أما بعد، أيها الناس، إنه نزل تحريم الخمر وهي من خمسة: مِنَ العنب، والتمر، والعسل، والحنطة، والشعير. والخمر: مَا خَامَرَ العَقْلَ. ثَلاثٌ وَدِدْتُ أَنَّ رَسُولَ الله -صلى الله عليه وسلم- كَانَ عَهِدَ إلَيْنَا فِيهَا عَهْداً نَنْتَهِي إلَيْهِ: الجَدُّ، والكَلالَةُ، وأَبْوَابٌ مِنَ الرِّبَا".

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিম্বারে আরোহণ করে ওমর বলেন, অতঃপর: হে মানব সকল, মদ হারাম হওয়ার বিধান নাযির হয়েছে। আর তা পাঁচটি জিনিষ থেকে তৈরি হয়: আঙ্গুর, খেজুর, মধু, গম ও জব। আর মদ বলা হয় যা আকলকে লুকিয়ে ফেলে। তিনটি বিষয়ে আমি খুব চেয়েছি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে তাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে দিতেন, যার দিকে গিয়ে আমরা ক্ষান্ত হতাম: দাদা, সন্তানহীন ব্যক্তি যার কোন মাতা-পিতা নেই এবং সুদের কতক অধ্যায়।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
خطب عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- في مسجد رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وعلى منبره هذه الخطبة، وقرر فيها -رضي الله عنه- أن الخمر ما خامر العقل، فالخمر لا يختص بالعنب، بل حتى الشراب المسكر المصنوع من التمر أو العسل أو الحنطة خمر، وقد ذكر عمر -رضي الله عنه- في خطبته أن ثلاث مسائل فيها إشكال عندهم، تمنى أن لو كان عهد النبي -صلى الله عليه وسلم- في هذه الثلاث المسائل عهداً إلى أمته ينتهون إليه فيها، وهي: ميراث الجد، وميراث كل ميت لا ولد له ولا والد، وبعض أبواب الربا، والحمد لله أن الحكم في هذه الثلاث المسائل معلوم، وليس معنى هذا أن النبي -صلى الله عليه وسلم- لم يبينهن، فقد أتم الرسالة، وأدى الأمانة، وبلغ عن الله ما هو أخفى وأقل شأنا منهن، ولكن عمر -رضي الله عنه- يريد أن يكون فيها نص صريح واضح لا يحتمل الاجتهاد.
উমার উবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু রাসূলের মসজিদে তার মিম্বারে আরোহণ করে এ ভাষণ দেন। আর তিনি তাতে বলেন যে, মদ বলা হয় যা আকলকে লুকিয়ে ফেলে। সুতরাং মদ শুধু আঙ্গুরের সাথে খাস নয়, বরং মদ হলো নেশাজাত পানীয় যা খেজুর, মধু ও জব থেকে তৈরি হয়। তারপর উমার রাদিয়াল্লাহু উল্লেখ করেন যে, তিনটি মাস�আলা তার নিকট অস্পষ্ট। সে আশা করে যে, যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ তিনটি মাসআলার ক্ষেত্রে কোন সুস্পষ্ট প্রতিশ্রতি প্রদান করতেন যার দিকে উম্মত ফিরে যেত। আর তা হলো দাদার মীরাস, সন্তানহীন ব্যক্তি যার কোন সন্তান বা মাতা-পিতা নেই তার মীরাস এবং সূদের কতক অধ্যায়। আল-হামদুলিল্ললাহ এ তিনটি মাস�আলার বিধান অবশ্যই জানা। এর অর্থ এ নয় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগুলোর বিধান স্পষ্ট করে বর্ণনা করেননি। বরং তিনি রিসালাতকে পূর্ণ করেছেন এবং আমানতকে আদায় করেছেন। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে যা এর চেয়েও কম গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তাও তিনি পৌঁছিয়েছেন। কিন্তু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু চাইলেন, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট সরাসরি বর্ণনা যাতে কোন ইজতিহাদের সুযোগ না থাকে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2954

 
Hadith   25   الحديث
الأهمية: أَنْفَجْنَا أَرْنَباً بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَسَعَى الْقَوْمُ فَلَغَبُوا
থিম: মাররুয-যাহরান নামী স্থানে আমরা একটি খরগোশকে উত্যক্ত করলাম। লোকেরা ছুটোছুটি করে ক্লান্ত হয়ে পড়ল।

عن أنس -رضي الله عنه- قال: �أَنْفَجْنَا أَرْنَباً بِمَرِّ الظَّهْرَانِ، فَسَعَى الْقَوْمُ فَلَغَبُوا، وَأَدْرَكْتُهَا فَأَخَذْتُهَا، فَأَتَيْتُ بِهَا أَبَا طَلْحَةَ، فَذَبَحَهَا وَبَعَثَ إلَى رَسُولِ الله-صلى الله عليه وسلم- بِوَرِكِهَا وَفَخِذَيْهَا فَقَبِلَهُ�.

আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত: মাররুয-যাহরান নামী স্থানে আমরা একটি খরগোশকে উত্যক্ত করলাম   । লোকেরা ছুটোছুটি করে ক্লান্ত হয়ে পড়ল। আর আমি তাকে পেলাম এবং ধরলাম। তারপর তাকে নিয়ে আবূ তালহার নিকট আসলে সে তা জবেহ করল এবং রাসূলুল্লাহর নিকট তার নিতম্ব ও রান প্রেরণ করলে তিনি তা গ্রহণ করেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان النبي -صلى الله عليه وسلم- وأصحابه في سَفَرٍ، ولعلَّهُم قد نزلُوا في ذلك المكَان الذي هُو مَر الظَّهْرَان؛ فَلَقَدْ نَزَلَ في هذا الموْضِع رَسولُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- بأصحابه في عامِ الْفَتْحِ، فَأَثَارُوا أَرْنَباً فَسَعَى الْقَوْمُ خلفها لِيَأْخُذُوها، قَالَ فَتعبواوا وأدْرَكتُها، وكان أنس بن مالك في ذلك الوقت في ريْعَانِ شَبَابِهِ، فَأَخَذَهَا وذَهَبَ بِها إلى زَوْجِ أُمِّهِ، وهو أبو طلحة -رضي الله عنه-، فَذَبَحَهَا وأَهْدَى مِنْهَا إِلى رسولِ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- الفخذين والورك-وهُو مُلْتَقَى الظَّهْرِ مَعَ مَرْبَطِ الرِّجْل-؛ فَقَبِلَها، ولَعَلَّه قَدْ أَكَلَ مِنْهَا.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণ একটি সফরে ছিলেন। হতে পারে তারা যে স্থানে অবতরণ করেন সেটি ছিল �মাররুয যাহরান� নামী স্থান। এ স্থানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের নিয়ে বিজয়ের বছর অবতরণ করেন। তারা একটি খরগোশকে তাড়া করল। সবাই সেটিকে ধরার জন্য তার পিছু নিল। তিনি বলেন তারা অক্ষম হলে আমি সেটিকে ধরে ফেলি। আনাস ইবন মালিক তখন তার যৌবনে পা দিয়েছেন মাত্র। তিনি সেটিকে ধরে তার মায়ের স্বামী আবু তালহার নিকট নিয়ে গেলে তিনি তা জবেহ করে দেন এবং তা থেকে নিতম্ব রাসূলের জন্য হাদিয়া দেন। তিনি তা গ্রহণ করলেন এবং হতে পারে তিনি তা থেকে খেলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2958

 
Hadith   26   الحديث
الأهمية: أَنَّ رَسُولَ الله -صلى الله عليه وسلم- سَمِعَ جَلَبَةَ خَصْمٍ بِبَابِ حُجْرَتِهِ
থিম: একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরের দরজায় বাদী-বিবাদীর তর্কাতর্কি শুনতে পেলেন।

عن أُمُّ سَلَمَة -رضي الله عنها- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- سَمِعَ جَلَبَةَ خَصْمٍ بِبَابِ حُجْرَتِهِ، فَخَرَجَ إلَيْهِمْ، فقال: �ألا إنما أنا بشر، وإنما يأتيني الخصم، فلعل بعضكم أن يكون أبلغ من بعض؛ فَأَحْسِبُ أَنَّهُ صَادِقٌ؛ فَأَقْضِي لَهُ، فمن قضيت له بحق مسلم فإنما هي قطعة من نار، فَلْيَحْمِلْهَا أَوْ يَذَرْهَا�.

উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত: একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরের দরজায় বাদী-বিবাদীর তর্কাতর্কি শুনতে পেয়ে তাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মনে রাখবে আমি তো একজন মানুষ। আমার কাছে (কোন কোন সময়) ঝগড়াকারীরা আসে। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্যের চেয়ে অধিক বাকপটু। তখন আমি মনে করি যে, সে সত্য বলেছে। তাই আমি তার পক্ষে রায় দেই। বিচারে যদি আমি ভুলবশত অন্য কোন মুসলমানের হক তাকে দিয়ে থাকি, তবে তা দোযখের টুকরা। এখন সে তা গ্রহণ করুক বা ত্যাগ করুক।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سمع النبي -صلى الله عليه وسلم- أصوات خصوم مختلطة؛ لما بينهم من المنازعة والمشاجرة عند بابه، فخرج إليهم؛ ليقضي بينهم، فقال:
إنما أنا بشر مثلكم، لا أعلم الغيب، ولا أخبر ببواطن الأمور؛ لأعلم الصادق منكم من الكاذب، وإنما يأتيني الخصم لأحكم بينهم، وحكمي مبني على ما أسمعه من حجج الطرفين وبيِّناتهم وأيْمَانِهِم، فلعل بعضكم يكون أبلغ وأفصح وأبينَ من بعض؛ فأحسب أنه صادق مُحِق؛ فأقضي له، مع أن الحق -في الباطن- بجانب خصمه، فاعلموا أن حكمي في ظواهر الأمور لا بواطنها، فلن يحل حراما؛ ولذا فإن من قضيت له بحق غيره وهو يعلم أنه مبطل، فإنما أقطع له قطعة من النار، فليحملها إِن شاء، أو ليتركها، فعقاب ذلك راجع عليه، والله بالمرصاد للظالمين.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দরজার সামনে দুই পক্ষের ঝগড়া বিবাধের বিক্ষিপ্ত আওয়াজ শুনতে পেয়ে তাদের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। তারপর তিনি বলেন, আমি তোমাদের মতোই মানুষ। আমি গায়েব জানি না এবং আমি গোপন বিষয়ের সংবাদ দিই না যাতে তোমাদের মধ্যে কে সত্যবাদী আর কে মিথ্যাবাদী তা তোমাদের জানাবো। আমার কাছে বাদী-বিবাদী আসে যাতে আমি তাদের মধ্যে ফায়সালা করি। আর আমার ফায়সালা উভয় পক্ষ থেকে যে দলীল, প্রমাণাদি ও সপথ শুনি তার ভিত্তিতে। হতে পারে তাদের মধ্যে কেউ অধিক পন্ডিত, সাহিত্যিক ও স্পষ্টবাদী। ফলে আমি মনে করি যে সে সত্যবাদী, তখন আমি তার পক্ষে ফায়সালা দিয়ে থাকি। হতে পারে ভিতরের সত্য তার প্রতিপক্ষের জন্য। আর মনে রাখবে আমার ফায়সালা বাহ্যিক দিক বিবেচনায় গোপনীয়তার বিবেচনায় নয়। যার ফলে কোন হারাম হালাল হয়ে যায় না। এ কারণেই যদি আমি কারো জন্য অপরের হকের ফায়সালা করে দেই অথচ সে জানে যে সে অন্যায়কারী, তাহলে মনে রাখবে আমি তার জন্য জাহান্নামের একটি টুকরার ফায়সালা করলাম। সে যদি চায় তা গ্রহণ করুক অথবা ছেড়ে যাক। তার শাস্তি তার ওপরই বর্তাবে। আল্লাহ তা�আলাই জালিমদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2959

 
Hadith   27   الحديث
الأهمية: أَنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- نَهَى عَنْ النَّذْرِ، وَقَالَ: إنَّ النَّذْرَ لا يَأْتِي بِخَيْرٍ، وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنْ الْبَخِيلِ
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন মানত কোনো কল্যাণ নিয়ে আসে না, তবে তা দ্বারা কৃপণ থেকে বের করা হয় মাত্র।

عن ابن عمر -رضي الله عنهما- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- �أنه نهى عن النذر، وقال: إنّ النَّذْرَ لا يأتي بخير، وإنما يُسْتَخْرَجُ به من البخيل�.

ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, �তিনি মানত করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন মানত কোনো কল্যাণ নিয়ে আসে না, তবে তা দ্বারা কৃপণ থেকে বের করা হয় মাত্র�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
نهى النبي -صلى الله عليه وسلم- عن النذر، وعلل نهيه بأنه لا يأتي بخير؛ وذلك لما يترتب عليه من إيجاب الإنسان على نفسه شيئًا هو في سعة منه، فيخشى أن يقصر في أدائه، فيتعرض للإثم، ولما فيه من إرادة المعاوضة مع الله -تعالى- في التزام العبادة معلقة على حصول المطلوب، أو زوال المكروه.
وربما ظن -والعياذ بالله- أن الله -تعالى- أجاب طلبه؛ ليقوم بعبادته.
لهذه الأسباب وغيرها، نهى عنه النبي -صلى الله عليه وسلم-؛ إيثارا للسلامة، وطمعا في جود الله -تعالى- بلا مقابل ولا شرط، وإنما بالرجاء والدعاء.
وليس في النذر فائدة، إلا أنه يستخرج به من البخيل، الذي لا يقوم إلا بما وجب عليه فعله وتحتم عليه أداؤه، فيأتي به مكرها، متثاقلا، فارغا من أساس العمل، وهي النية الصالحة، والرغبة فيما عند الله -تعالى-.

থিম: নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন। তিনি নিষেধাজ্ঞার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, মানত কোনো কল্যাণ নিয়ে আসে না। কেননা মানুষ মানত করতে গিয়ে নিজের ওপর এমন সব জিনিস অত্যাবশ্যকীয় করে নেয় যা পালন করার ব্যাপারে সে স্বাধীন ছিল, অতএব ওয়াজিব করে নেওয়ার ফলে তাতে ত্রুটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যে কারণে সে গুনাহের সম্মুখীন হবে। তাছাড়াও পছন্দনীয় জিনিস লাভ করতে বা অপছন্দনীয় জিনিস থেকে পরিত্রাণ পেতে ইবাদত আবশ্যক করে আল্লাহর সাথে একটি বিনিময় করা। হয়ত সে ভাববে যে, -আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি- তার ইবাদতের কারণে আল্লাহ তার ইচ্ছাপূরণ করেছে। উপরোক্ত ও আরো অন্যান্য কারণে নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন, যাতে ব্যক্তি গুনাহ থেকে নিরাপদে থাকে এবং কোন প্রতিদান ও শর্ত ব্যতীরেকে শুধু প্রত্যাশা ও দু�আর দ্বারা আল্লাহর অনুগ্রহ পাওয়ার প্রত্যাশা করে। তবে মানতের দ্বারা কৃপণ হতে কিছু বের করা হয়, যে কৃপণ নিজের ওপর অত্যাবশ্যক ও জরুরি হওয়া ব্যতীরেকে কিছু দান করে না। ফলে সে কষ্টকর ও ভারী হলেও মানত আদায় করে আমলের মূল ভিত্তি নেক নিয়ত ও আল্লাহর অনুগ্রহের দৃঢ় প্রত্যাশা ছাড়াই।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2960

 
Hadith   28   الحديث
الأهمية: إنِّي وَالله- إنْ شَاءَ الله- لا أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ، فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْراً مِنْهَا إلاَّ أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ، وَتَحَلَّلْتُهَا
থিম: আল্লাহর শপথ! ইন শাআল্লাহ, আমি যখনই কিছুর ব্যাপারে হলফ করব, তারপর তার চেয়ে উত্তম কিছু দেখতে পাব, তখন আমার কসম ভঙ্গের কাফ্ফারা দিয়ে যেটি উত্তম সেটিই করব।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -: �إنّي والله -إنْ شاء الله- لا أَحلف على يمين، فأرى غيرها خيراً منها إلاَّ أَتيتُ الَّذِي هو خير، وتحلَّلْتُهَا�.

আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �আল্লাহর শপথ! ইন শাআল্লাহ, আমি যখনই কিছুর ব্যাপারে হলফ করব, তারপর তার চেয়ে উত্তম কিছু দেখতে পাব, তখন আমার কসম ভঙ্গের কাফ্ফারা দিয়ে যেটি উত্তম সেটিই করব�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- أخبر عن نفسِه بأنَّه إذا حَلَفَ على يَمِينٍ ثم بعد ذلك رأى أنَّ الخيرَ في عدَمِ الاستمرار عليها تَركَها بِتَرك ما حَلَفَ عليه وكفَّرَها التزم الذي هو خير من فعل أو ترك.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিজের সম্পর্কে সংবাদ দেন যে, তিনি যখনই কিছুর ব্যাপারে হলফ করতেন, তারপর তিনি দেখতেন যে, কল্যাণ হলো কসমের ওপর অটুট না থাকার মধ্যে তখন তিনি যার ওপর কসম করেছেন তা ছেড়ে কসম ভঙ্গ করতেন এবং কাফ্ফারা আদায় করতেন। করনীয় বা বর্জনীয় যাই হোক তিনি যেটি কল্যাণ সেটিই করতেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2961

 
Hadith   29   الحديث
الأهمية: أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي الدِّمَاءِ
থিম: কিয়ামতের দিন মানুষের মাঝে প্রথমেই রক্ত সংক্রান্ত বিচার করা হবে।

عن عبد الله بن مَسعود -رضي الله عنه- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-: �أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي الدِّمَاءِ�.

আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদয়িাল্লাহু <�আনহু হতে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �কিয়ামতের দিন মানুষের মাঝে প্রথমেই রক্ত সংক্রান্ত বিচার করা হবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يُحَاسِبُ الله -تعالى- الْخَلَائِقَ يوم القيامة، ثُمَّ يَقْضِى بينهم بعدله، ويبدأ من المظالم    بالْأَهم، وبما أَنَّ الدِّمَاء هي أَعْظم وأَهَمُّ ما يكون من المظَالمِ فِإِنَّهَا أَوْلُ مَا يُقْضَى بِهِ منها في ذلك اليومِ العظيمِ، وهذا فيما بين العباد في المظالم، أما أعمال العبد فأول ما ينظر فيه الصلاة.
আল্লাহ কিয়ামতের দিন সৃষ্টিকুলের মাঝে হিসাব-নিকাশ করে ন্যায়পরায়ণতার সাথে তাদের মধ্যে ফয়সালা দিবেন। প্রথমেই তিনি যুলুমের বিচার করবেন। আর রক্তপাত যেহেতু সবচেয়ে মারাত্মক ও বড় যুলুম তাই তিনি সে মহান দিবসে প্রথমেই রক্ত সংক্রান্ত বিচার করবেন। বান্দার মাঝে যুলুম সংক্রান্ত বিচার আগে হবে। তবে বান্দার ইবাদত সংক্রান্ত হলে প্রথমেই সালাতের হিসেব করা হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম), তবে শব্দ সহীহ মুসলিমের।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2962

 
Hadith   30   الحديث
الأهمية: بعثَ رسولُ الله -صلى الله عليه وسلم- سَرِيَّةً إلَى نَجْدٍ فخَرَجَ ابن عمر فِيهَا
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজদের দিকে একটি সৈন্যদল পাঠান। ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের সাথে বের হলেন।

عن عبد الله بن عمر-رضي الله عنهما- قال: �بعث رسولُ الله -صلى الله عليه وسلم- سَرِيَّةً إلَى نَجْدٍ فخرجَت فِيهَا، فَأَصَبْنَا إبِلاً وَغَنَماً، فبلغتْ سُهْمَانُنَا اثْنَيْ عَشَرَ بَعِيراً، وَنَفَّلَنَا رَسُولُ الله -صلى الله عليه وسلم- بَعِيراً بَعِيراً�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজদের দিকে একটি সৈন্যদল পাঠান। আমি তাদের সাথে বের হলাম। আমরা উট ও ছাগল লাভ করলাম। ফলে আমাদের অংশগুলো বারোটি উট পর্যন্ত পৌঁছল। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের একটি একটি উট অতিরিক্ত দান করলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- بعثهم في سرية إلى نجد فأصابوا غنائم كثيرة من إبل وغنم، فنال كل واحد منهم اثني عشر بعيراً، وأعطاهم زيادة على ذلك بعيراً لكل واحد فوق عدد سهامهم.
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা জানান যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে একটি সৈন্য দলে নাজদের দিকে পাঠান। তারা অনেকগুলো উট ও ছাগল গণীমত হিসেবে লাভ করল। ফলে তারা প্রত্যেকের ভাগে বারোটি করে উট পেল। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে এর ওপর একটি করে উট তাদের অংশের ওপর অতিরিক্ত দান করলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2963

 
Hadith   31   الحديث
الأهمية: تُقْطَعُ الْيَدُ فِي رُبْعِ دِينَارٍ فَصَاعِداً
থিম: এক চতুর্থাংশ দীনার বা তার চেয়ে বেশির ক্ষেত্রে হাত কাটা হবে।

عن عائشةُ -رضي اللهُ عنها- مرفوعًا: �تُقْطَعُ الْيَدُ فِي رُبْعِ دِينَارٍ فَصَاعِداً�.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু <�আনহা থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: এক চতুর্থাংশ দীনার বা তার চেয়ে বেশির ক্ষেত্রে হাত কাটা হবে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أمَّن الله -عز وجل- دماء الناس وأعراضهم وأموالهم، بكل ما يكفل ردع المفسدين المعتدين.
فجعل عقوبة السارق -الذي أخذ المال من حرزه على وجه الاختفاء- قطع العضو الذي تناول به المال المسروق؛ ليكفر القطع ذنبه، وليرتدع هو وغيره عن الطرق الدنيئة، وينصرفوا إلى اكتساب المال من الطرق الشرعية الكريمة؛ فيكثر العمل، وتستخرج الثمار؛ فيعمر الكون، وتعز النفوس.
ومن حكمته -تعالى- أن جعل المقدار الأدنى الذي تقطع بسرقته اليد، ما يعادل ربع دينار من الذهب؛ حماية للأموال، وصيانة للحياة؛ ليستتب الأمن، وتطمئن النفوس، وينشر الناس أموالهم للكسب والاستثمار.
আল্লাহ তা�আলা সীমালঙ্গনকারী ও ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের যথাযথ প্রতিহত করার মাধ্যমে মানুষের জান, মাল ও সম্মানের সার্বিক নিরাপত্তা দিয়েছেন। ফলে চোর যে মানুষের সম্পদকে পরিপূর্ণ সংরক্ষণ করার পরও গোপনে আত্মসাৎ করে তার শাস্তি যে অঙ্গ দিয়ে সম্পদ হরণ করল তা কেটে ফেলা নির্ধারণ করেছেন, যাতে তার অন্যায়ের মার্জনা হয় এবং সে নিজে ও অন্যরা এ ধরনের নিকৃষ্ট পথ থেকে ফিরে এসে সম্মান জনক পন্থায় অর্থ উপার্জনের দিকে ধাবিত হয়। এতে কর্ম বৃদ্ধি পাবে, ক্ষেত খামারে ফসলের উৎপাদন হবে, পৃথিবী আবাদ হবে এবং আত্মা শান্তি পাবে। আর আল্লাহর হিকমত হলো, তিনি যে বস্তু চুরি করার কারণে হাত কাটা হবে তার সর্বনিম্ন পরিমাণ এক চতুর্থাংশ স্বর্ণ দীনার নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যাতে সম্পদের সংরক্ষণ হয়, জীবন রক্ষা পায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, আত্মা তৃপ্তি পায় এবং মানুষ নিজেদের সম্পদকে কামাই উপার্জনের লক্ষ্যে ছড়িয়ে দেয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2964

 
Hadith   32   الحديث
الأهمية: خُذِي مِنْ مَالِهِ بِالْمَعْرُوفِ مَا يَكْفِيكِ وَيَكْفِي بَنِيكِ
থিম: রেওয়াজ অনুযায়ী তুমি তার সম্পদ থেকে গ্রহণ কর যা তোমার ও তোমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হয়।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: �دخلت هند بنت عُتْبَةَ- امرأَة أَبِي سفيان- على رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقالت: يا رسول الله، إنَّ أَبَا سُفْيَان رَجُلٌ شَحِيحٌ، لا يُعْطِيني من النفقة ما يكفيني ويكفي بَنِيَّ، إلاَّ ما أَخَذْتُ مِنْ مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمِهِ، فَهَلْ عَلَيَّ فِي ذَلِكَ مِنْ جُنَاحٍ؟ فَقَالَ رسول الله: خُذِي مِنْ مَالِهِ بِالْمَعْرُوفِ مَا يَكْفِيكِ وَيَكْفِي بَنِيكِ�.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু <�আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হিন্দা বিনত উতবা -আবূ সুফিয়ানের স্ত্রী- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল আবু সুফিয়ান একজন কৃপণ ব্যক্তি। তিনি আমার এবং আমার সন্তানদের জন্য প্রয়োজনীয় খরচাদি প্রদান করেন না। তবে আমি তার অজ্ঞাতেই তার সম্পদ থেকে প্রয়োজনীয় খরচাদি গ্রহণ করে থাকি। এতে কি আমার কোন পাপ হবে? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �রেওয়াজ অনুযায়ী তুমি তার সম্পদ থেকে গ্রহণ কর যা তোমার ও তোমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হয়।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
اسْتَفْتَت هند بِنْتُ عُتْبَة رسول الله -صلَّى الله عليه وسلم- أَنَّ زوجها لا يعطيها ما يكفِيها هي وأَبناءها من النفقة، فهل لها أن تأخذ من مال زوجها أَبي سُفيان بغير علمه؟ فأفتاها بجواز ذلك إِذا أَخذت قَدْرَ الكفاية بالمعروف، أي دون زيادة وتعدي.
হিন্দা বিনত উতবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জানতে চাইলেন যে, তার স্বামী তাকে ও তার সন্তানদের প্রয়োজনীয় ভরণপোষণ দেয় না। তাহলে তার স্বামী আবূ সুফিয়ানের অজ্ঞাতেই তার সম্পদ থেকে প্রয়োজনীয় খরচাদি গ্রহণ করা বৈধ হবে কি-না? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার স্বামীর সম্পদ থেকে ততটুকু পরিমাণ গ্রহণ করতে অনুমতি দিলেন যা তার ও তার সন্তানদের জন্য ন্যায়সঙ্গতভাবে যথেষ্ট হয়। অর্থাৎ অতিরিক্ত ও সীমালঙ্ঘন ছাড়া।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2965

 
Hadith   33   الحديث
الأهمية: دَبَّرَ رَجُلٌ مِنْ الأَنْصَارِ غُلاماً لَهُ
থিম: আনসারদের এক ব্যক্তি তার গোলামকে মৃত্যুর পরে কার্যকর হবে এই শর্তে আযাদ করলেন।

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما- قال: دَبَّرَ رَجُلٌ مِنْ الأَنْصَارِ غُلاماً لَهُ-، وَفِي لَفْظٍ: بَلَغَ النَّبِيَّ -صلى الله عليه وسلم-: أَنَّ رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِهِ أَعْتَقَ غُلاماً لَهُ عنْ دُبُرٍ- لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُ فَبَاعَهُ رَسُولُ الله بِثَمَانِمِائَةِ دِرْهَمٍ، ثُمَّ أَرْسَلَ ثَمَنَهُ إلَيْهِ.

জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনসারদের একব্যক্তি তার গোলামকে মৃত্যুর পরে কার্যকর হবে এই শর্তে আযাদ করলেন। অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সংবাদ পৌঁছল যে, তাঁর সাহাবীদের একজন তার গোলামকে মৃত্যুর পরে কার্যকর হবে এই শর্তে আযাদ করলেন; অথচ তার এ ছাড়া আর কোন মাল ছিলো না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে গোলামটিকে আট�শ দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করে দেন এবং প্রাপ্তমূল্য তার নিকট পাঠিয়ে দেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
علق رجل من الأنصار عتق غلامه بموته، ولم يكن له مال غيره، فبلغ ذلك النبي -صلى الله عليه وسلم-، فَعَدَّ هذا العتق من التفريط، ولم يقرَّه على هذا الفعل، فردَّه وباع غلامه بثمانمائة درهم، أرسل بها إليه، فإن قيامه بنفسه وأهله أولى له وأفضل من العتق، ولئلا يكون عالَةً على الناس.
ومثل هذه الأحاديث فيها أحكام يتعرف عليها الإنسان ولو لم يعمل بها، ولا ينبغي أن يترك تعلمها وفهمها بحجة أنه لا يوجد رقيق اليوم، فإن الرق موجود في أماكن من أفريقيا، وقد يعود مرة أخرى، وكان موجودًا من قديم الزمان وحتى جاء الإسلام وبعد ذلك، ولكن الإسلام يتشوف للحرية والعتق إذا حصل الرق.
আনসারদের একব্যক্তি তার গোলামকে মৃত্যুর পরে কার্যকর হবে এই শর্তে আযাদ করলেন। অথচ তার এ ছাড়া আর কোন মাল ছিলো না। নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি এ ধরণের আযাদ করাকে বাড়াবাড়ি হিসেবে গণ্য করলেন এবং এ কাজকে তিনি সমর্থন না করে প্রত্যাখ্যান করলেন। তিনি তাঁর গোলামটিকে আট�শ দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করে দেন এবং প্রাপ্তমূল্য তার নিকট পাঠিয়ে দেন। কেননা তার জন্য গোলাম আযাদের চেয়ে নিজের ও পরিবারের খরচ বহন করা উত্তম ছিলো। যাতে সে মানুষের ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়ে।
এ ধরণের হাদীসে কতিপয় বিধান রয়েছে যা মানুষের জানা উচিত; যদিও সে তা আমল না করে। বর্তমান যুগে গোলাম প্রথা নেই এ দাবীতে এ সব জ্ঞান অর্জন ও তা গভীরভাবে উপলব্দি করা ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। কেননা বর্তমান যুগেও আফ্রিকায় দাসপ্রথার প্রচলন রয়েছে। আবার হয়ত এ প্রথা ফিরে আসতে পারে। এ প্রথা আদম আলাইহিস সালাম থেকে ইসলামের আগমন পর্যন্ত এমনকি ইসলাম আগমনের পরেও বলবৎ ছিলো। তবে দাস প্রথা থাকলে ইসলাম সর্বদা স্বাধীনতা ও দাস আযাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2966

 
Hadith   34   الحديث
الأهمية: رِبَاطُ يَوْمٍ فِي سَبِيلِ الله خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا
থিম: আল্লাহর পথে একদিন সীমান্ত পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও এর উপর যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম।

عن سهل بن سعد -رضي الله عنه- مرفوعًا: �رِبَاطُ يَوْمٍ فِي سَبِيلِ الله خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا، وَمَوْضِعُ سَوْطِ أَحَدِكُمْ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا، وَالرَّوْحَةُ يَرُوحُهَا الْعَبْدُ فِي سَبِيلِ الله وَالْغَدْوَةُ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا�.

সাহাল ইবন সা�দ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �আল্লাহর পথে একদিন সীমান্ত পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও এর উপর যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম। জান্নাতে তোমাদের কারো এক চাবুক পরিমাণ স্থানও দুনিয়া ও তার উপরে যা আছে তা থেকে উত্তম। আল্লাহর পথে এক সকাল চলা বা এক বিকাল চলা দুনিয়া ও এর উপরে যা আছে তা থেকে উত্তম�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر النبي -صلى الله عليه وسلم- بأن مقام يوم في الرباط أو غدوة في سبيل الله وموضع سوط الواحد منهم في الجنة كل ذلك خير من الدنيا وما عليها، ذلك لأن الجنة باقية والدنيا فانية وقليل الباقي خير من كثير الفاني.
নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহর পথে একদিন সীমান্ত পাহারা দেওয়া বা আল্লাহর পথে এক সকাল চলা দুনিয়া ও এর উপর যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম। জান্নাতে কারো এক চাবুক পরিমাণ স্থানও দুনিয়া ও তার উপরে যা আছে তা থেকে উত্তম। কেননা জান্নাত চিরস্থায়ী আর দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। সুতরাং চিরস্থায়ী সামান্য কিছুও পাওয়া ক্ষণস্থায়ী অনেক কিছু পাওয়ার চেয়ে উত্তম।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2967

 
Hadith   35   الحديث
الأهمية: سُئِلَ النَّبِيُّ -صلى الله عليه وسلم- عَنِ الأَمَةِ إذَا زَنَتْ وَلَمْ تُحْصَنْ
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক যিনাকারী অবিবাহিতা দাসী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়।

عن أبي هُرَيْرة وزَيْدُ بْنُ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ -رضي الله عنهما- أنه سُئِلَ النَّبِيُّ -صلى الله عليه وسلم- عَنِ الأَمَةِ إذَا زَنَتْ وَلَمْ تُحْصَنْ؟ قَالَ: �إنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا، ثُمَّ إنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا، ثُمَّ إنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا، ثُمَّ بِيعُوهَا وَلَوْ بِضَفِيرٍ�.
قالَ ابنُ شِهابٍ: �ولا أَدري، أَبَعْدَ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعةِ�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু ও যায়িদ ইবন খালিদ জুহানী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জনৈকা দাসী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যে যিনা করেছে; কিন্তু সে অবিবাহিতা। নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি সে যিনা করে তবে তাকে বেত্রাঘাত করবে। যদি সে আবার যিনা করে তবে আবার তাকে বেত্রাঘাত করবে। এরপরও যদি সে যিনা করে তবে তাকে বিক্রি করে দিবে, যদি তা সামান্য রশির বিনিময়েও হয়।
বর্ণনাকারী ইবন শিহাব বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয়বার না চতুর্থবার যিনা করার পর তাকে বিক্রি করতে বলেছেন তা আমি জানি না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سُئِلَ النبيُّ -صلى الله عليه وسلم- عَنْ حَدِّ الأَمَةِ إذا زَنَتْ ولَم تُحْصَنْ، أي لَم تتزوج، فأخْبَرَ -صَلَّى اللهُ عليه وسلم-: أَنَّ عَلَيْها الْجَلْدَ، وجَلْدُها نِصْفُ ما على الحُرَّة مِنَ الحَدِّ، فَيكُون خمسين جَلْدَة؛ لقوله تعالى: (فَإِذَا أُحْصِنَّ فَإِنْ أَتَيْنَ بِفَاحِشَةٍ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ).
ثُمَّ إذا زَنَتْ ثانيةً، تُجْلَدُ خمسين جلدةً أيْضاً لَعَلَهَا تَرْتَدِع عَنِ الفَاحِشَة.
فإذا زَنَت الثالثة ولم يَرْدَعْها الحَدُّ ولم تَتُبْ إلى اللهِ -تعالى- وتَخْشَ الفَضِيحة حِينئذٍ فاجْلِدُوها الحدَّ وبِيْعُوها، ولو بأقلِّ ثَمَن وهو الحبل الرَّخِيص؛ لأنَّه لا خَيْر في بقائِها، وليس في اسْتقامَتها رجاءٌ قريب وبُعْدُها أوْلَى من قُرْبِها؛ لِئَلَّا تكون سَبَبَ شرٍّ في البيت الذي تُقيمُ فيه.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবিবাহিত দাসীর যিনার শাস্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তখন নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিলেন যে, দাসী যিনা করলে তাকে বেত্রাঘাত করবে। আর দাসীর বেত্রাঘাতের শাস্তি স্বাধীন নারীর শাস্তির অর্ধেক। সুতরাং দাসীর শাস্তি হবে পঞ্চাশ বেত্রাঘাত। কেননা আল্লাহ তা�আলা বলেছেন, �অতঃপর যখন তারা বিবাহিত হবে তখন যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের উপর স্বাধীন নারীর অর্ধেক আযাব হবে।� [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ২৫]
অতপর সে যদি আবার যিনা করে তবে আবার তাকে পঞ্চাশ বেত্রাঘাত করবে। এতে হয়ত সে অশ্লীল কাজ থেকে বিরত হবে। এরপরও যদি সে তৃতীয়বার যিনা করে, শাস্তি তাকে দমন না করে এবং সে তাওবা না করে আর তুমি তার দ্বারা আরো অশ্লীলতার আশঙ্কা করো তাহলে তাকে শাস্তি দিয়ে বিক্রি করে দাও, যদি তা সামান্য রশির বিনিময়েও হয়। কেননা তাকে রেখে দেওয়াতে কোন কল্যাণ নেই এবং শীঘ্রই তার সংশোধন হওয়ার সম্ভাবনা নেই; বরং তাকে কাছে রাখার চেয়ে দূরে সরিয়ে রাখা উত্তম। যাতে তার (মালিকের) বসবাসকারী গৃহে সে অকল্যাণের কারণ না হয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2968

 
Hadith   36   الحديث
الأهمية: مَنْ قَاتَلَ لِتَكُونَ كَلِمَةُ الله هِيَ الْعُلْيَا فَهُوَ فِي سَبِيلِ الله
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জনৈক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল: যে লড়াই করে বীরত্বের জন্য, স্ব-পক্ষের মান রক্ষার জন্যে, এবং লোক দেখানোর জন্যে?

عن أبي موسى الأشعري-رضي الله عنه- قال: �سُئِلَ رَسُولُ الله -صلى الله عليه وسلم- عَنْ الرَّجُلِ: يُقَاتِلُ شَجَاعَةً، وَيُقَاتِلُ حَمِيَّةً، وَيُقَاتِلُ رِيَاءً، أَيُّ ذَلِكَ فِي سَبِيلِ الله؟ فَقَالَ رَسُولُ الله -صلى الله عليه وسلم-: مَنْ قَاتَلَ لِتَكُونَ كَلِمَةُ الله هِيَ الْعُلْيَا، فَهُوَ فِي سَبِيلِ الله�.

আবূ মূসা আল-আশ�আরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জনৈক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল: যে লড়াই করে বীরত্বের জন্য, স্ব-পক্ষের মান রক্ষার জন্যে, এবং লোক দেখানোর জন্যে। তাদের কে আল্লাহর রাস্তায়? নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �যে ব্যক্তি আল্লাহর বাণীকে বুলন্দ রাখার জন্য লড়াই করে সে-ই আল্লাহর পথে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سأل رجل النبي -صلى الله عليه وسلم- عن الرجل يقاتل اًعداء الدين، ولكن الحامل له على القتال هو إظهار الشجاعة والإقدام أمام الناس.
وعن الرجل يقاتل حمية لقومه، أو لوطنه.
ويقاتل الثالث رياءً أمام أنظار الناس أنه من المجاهدين في سبيل الله المستحقين للثناء والتعظيم.
فمن المقاتل في سبيل الله من هؤلاء الثلاثة؟
فأجاب صلى الله عليه وسلم- بأوجز عبارة وأجمع معنى، وهي: أن من قاتل لتكون كلمة الله هي العليا، فهو الذي في سبيل الله، وما عدا هذا، فليس في سبيل الله، لأنه قاتل لغرض آخر.
والأعمال مترتبة على النيات، في صلاحها وفسادها، وهذا عام في جميع الأعمال فالأثر فيها للنية، صلاحاً وفسادا، وأدلة هذا المعنى كثيرة.
এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সে লোক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন যিনি দীনের শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে; কিন্তু তার যুদ্ধ করার উদ্দেশ্য হলো নিজের বীরত্ব প্রদর্শন ও মানুষের সামনে এগিয়ে হওয়া।
আবার আরেক লোক যুদ্ধ করে বংশ ও দেশের মর্যাদার জন্যে।
আবার তৃতীয়জন যুদ্ধ করে লোক দেখানোর জন্যে যে, লোকেরা তাকে আল্লাহর পথের মুজাহিদ বলবে। ফলে সে তাদের প্রশংসা ও সম্মাান পাবে।
তাহলে তাদের তিনজন থেকে কে সত্যিকারে আল্লাহর পথে লড়াই করছে?
তখন নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রশ্নের উত্তরে সংক্ষিপ্তকারে কিন্তু ব্যাপক অর্থবোধক শব্দে বললেন, �যে ব্যক্তি আল্লাহর বাণীকে বুলন্দ রাখার জন্য লড়াই করছে সে ব্যক্তিই আল্লাহর পথে।� আর এ ছাড়া যারাই যুদ্ধ করুক তারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করছে না। কেননা সে অন্য কোন উদ্দেশ অর্জনের জন্য যুদ্ধ করছে।
মানুষের আমলে ভালো ও মন্দ তার নিয়াত অনুসারেই হয়ে থাকে। এ রীতি যাবতীয় আমলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সুতরাং নিয়াত অনুসারেই ভালো বা মন্দ ফল হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে অসংখ্য দলিল রয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2969

 
Hadith   37   الحديث
الأهمية: أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ -رضي الله عنهما-، شَكَوَا الْقَمْلَ إلَى رَسُولِ الله -صلى الله عليه وسلم-
থিম: আব্দুর রহমান ইবন �আওফ এবং যুবায়ের ইবন আ�ওয়াম রাদিয়াল্লাহু �আনহুম এক যুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট (গায়ে) উকুনের উপদ্রবের অভিযোগ করেন।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ -رضي الله عنهم-، شَكَوَا الْقَمْلَ إلَى رَسُولِ الله -صلى الله عليه وسلم- فِي غَزَاةٍ لَهُمَا فَرَخَّصَ لَهُمَا فِي قَمِيصِ الْحَرِيرِ وَرَأَيْته عَلَيْهِمَا.

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, আব্দুর রহমান ইবন �আওফ এবং যুবায়ের ইবন আ�ওওয়াম রাদিয়াল্লাহু <�আনহুম তাদের কোনো এক যুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট (গায়ে) উকুনের উপদ্রবের অভিযোগ করেন। তখন তিনি তাদের রেশমী জামা পরিধানের অনুমতি দেন। (আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন), আমি তাদের গায়ে সে জামা দেখেছি।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
من يسر الدين الإسلامي أنه يرخص في الشيء المحرم لعلة توجب الترخيص وقد رخص الشارع -صلى الله عليه وسلم- للزبير وعبدالرحمن -رضي الله عنهما-    في لبس قمص الحرير مع كونه محرَّمًا على الرجال لكونه يدفع القمل بما جعل الله -سبحانه وتعالى- فيه من الطبيعة المنافية لذلك وكذلك فيه دواء للحكة، وكذلك كل من كان مثلهما.
দীন ইসলামীর উদারতার নিদর্শন হলো যথাযোগ্য কারণ পাওয়া গেলে তা নিষিদ্ধ বস্তু বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে থাকে। যেমন শরী�আত প্রণেতা নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়ের ও আব্দুর রহমান রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমাকে রেশমী জামা পরিধানের অনুমতি দিয়েছেন। কেননা রেশমী কাপড় উকুনকে প্রতিরোধ করে, কারণ আল্লাহ তাতে উকুনের স্বভাব বিরোধী উপাদান রেখেছেন, অনুরূপ তাতে চুলকানীর ওষুধও আছে। আর যারাই তাদের মতো হবে তাদের একই বিধান।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2970

 
Hadith   38   الحديث
الأهمية: ضَحَّى النَّبِيُّ -صلى الله عليه وسلم-    بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقَرْنَيْنِ
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু�শিং বিশিষ্ট সাদা-কালো চিত্রা রং এর দুটি দুম্বা যবেহ করেন ।

عن أنس بن مالكٍ -رضي الله عنه- قال: �ضَحَّى النَّبِيُّ -صلى الله عليه وسلم-    بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقَرْنَيْنِ ذَبَحَهُمَا بِيَدِهِ، وَسَمَّى وَكَبَّرَ وَوَضَعَ رِجْلَهُ عَلَى صِفَاحِهِمَا�.

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু�শিং বিশিষ্ট সাদা-কালো চিত্রা রং এর দুটি দুম্বা নিজ হাতে যবেহ করেন। তিনি �বিসমিল্লাহ� পড়েন, আল্লাহু আকবর বলেন, এবং (যবাহকালে) তাঁর একখানা পা দুম্বার দুটির গর্দানের ওপর রাখেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
من تأكد الأضحية أن النبي -صلى الله عليه وسلم- حث عليها وفعلها -صلى الله عليه وسلم-، فقد ضحى بكبشين، في لونهما بياض وسواد ولكل منهما قرنان.
فذبحها بيده الشريفة لأنها عبادة جليلة قام بها بنفسه، وذكر اسم الله -تعالى- عندها استعانة بالله لتحل بها البركة ويشيعها الخير، وكبر الله -تعالى- لتعظيمه وإجلاله، وإفراده بالعبادة، وإظهار الضعف والخضوع بين يديه -تبارك وتعالى-.
بما أن إحسان الذبحة مطلوب -رحمة بالذبيحة، بسرعة إزهاق روحها- فقد وضع رجله الكريمة على صفاحهما، لئلا يضطربا عند الذبح، فتطول مدة ذبحهما، فيكون تعذيباً لهما، والله رحيم بخلقه.
কুরবানীর গুরুত্বের প্রমাণ যে, নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে নিজে তা বাস্তবায়ন করেছেন। যেমন তিনি দু�টি দুম্বা যবেহ করেছেন, যে দু�টির রং ছিলো সাদা-কালো চিত্রা বর্ণের এবং দুটিই দু�শিং বিশিষ্ট। তিনি নিজের সম্মানিত হাতে যবেহ করেন। কেননা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাই তিনি নিজ হাতে তা সম্পন্ন করেছেন। জবেহ করার সময় আল্লাহর সাহায্য, বরকত ও কল্যাণ লাভে তিনি �বিসমিল্লাহ� পড়েন এবং আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ব বুঝাতে, ইবাদতটি একমাত্র আল্লাহর জন্য করতে এবং আল্লাহর সমীপে নিজের দুর্বলতা ও বিনয় প্রকাশ করতে তিনি আল্লাহু আকবর বলেন। যেহেুত পশু জবাই করার সময় সেগুলোর প্রতি দয়া করা শরী�আতের নির্দেশ � যেমন পশুর প্রতি রহমত প্রদর্শন, দ্রুত জবাই করে রূহ বের করা� তাই তিনি জাবেহকালে তাঁর সম্মানিত একখানা পা দুম্বা দুটির গর্দানের উপর রাখেন যাতে জবাই করার সময় সেগুলো ছটফট না করে।তাহলে জবাই করার সময় দীর্ঘ হবে যা তাদের কষ্টের কারণ হবে। আর আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকুলের প্রতি দয়াশীল।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2971

 
Hadith   39   الحديث
الأهمية: عُرِضْتُ عَلَى رَسُولِ الله-صلى الله عليه وسلم- يَوْمَ أُحُدٍ، وَأَنَا ابْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ؛ فَلَمْ يُجِزْنِي
থিম: উহুদের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে আমাকে উপস্থিত করা হলো, তখন আমি চৌদ্দ বছরের তরুণ। তিনি আমাকে (জিহাদে শরীক হতে) অনুমতি দেন নি।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- قال: �عُرِضْتُ عَلَى رَسُولِ الله -صلى الله عليه وسلم- يوم أُحُدٍ، وَأَنَا ابْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ؛ فَلَمْ يُجِزْنِي، وعرضت عليه يوم الخندق، وأنا ابنُ خَمْسَ عَشْرَةَ فَأَجَازَنِي�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �আমাকে উহুদের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে উপস্থিত করা হলো, তখন আমি চৌদ্দ বছরের তরুণ। তিনি আমাকে (জিহাদে শরীক হতে) অনুমতি দেন নি। পরে খন্দকের যুদ্ধের দিন আমাকে তাঁর সামনে পেশ করা হয়। তখন আমি পনের বছরের তরুণ। তিনি আমাকে (যুদ্ধে যোগদানের) অনুমতি দেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر عبد الله بن عمر -رضي الله عنه- أنه عُرض للذهاب إلى الغزو على رسول الله -صلى الله عليه وسلم- -من باب عرض العسكر على الأمير- في وقعة أحد، وكانت في السنة الثالثة من الهجرة، وعمره أربع عشرة سنة، فرده النبي -صلى الله عليه وسلم- من الذهاب إلى الحرب؛ لصغره، ثم عرض عليه في عام الخندق وكانت في السنة الخامسة، وعمره خمس عشرة سنة، فأجازه النبي -صلى الله عليه وسلم- في المقاتلة، فلعله كان يوم أحد في أول الرابعة عشر، ويوم الخندق في آخر الخامسة عشر.
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু সংবাদ দিয়েছেন যে, তাকে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করতে উহুদের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে � আমীরের সামনে বাছাইয়ের জন্য সৈন্য উপস্থিত করার ন্যায়�উপস্থিত করা হয়েছিলো। এ ঘটনাটি ছিলো তৃতীয় হিজরীতে যখন তার বয়স ছিলো চৌদ্দ বছর। নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম অল্প বয়সের কারণে তাকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দেন নি। অতপর পঞ্চম হিজরীতে খন্দকের যুদ্ধের দিন তাকে আবার তাঁর সামনে পেশ করা হলো। তখন তিনি পনের বছরের ছিলেন। ফলে নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যুদ্ধে যোগদানের অনুমতি দেন। সম্ভবত তিনি অহুদের যুদ্ধের সময় চৌদ্দ বছরের শুরুর দিকে ছিলেন আর খন্দকের যুদ্ধের সময় পনেরো বছরের শেষের দিকে ছিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2972

 
Hadith   40   الحديث
الأهمية: غَدْوَةٌ فِي سَبِيلِ الله، أَوْ رَوْحَةٌ: خَيْرٌ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ وَغَرَبَت
থিম: আল্লাহর পথে এক সকাল বা এক সন্ধ্যা অতিক্রান্ত করা, সূর্য যার উপর উদয় ও অস্ত যায় তাতে যা রয়েছে তা হতে উত্তম।

عن أبُي أَيُوب الأنصَارِيّ -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �غَدْوَةٌ فِي سَبِيلِ الله، أَوْ رَوْحَةٌ: خَيْرٌ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ وَغَرَبَتْ�.
عن أنس -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �غَدْوَةٌ فِي سَبِيلِ الله، أَوْ رَوْحَةٌ: خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا�.

আবূ আইউব আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �আল্লাহর পথে এক সকাল বা এক সন্ধ্যা অতিক্রান্ত করা, সূর্য যার উপর উদয় ও অস্ত যায় তাতে যা রয়েছে তা হতে উত্তম।� আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �আল্লাহর পথে এক সকাল বা এক সন্ধ্যা অতিক্রান্ত করা, পৃথিবী ও তার মধ্যস্থিত যাবতীয় বস্তু অপেক্ষা উত্তম।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذان الحديثان يظهران فضل الجهاد في سبيل الله، ولو كان يسيرًا بقدر الغدوة أو الروحة، فكيف بالكثير الذي فيه مصابرة للأعداء ومقارعة لهم؟، وهذا هو الأصل في المراد بسبيل الله: أنه الجهاد باليد للكفار.
وينبغي أن يعلم أن طلب العلم الشَّرعي نوع عظيم من الجهاد في سبيل الله، وأن الانتصار للحق، ودحض حجج الزنادقة والملحدين والغربيين المبشرين الذين يحاربون الإسلام، ويريدون القضاء عليه، هو من أعظم الجهاد في سبيل الله.
فالقصد من الجهاد، إظهار الإسلام ونصره، فكَبتُ هؤلاء، من الجهاد الكبير العظيم، اللهم وفق المسلمين لنصر دينهم، وإعلاء كلمتك، إنك قريب مجيب.
এ হাদীস দু�টি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার ফযীলতকে স্পষ্ট করে। যদিও তা কম সময়� যেমন এক সকাল বা এক বিকাল হয়। কম সময়ের ফযীলত যদি এত হয়, তাহলে বেশি সময় জিহাদ করা যাতে রয়েছে দুশমনের সাথে মুকাবালা করা এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করা তার ফযীলত কত বেশি হবে। এখানে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ দ্বারা এটিই উদ্দেশ্য, তা হলো কাফিরদের সাথে হাত দ্বারা যুদ্ধ করা। এ কথা আমাদের অবশ্যই জানতে হবে যে, শর�ঈ ইলম শিক্ষা করা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের বড় একটি অধ্যায়। হককে প্রতিষ্ঠিত করা, যিনদীক, নাস্তিক ও পশ্চিমাগোষ্ঠীকে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে অবিরাম যুদ্ধ করছে এবং ইসলামকে নিঃশেষ করতে চায়, তাদের প্রমাণাদিকে খন্ডন করা আল্লাহর রাস্তায় বড় ধরনের জিহাদ। জিহাদের উদ্দেশ্য হলো ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করা ও দীনের সাহায্য করা। সুতরাং তাদের পরিশ্রম অবশ্যই বড় ধরনের জিহাদের অর্ন্তভুক্ত। হে আল্লাহ তুমি মুসলিমদেরকে দীনের সাহায্য করা এবং কালিমাকে সমুন্নত করার তাওফীক দান কর। নিশ্চয় তুমি নিকটবর্তী ও দোয়া কবুলকারী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2973

 
Hadith   41   الحديث
الأهمية: أنَّ رَسُولَ الله -صلى الله عليه وسلم- قَسَمَ فِي النَّفَلِ: لِلْفَرَسِ سَهْمَيْنِ، وَلِلرَّجُلِ سَهْمًا
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণীমতের মাল ঘোড়ার জন্য দুই অংশ এবং পুরুষের জন্য এক অংশ বন্টন করেন।

عن عبد الله بن عمر-رضي الله عنهما- �أَنَّ رَسُولَ الله -صلى الله عليه وسلم- قَسَمَ فِي النَّفَلِ: لِلْفَرَسِ سَهْمَيْنِ، وَلِلرَّجُلِ سَهْمًا�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত: �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণীমতের মাল ঘোড়ার জন্য দুই অংশ এবং পুরুষের জন্য এক অংশ বন্টন করেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قسم في النفل للفرس سهمين وللرجل سهماً، أي أن المجاهد الذي يشارك في الحرب بقرسه يأخذ ثلاثة أضعاف من يشارك بلا فرس، ذلك بأن غَنَاء وإثخان الفرس في الحرب أكثر من غَنَاء وإثخان الرجل وحده بدون فرس، وقد أشار إلى ذلك القرآن الكريم حيث يقول الله -عز وجل-: (فَالْمُغِيرَاتِ صُبْحاً فَأَثَرْنَ بِهِ نَقْعاً فَوَسَطْنَ بِهِ جَمْعاً) [العاديات: 3- 5]، في هذا تنويه بالخيل، وإشارة إلى غنائها في الحرب، وقد قال النبي -صلى الله عليه وسلم-: (الخيل في نواصيها الخير إلى يوم القيامة) رواه بلفظه: البخاري (ح2849) ومسلم (ح1871).
থিম: আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণীমতের মাল অশ্বারোহীর জন্য দুই অংশ এবং পায়ে হাঁটা ব্যক্তির জন্য এক অংশ নির্ধারণ করেছেন। কারণ, যুদ্ধে ঘোড়ার উপকাররিতা ও আক্রমণ ঘোড়া ছাড়া ব্যক্তির তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। এ কথার প্রতি কুরআন ইঙ্গিত করেছেন। যেমন, আল্লাহ তা�আলা বলেন, �অতঃপর যারা প্রত্যুষে হানা দেয়, অতঃপর সে তা দ্বারা ধুলি উড়ায়, অতঃপর এর দ্বারা শত্রুদলের ভেতরে ঢুকে পড়ে;� [সূরা আল-আদীয়াত, আয়াত: ৩-৫] এতে ঘোড়ার প্রশংসা এবং যুদ্ধে তার উপকারিতার প্রতি ইশারা করা হয়েছে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �কিয়ামত অবধি ঘোড়ার কপালেই কল্যাণ নিহিত।�
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2978

 
Hadith   42   الحديث
الأهمية: عَبْدِي بَادَرَنِي بِنَفْسِهِ، حَرَّمْت عَلَيْهِ الْجَنَّة
থিম: আমার বান্দা আমার আগেই তার প্রাণ উৎসর্গ করল (অর্থাৎ আত্মহত্যা করল)। কাজেই আমি তার ওপর জান্নাত হারাম করে দিলাম।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جُنْدُبُ بن عبد اللهِ البجلي -رضي الله عنه- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم -: �كان فيمن كان قبلكم رجل به جُرْحٌ فَجَزِعَ؛ فأخذ سكِّينا فحَزَّ بها يده، فما رَقَأَ الدم حتى مات، قال الله -عز وجل-: عبدي بَادَرَنِي بنفسه، حرمت عليه الجنة�.

জুনদুব ইবন �আবদুল্লাহ্ বাজালী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �তোমাদের পূর্ববর্তী যুগে একজন লোক আঘাত পেয়েছিল। তাতে সে কাতর হয়ে পড়েছিল। এতে সে একটি ছুরি হাতে নিয়ে তা দিয়ে সে তার হাতটি কেটে ফেলল। ফলে রক্তক্ষরণ আর বন্ধ হলো না। শেষ পর্যন্ত সে মারা গেলো। মহান আল্লাহ বললেন, আমার বান্দা আমার আগেই তার প্রাণ উৎসর্গ করল (অর্থাৎ আত্মহত্যা করল)। কাজেই আমি তার ওপর জান্নাত হারাম করে দিলাম�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حدَّثَ النبي -صلى الله عليه وسلم- أصحابَه عن رجلٍ كان فيْمَن قَبلَنا من الأمم الماضية فيه جُرْحٌ مؤلمٌ جَزِع منه، فأَيِسَ من رحمة الله -تعالى- وشفائه، ولم يصبر على ألمه رجاءَ ثوابه؛ لضعفِ داعي الإيمان واليقين في قلبه، فأخذ سكيناً فقطع بها يده، فأصابه نزيف في دمه، فلم يرقأْ وينقطع حتى مات.
قال الله -تعالى- ما معناه: هذا عبدي استبطأ رحمتي وشفائي، ولم يكن له جَلَدٌ على بلائي؛ فعَجَّل إليَّ نفسَه بجنايته المحرمة، وظنَّ أنه قصَّر أجله بقتله نفسه؛ لذا فقد حرمت عليه الجنة، ومن حرم الجنة؛ فالنار مثواه.
ولا شك في علم الله -تعالى- السابق ومشيئته وقضائه لفعل هذا القاتل.
নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে পূর্ববর্তী যুগের একজন লোকের ঘটনা বর্ণনা করেছেন যিনি আঘাত পেয়েছিল এবং তাতে সে কাতর হয়ে পড়েছিল। লোকটি আল্লাহর রহমত ও তাঁর আরোগ্যতা থেকে নিরাশ হয়ে পড়ল। সে তার দুর্বল ঈমান ও ইয়াকীনের কারণে আঘাতে সাওয়াবের প্রত্যাশায় ধৈর্যধারণ না করে একটি ছুরি হাতে নিয়ে তা দিয়ে সে তার হাতটি কেটে ফেলল। ফলে রক্তক্ষরণ আর বন্ধ হলো না। শেষ পর্যন্ত সে মারা গেলো।
মহান আল্লাহ যা বলেছেন তার অর্থ হলো, আমার বান্দাটি আমার রহমত ও আরোগ্যতা লাভ থেকে নিরাশ হয়েছে। সে আমার আরোপিত বিপদে ধৈর্যধারণ করেনি। সে হারাম পন্থায় নিজেই প্রাণ দেয়ার ব্যাপারে আমার চেয়ে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করল (অর্থাৎ সে আত্মহত্যা করল)। সে ধারণা করেছে যে, সে আত্মহত্যা করে নিজের হায়াত কমিয়েছে। এ কারণে আমি তার ওপর জান্নাত হারাম করে দিলাম। সুতরাং জাহান্নামই তার আবাসস্থল।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2981

 
Hadith   43   الحديث
الأهمية: أَنَّ رَسُولَ الله-صلى الله عليه وسلم- كَانَ يُنَفِّلُ بَعْضَ مَنْ يَبْعَثُ فِي السَّرَايَا لأَنْفُسِهِمْ خَاصَّةً سِوَى قَسْمِ عَامَّةِ الْجَيْشِ
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৈন্যদলে যাদের পাঠাতেন তাদের কতককে সাধারণ সৈন্যের অংশ ব্যতিত অতিরিক্ত বিশেষ গণীমত প্রদান করতেন।

عن عَبْدُ الله بن عمر-رضي الله عنهما- �أَنَّ رَسُولَ الله-صلى الله عليه وسلم- كَانَ يُنَفِّلُ بَعْضَ مَنْ يَبْعَثُ فِي السَّرَايَا لأَنْفُسِهِمْ خَاصَّةً سِوَى قَسْمِ عَامَّةِ الْجَيْشِ�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৈন্যদলে যাদের পাঠাতেন তাদের কতককে সাধারণ সৈন্যের অংশ ব্যতিত অতিরিক্ত বিশেষ গণীমত প্রদান করতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كان يُنَفِّل بعضَ مَن يبعث في السرايا لأنفسهم خاصة، أي: يعطيهم نسبةً مما غنموا خاصة بهم دون سائر الجيش؛ وذلك تشجيعاً وحفزاً لهم على الجهاد.
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৈন্যদলে যাদের পাঠাতেন তাদের কতককে সাধারণ সৈন্যের অংশ ব্যতিত অতিরিক্ত বিশেষ গণীমত প্রদান করতেন।অর্থাৎ যা গণীমত লাভ করেছে তা থেকে তাদের বিশেষভাবে প্রদান করতেন। যা অন্যান্যদের প্রদান করতেন না। এটি তাদের উৎসাহ প্রদান করা এবং জিহাদের ওপর উদ্বুদ্ধ করার জন্য করতেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2982

 
Hadith   44   الحديث
الأهمية: كَانَتْ أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ: مِمَّا أَفَاءَ الله عَلَى رَسُولِهِ -صلى الله عليه وسلم- مِمَّا لَمْ يُوجِفْ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ بِخَيْلٍ وَلا رِكَابٍ
থিম: বনী নাযীরের ধন-সম্পদ ছিল আল্লাহর রাসূলের ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ যাতে মুসলিমগণ কোন উট বা ঘোড়া দোড়াতে হয়নি। তাই তা ছিল কেবল আল্লাহর রাসূলেন জন্য খাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালা তার পরিবারের এক বছরের খরচা আলাদা করে রাখতেন। তারপর অবশিষ্ট সম্পদ আল্লাহর রাস্তার প্রস্তুতি ও ঘোড়ার মধ্যে ব্যয় করতেন।

عن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- قال: �كانت أموال بَنِي النَّضِيرِ: مِمَّا أَفَاءَ الله على رسوله -صلى الله عليه وسلم- مِمَّا لم يُوجِفْ الْمسلمون عليه بِخَيْلٍ وَلا رِكَابٍ وكانت لرسول الله خالصاً، فكان رسول الله-صلى الله عليه وسلم- يَعْزِلُ نفقة أَهْلِهِ سَنَةً، ثُمَّ يجعل مَا بقي في الْكُرَاعِ، وَالسلاحِ عُدَّةً فِي سبيل الله -عز وجل-�.
থিম: উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: বনী নাযীরের ধন-সম্পদ ছিল আল্লাহর রাসূলের ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ যাতে মুসলিমগণ কোন উট বা ঘোড়া দোড়াতে হয়নি। তাই তা ছিল কেবল আল্লাহর রাসূলেন জন্য খাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালা তার পরিবারের এক বছরের খরচা আলাদা করে রাখতেন। তারপর অবশিষ্ট সম্পদ আল্লাহর রাস্তার প্রস্তুতি ও ঘোড়ার মধ্যে ব্যয় করতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لما قدم النبي -صلى الله عليه وسلم- المدينة مهاجراً، وجد حولها طوائف من اليهود، فوادعهم وهادنهم، على أن يبقيهم على دينهم، ولا يحاربوه، ولا يعينوا عليه عَدُوا.
فقتل رجل من الصحابة يقال له عمرو بن أمية الضمري -رضي الله عنه- رجلين من بنى عامر، يظنهما من أعداء المسلمين.
فتحمل النبي -صلى الله عليه وسلم- دية الرجلين، وخرج إلى قرية بنى النضير يستعينهم على الديتين.
فبينما هو جالس في أحد أسواقهم ينتظر إعانتهم، إذ نكثوا العهد وأرادوا قتله.
فجاءه الوحي من السماء بغدرهم، فخرج من قريتهم مُوهِماً لهم وللحاضرين من أصحابه أنه قام لقضاء حاجته، وتوجه إلى المدينة.
فلما أبطأ على أصحابه، خرجوا في أثره فأخبرهم بغدر اليهود- قبَّحَهُمُ الله تعالى- وحاصرهم في قريتهم ستة أيام، حتى تمَّ الاتفاق على أن يخرجوا إلى الشام والحِيرَة وخَيبَرَ.
فكانت أموالهم فَيْئاً بارداً، حصل بلا مشقة تلحق المسلمين، إذ لم يُوجِفُوا عليه بخيل ولا ركاب.
فكانت أموالهم لله ولرسوله، يَدَخِّرُ منها رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قوت أهله لمدة سنة، ويصرف الباقي في مصالح المسلمين العامة، وأولاها في ذلك الوقت عُدةُ الجهاد من الخيل والسلاح، ولكل وقت ما يناسبه من المصارف للمصالح العامة.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাজির হয়ে মদীনায় গমন করলে তিনি তার আসপাশে ইয়াহুদীদের বিভিন্ন দল দেখতে পান। তিনি তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেন যে, তাদেরকে তাদের দীনের ওপর বাকী রাখা হবে তারা তার বিরোধিতা করবে না এবং তার বিপক্ষে দুশমনদের সাহায্য করবে না। সাহাবীগণের থেকে আমর ইবন উমাইয়্যাহ আদ-দামরী রাদিয়াল্লাহু আনহু নামক এক সাহাবী বনী আমেরের দুই লোক ইসলামের দুশমণ ভেবে হত্যা করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম দুই লোকের দিয়্যতের দায়িত্ব নিলেন। তিনি বনী নাযীর এলাকায় গেলেন দুই লোকের দিয়তের বিষয়ে সাহায্য চাওয়ার জন্য। তিনি তাদের সাহায্য পাওয়ার অপেক্ষায় তাদের কোন একটি বাজারে বসে ছিল। তখন তারা চুক্তি ভঙ্গ করলেন এবং তাকে হত্যা করার চেষ্টা করলেন। আসমান থেকে তাদের ঘাতকতা বিষয়ে অহী আসলে তিনি তাদের এলাকা থেকে পায়খানা-পেশাবের ভান করে বের হয়ে পড়লেন এবং মদীনার দিকে রওয়ানা হলেন। তারপর যখন সাহাবীদের নিকট পৌছতে তার দেরি হলো, তখন তারা তাকে খুজতে বের হলেন। তিনি তাদের ইয়াহুদীদের ঘাতকতা সর্স্পকে জানিয়ে দিলেন। আল্লাহ তাদের বিকৃতি করুক। তাদেরকে তাদের এলাকায় ছয়দিন ঘেরাও করে করে রাখা হয়। তারপর তারা শিরিয়া, হীরাহ ও খাইবারে দেশান্তর হওয়ার বিষয়ে একমত হলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে তাদের সম্পদ ছিল শীতল গণীমত যা কোন প্রকার কষ্ট ছাড়াই মুসলিমদের উপার্জন হয়েছিল। কারণ, তাদের বিরুদ্ধে কোন ঘোড়া বা উট দোড়াতে হয়নি। সুতরাং তাদের সম্পদ আল্লাহ ও তার রাসূলের জন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকে তার পরিবারের জন্য এক বছরের খরচা জমা করে রাখতেন এবং বাকী মাল তিনি সাধারণ মুসলিমের কল্যাণে ব্যয় করতেন। আর ঐ সময় উত্তম কল্যাণ ছিল জিহাদের জন্য ঘোড়া ও অস্ত্র ইত্যাদির সামানা প্রস্তুত করা। সাধারণ কল্যাণের জন্য সব সময়েই সময় উপযোগী কিছু ব্যয় খাত থাকে সেখানে ব্যয় করাতে কোন অসুবিধা নেই।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2983

 
Hadith   45   الحديث
الأهمية: مَا أَنْهَرَ الدَّمَ، وَذُكِرَ اسْمُ الله عَلَيْهِ، فَكُلُوهُ، لَيْسَ السِّنَّ وَالظُّفْرَ، وَسَأُحَدِّثُكُمْ عَنْ ذَلِكَ، أَمَّا السِّنُّ: فَعَظْمٌ، وَأَمَّا الظُّفْرُ: فَمُدَى الْحَبَشَةِ
থিম: যে বস্তু রক্ত প্রবাহিত করে ও যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়, সেটা তোমরা আহার করতে পার। কিন্তু দাঁত বা নখ দিয়ে যেন যবেহ না করা হয়। আমি তোমাদেরকে এর কারণ বলে দিচ্ছি। দাঁত তো হাড় আর নখ হলো হাবশীদের ছুরি।

عن رَافِع بْن خَدِيج -رضي الله عنه- قال: �كُنَّا مَعَ رَسُولِ الله-صلى الله عليه وسلم- بِذِي الْحُلَيْفَةِ مِنْ تِهَامَةَ، فَأَصَابَ النَّاسَ جُوعٌ فَأَصَابُوا إبِلاً وَغَنَماً، وَكَانَ النَّبِيُّ -صلى الله عليه وسلم- فِي أُخْرَيَاتِ الْقَوْمِ، فَعَجِلُوا وَذَبَحُوا وَنَصَبُوا الْقُدُورَ فَأَمَرَ النَّبِيُّ -صلى الله عليه وسلم- بِالْقُدُورِ فَأُكْفِئَتْ، ثُمَّ قَسَمَ فَعَدَلَ عَشَرَةً مِنْ الْغَنَمِ بِبَعِيرٍ، فَنَدَّ مِنْهَا بَعِيرٌ فَطَلَبُوهُ فَأَعْيَاهُمْ، وَكَانَ فِي الْقَوْمِ خَيْلٌ يَسِيرَةٌ، فَأَهْوَى رَجُلٌ مِنْهُمْ بِسَهْمٍ، فَحَبَسَهُ الله، فَقَالَ: إنَّ لِهَذِهِ الْبَهَائِمِ أَوَابِدَ كَأَوَابِدِ الْوَحْشِ، فَمَا نَدَّ عَلَيْكُمْ مِنْهَا فَاصْنَعُوا بِهِ هَكَذَا، قُلْتُ: يَا رَسُولُ الله، إنَّا لاقُو الْعَدُوِّ غَداً، وَلَيْسَ مَعَنَا مُدىً، أَفَنَذْبَحُ بِالْقَصَبِ؟ قَالَ: مَا أَنْهَرَ الدَّمَ، وَذُكِرَ اسْمُ الله عَلَيْهِ، فَكُلُوهُ، لَيْسَ السِّنَّ وَالظُّفْرَ، وَسَأُحَدِّثُكُمْ عَنْ ذَلِكَ، أَمَّا السِّنُّ: فَعَظْمٌ، وَأَمَّا الظُّفْرُ: فَمُدَى الْحَبَشَةِ�.

রাফি� ইবনু খাদীজ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, �আমরা নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে তিহামার একটি অংশ যুল-হুলায়ফাতে ছিলাম। মানুষদের ক্ষুধায় পেল। তারা কিছু উট ও বকরী পেলেন। রাফি� রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম দলের পিছনে ছিলেন। তারা তাড়াহুড়া করে গনীমতের মাল বণ্টনের পূর্বে সেগুলোকে যবেহ করে পাত্রে চড়িয়ে দিলেন। তারপর নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশে পাত্র উলটিয়ে ফেলা হল। তারপর তিনি (গনীমতের মাল) বণ্টন শুরু করলেন। তিনি একটি উটের সমান দশটি বকরী নির্ধারণ করেন। হঠাৎ একটি উট পালিয়ে গেল। সাহাবীগণ উটকে ধরার জন্য ছুটলেন, কিন্তু উটটি তাঁদেরকে ক্লান্ত করে ছাড়ল। সে সময় তাঁদের নিকট অল্প সংখ্যক ঘোড়া ছিল। অবশেষে তাঁদের মধ্যে একজন সেটির প্রতি তীর ছুড়লেন। তখন আল্লাহ উটটাকে থামিয়ে দিলেন। তারপর নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চয়ই পলায়নপর বন্য জন্তুদের মতো এ সকল চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে কতক পলায়নপর হয়ে থাকে। কাজেই যদি এসব জন্তুর কোনটা তোমাদের উপর প্রবল হয়ে উঠে তবে তার সাথে এরূপ করবে। (রাবী বলেন), তখন আমার দাদা [রাফি� রাদিয়াল্লাহু <�আনহু] বললেন, আমরা আশঙ্কা করছি যে, কাল শত্রুর সাথে মুকাবিলা হবে। আর আমাদের নিকট কোন ছুরি নেই। তাই আমরা ধারালো বাঁশ দিয়ে যবেহ করতে পারব কি? নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে বস্তু রক্ত প্রবাহিত করে এবং যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়, সেটা তোমরা আহার করতে পার। কিন্তু দাঁত বা নখ দিয়ে যেন যবেহ না করা হয়। আমি তোমাদেরকে এর কারণ বলে দিচ্ছি। দাঁত তো হাড় আর নখ হলো হাবশীদের ছুরি।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر رافع بن خديج -رضي الله عنهما- أنهم كانوا في غزوة من الغزوات مع النبي -صلى الله عليه وسلم- بمكان يقال له: ذو الحليفة، وأنهم أصابوا نعماً كثيرة، فذبحوا من تلك النعم قبل قسمته ولم ينتظروا القسمة، وكان النبي -صلى الله عليه وسلم- متأخراً فأتى إليهم وقد نصبوا القدور، فعمد إلى القدور فكفأها ورملها، أي: حشاها بالتراب، وقال: إن النهبة ليست بأحل من الميتة، ثم قسم فعدل البعير بعشر من الغنم، وحينئذ ذبح كل منهم مما أصاب، أي: من نصيبه الخاص به، ففر بعير منها ولم يقدروا عليه؛ لقلة الخيل، ورماه رجل بسهم فحبسه الله، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: إن لهذه البهائم أوابد كأوابد الوحش، فما ند عليكم منها فاصنعوا به هكذا.
ثم سألوا النبي -صلى الله عليه وسلم- عن الذبح بأي وسيلة، فأخبرهم أن كل ما يسيل الدم، واقترن مع الذبح التسمية، فهو مما يجوز الأكل به، ولكن الظفر سواء كان متصلًا بيد الإنسان أو منفصلًا    من إنسان أو غيره فلا يجوز؛ لأنها سكاكين الكفار، وكذلك السن لا تجوز التذكية به؛ لأنه عظم.
রাফে� ইবনু খাদীজ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু জানান, তারা কোন একটি যুদ্ধে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে ছিলেন। তারা অনেক উট ও বকরী পেলেন। তারা এ সব উট থেকে বণ্টনের পূর্বে যবেহ করলেন এবং তারা বন্টনের অপেক্ষা করলেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছনে ছিলেন। তিনি তাদের নিকট এলেন ইত্যবসরে তারা পাত্র চুলায় চড়িয়ে দিয়েছিল। তিনি পাত্রের নিকট গিয়ে তা উলটিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিলেন। আর তিনি বললেন, লুটের মাল মৃত থেকে অধিক হালাল নয়। তারপর তিনি (গনীমতের মাল) বণ্টন শুরু করলেন। তিনি একটি উটের সমান দশটি বকরী নির্ধারণ করেন। তখন প্রত্যেকে নিজ নিজ অংশ থেকে যবেহ করলেন। হঠাৎ একটি উট পালিয়ে গেল। সাহাবীগণ ঘোড়া কম হওয়ায় উটটিকে ধরতে পারতে ছিল না। অবশেষে তাঁদের মধ্যে একজন সেটির প্রতি তীর ছুড়লেন। তখন আল্লাহ উটটাকে থামিয়ে দিলেন। তারপর নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চয়ই পলায়নপর বন্য জন্তুদের মতো এ সকল চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে কতক পলায়নপর হয়ে থাকে। কাজেই যদি এসব জন্তুর কোনটা তোমাদের উপর প্রবল হয়ে উঠে তবে তার সাথে এরূপ করবে। তারপর তারা রাসূলুল্লাহকে কোন উপায়ে যবেহ করবে জিজ্ঞাসা করল, তখন তিনি তাদের জানান যে, যে বস্তু রক্ত প্রবাহিত করে এবং যবেহ করার সময় যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়, সেটা তোমরা আহার করতে পার। কিন্তু নখ চাই তা মানুষের হাতের সাথে থাকুক বা আলাদা তা দ্বারা যবেহ করা যাবে না। কারণ তা কাফিরদের ছুরি। অনুরূপভাবে দাঁত দ্বারা যবেহ করা জায়েয নাই।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2984

 
Hadith   46   الحديث
الأهمية: لا تَلْبَسُوا الْحَرِيرَ وَلا الدِّيبَاجَ، وَلا تَشْرَبُوا فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَلا تَأْكُلُوا فِي صِحَافِهِمَا؛ فَإِنَّهَا لَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَلَكُمْ فِي الآخِرَةِ
থিম: তোমরা রেশম বা রেশম জাত কাপড় পরিধান করো না এবং সোনা ও রূপার পাত্রে পান করো না। এগুলোর বাসনে আহার করো না। কেননা পৃথিবীতে এগুলো কাফিরদের জন্য আর পরকালে তোমাদের জন্য।

عن حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ -رضي الله عنهما- مرفوعاً: �لا تلْبَسُوا الحرير ولا الديباج، ولا تشربوا في آنية الذهب والفضة ولا تأكلوا في صِحَافِهِمَا؛ فإنَّهَا لهم في الدنيا ولكم في الآخرة�.

হুজাইফা ইবন আল-ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �তোমরা রেশম বা রেশম জাত কাপড় পরিধান করো না এবং সোনা ও রূপার পাত্রে পান করো না এবং এগুলোর বাসনে আহার করো না। কেননা পৃথিবীতে এগুলো কাফিরদের জন্য আর পরকালে তোমাদের জন্য�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
نهى النبي -صلى الله عليه وسلم- الرجال عن لُبس الحرير والديباج؛ لما في لبسهما للذكَر من الميوعة والتأنث، والتشبه بالنساء الناعمات المترفات.
والرجل يطلب منه الخشونة والقوة والفتوة.
كما نهى كُلًّا من الرجال والنساء عن الأكل والشرب في صِحَاف الذهب والفضة وآنيتهما؛ والحكمة كما قال -صلى الله عليه وسلم-: أن الأكل فيهما في الدنيا للكفار الذين تعجلوا طيباتهم في حياتهم الدنيا، واستمتعوا بها، وهي لكم -أيها المسلمون خالصة- يوم القيامة إذا اجتنبتموها؛ خوفاً من الله -تعالى- وطمعًا فيما عنده، فمنعًا من التشبه بهم وامتثالًا لأمر الله -تعالى- حُرِّمت.
كما أن من لبس الحرير من الرجال في الدنيا فقد تعجل متعته؛ ولذا فإنه لن يلبسه في الآخرة، ومن تعجل شيئاً قبل أوانه بطريق محرم عوقب بحرمانه والله شديد العقاب.
নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষকে রেশম বা রেশম জাত কাপড় পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। কেননা পুরুষের জন্য এ গুলো পরিধান করাতে তার মধ্যে নরম স্বভাব, মেয়েলীভাব, কোমলতা ও বিলসী নারীর সাদৃশ্য পাওয়া যায়। অথচ পুরুষের হওয়া উচিত কঠোর, শক্তিশালী ও যুবকসূলভ।
এমনিভাবে নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারী-পুরুষ উভয়কে সোনা ও রূপার পাত্রে পানাহার করতে নিষেধ করেছেন। এর হিকমত হলো নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন যে, এগুলোতে দুনিয়াতে পানাহার কাফিররা করে যারা তাদের ভালো জিনিসগুলো দুনিয়াতে দ্রুত নিঃশেষ ও উপভোগ করে। আর তোমাদের জন্য � অর্থাৎ শুধু মুসলিমদের� তা পরকালে। যখন তোমরা আল্লাহর ভয়ে ও আল্লাহর নিকট যা রয়েছে তা পাওয়ার আশায় তা দুনিয়ায় পরিহার করেছিলো। অতঃএব কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য ও আল্লাহর আদেশ মান্য করতে সোনা-রুপার পাত্রে পানাহার করা হারাম করা হয়েছে।
এমনিভাবে যেসব পুরুষ দুনিয়াতে রেশমি কাপড় পরিধান করবে সে তার পরকালীন ভোগসামগ্রী দুনিয়াতে ভোগ করায় আখিরাতে কখনও পরিধান করতে পারবে না। আর কায়েদা হলো, কেউ সময় আসার পূর্বে হারাম পন্থায় কোন কিছু পেতে তাড়াহুড়া করলে তাকে তা থেকে বঞ্চিত করে শাস্তি প্রদান করা হয়। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2985

 
Hadith   47   الحديث
الأهمية: لا تَلْبَسُوا الْحَرِيرَ؛ فَإِنَّهُ مَنْ لَبِسَهُ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَلْبَسْهُ فِي الآخِرَةِ
থিম: তোমরা রেশমী কাপড় পরিধান করো না, কারণ, যে দুনিয়াতে তা পরিধান করবে আখিরাতে সে তা পরিধান করবে না।

عن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -: �لا تَلْبَسُوا الحَرِير؛ فَإِنَّهُ مَنْ لَبِسَهُ في الدنيا لم يَلبَسه في الآخرة�.

উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: তোমরা রেশমী কাপড় পরিধান করো না, কারণ, যে দুনিয়াতে তা পরিধান করবে আখিরাতে সে তা পরিধান করবে না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في هذا الحديث نهي عن لبس الحرير للرجال، وأن عقوبة لابسه أنه لا يلبسه في الآخرة؛ لأن الجزاء من جنس العمل.
পুরুষের জন্য রেশমী কাপড় পরিধান করা হারাম হওয়ার বিষয়টি এ হাদীসটিতে আলোচনা করা হয়েছে। পরিধানকারীর শাস্তি হলো সে আখিরাতে তা পরিধান করবে না। কারণ, শাস্তি আমলের ধরণ অনুযায়ী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2986

 
Hadith   48   الحديث
الأهمية: لَوْ أَنَّ رَجُلاً -أَوْ قَالَ: امْرَأً- اطَّلَعَ عَلَيْكَ بِغَيْرِ إذْنِكَ؛ فَحَذَفْتَهُ بِحَصَاةٍ، فَفَقَأْتَ عَيْنَهُ: مَا كَانَ عَلَيْك جُنَاحٌ
থিম: যদি কোনো পুরুষ অথবা বলেছেন কোনো ব্যক্তি তোমার অনুমতি ব্যতীরেকে তোমার দিকে উঁকি মারে আর তুমি তার প্রতি কঙ্কর নিক্ষেপ করে তার চক্ষু উপড়ে ফেলো, এতে তোমার কোন অপরাধ হবে না।

عن أبي هُريرة -رضي اللهُ عنه- مرفوعًا: �لو أن رجلا -أو قال: امْرَأً- اطَّلَعَ عليك بغير إِذْنِكَ؛ فَحَذَفْتَهُ بحَصَاةٍ، فَفَقَأْتَ عينه: ما كان عليك جُنَاحٌ�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �যদি কোনো পুরুষ অথবা বলেছেন কোনো ব্যক্তি তোমার অনুমতি ব্যতীরেকে তোমার দিকে উঁকি মারে আর তুমি তার প্রতি কঙ্কর নিক্ষেপ করে তার চক্ষু উপড়ে ফেলো, এতে তোমার কোন অপরাধ হবে না।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر النبي -صلى الله عليه وسلم- أنه إذا اطلع إنسانٌ على أحدٍ بغير إذنه من وراء بابه، أو من فوق جداره، أو غير ذلك، ففقأ عينه بأن يرمي حصاة؛ فتصيب عينه، أو أن يطعن عينه بحديدة، فليس على هذا المتلِف إثمٌ ولا قصاصٌ؛ لأن الناظر هو المتعدي والجاني بفعله هذا.
নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছন যে, যখন কোনো ব্যক্তি অনুমতি ব্যতীরেকে কারো দরজা বা দেয়ালের উপর থেকে বা অন্য কোনভাবে উঁকি মারে তাহলে তাকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে তার চক্ষু উপড়ে ফেললে বা তার চোখে লোহা বা অন্য কিছু দিয়ে আঘাত করলে এতে আঘাতকারী ব্যক্তি অন্যের অঙ্গ ধ্বংস করার অপরাধে অপরাধী হবে না এবং তার কোন কিসাসও হবে না। কেননা দৃষ্টিপাতকারী ব্যক্তিই সীমালঙ্ঘনকারী ও এ ধরণের কাজ করায় অপরাধী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2989

 
Hadith   49   الحديث
الأهمية: مَا رَأَيْتُ مِنْ ذِي لِمَّةٍ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ أَحْسَنَ مِنْ رَسُولِ الله
থিম: লাল পোশাকে ঘন চুলবিশিষ্ট কাউকে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে সুন্দর দেখিনি।

عن البراء بن عازب -رضي الله عنهما- قال: �ما رأيتُ من ذِي لِمَّةٍ في حُلَّةٍ حَمْرَاءَ أحسنَ من رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، له شَعْرٌ يَضْرِبُ مَنْكِبَيْهِ، بعيدُ ما بين المَنْكِبَيْنِ، ليس بالقصير ولا بالطويل�.

বারা ইবন �আযিব রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লাল পোশাকে ঘন চুলবিশিষ্ট কাউকে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে সুন্দর দেখিনি। তাঁর চুল দুই কাঁধ স্পর্শ করতো। উভয় কাঁধের মধ্যে অল্প দূরত্ব ছিলো। তিনি বেঁটেও ছিলেন না, লম্বাও ছিলেন না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
وصف البراء بن عازب -رضي الله عنهما- نبي الله -صلوات الله وسلامه عليه- في هذا الحديث وصفًا يدل على حسنه وجماله، فأخبر أنه لم ير أحدًا شعره يصل إلى شحمة أذنيه، ويلبس حلة حمراء أحسن من رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، ثم ذكر شيئًا من وصفه، فأخبر أنه كان بعيد المنكبين، ولم يكن معيبًا لا بالطول ولا بالقصر-صلى الله عليه وسلم-.
থিম: এ হাদীসে বারা ইবন �আযিব রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা নবী সাল্লাল্লাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লামের শারীরিক গঠন সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন যা দ্বারা তাঁর উত্তম আকৃতি ও সৌন্দর্য প্রমাণিত হয়। তিনি সংবাদ দিয়েছেন যে, কাঁধ পর্যন্ত ঝুলে পড়া ঘন চুলবিশিষ্ট লাল পোশাক পরিহিত কোন লোককে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে সুন্দর দেখেন নি। অতপর তিনি তাঁর আরো গুণাগুণ করেন যে, তাঁর উভয় কাঁধ দূরে ছিলো। তিনি না অধিক লম্বা হওয়া বা না অধিক খাট হওয়ার কারণে ত্রুটি যুক্ত ছিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2990

 
Hadith   50   الحديث
الأهمية: مَا مِنْ مَكْلُومٍ يُكْلَمُ فِي سَبِيلِ الله، إلاَّ جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَكَلْمُهُ يَدْمَى: اللَّوْنُ لَوْنُ الدَّمِ، وَالرِّيحُ رِيحُ الْمِسْكِ
থিম: আল্লাহর পথে কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে কিয়ামতের দিন এমতাবস্থায় আসবে যে, তার ক্ষতস্থান থেকে টকটকে লাল রক্ত ঝরছে: রঙ হবে রক্তের রঙ আর সুগন্ধি হবে কস্তুরীর সুগন্ধি।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-: �ما من مَكْلُومٍ يُكْلَمُ في سبيل الله، إلا جاء يومَ القيامة، وكَلْمُهُ يَدْمَى: اللَّونُ لَوْنُ الدَّمِ، والرِّيحُ رِيحُ المِسْكِ�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �আল্লাহর পথে কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে কিয়ামতের দিন এমতাবস্থায় আসবে যে, তার ক্ষতস্থান থেকে টকটকে লাল রক্ত ঝরছে: রঙ হবে রক্তের রঙ আর সুগন্ধি হবে কস্তুরীর সুগন্ধি।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يُبَينُ النبي -صلى الله عليه وسلم- فضل الجهاد في سبيل الله -تعالى- وما ينال صاحبه، من حسن المثوبة، بأن الذي يجرح في سبيل الله فيُقْتَلُ أو يبرأ، يأتي يوم القيامة على رؤوس الخلائق بِوِسَام الجهاد والبلاء فيه، إذ يجيء بجرحه طَريًّا، فيه لون الدم، وتفوح منه رائحة المسك.
নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ফযীলত ও মুজাহিদের উত্তম পাওনা সম্পর্কে বর্ণনা করেন। তা হলো, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জখম হয়ে শহীদ হয় বা আরোগ্য লাভ করে কিয়ামতের দিন সে সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে জিহাদের ঝাণ্ডা ও জিহাদ করতে যে বালামুসিবাতের সম্মুখীন হয়েছিলেন তা নিয়ে ঘাড় উঁচু করে উপস্থিত হবে। সে তার তাজা জখম নিয়ে উপস্থিত হবে, তাতে রক্তের রঙ থাকবে আর তার থেকে কস্তুরির ঘ্রান বের হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2991

 
Hadith   51   الحديث
الأهمية: مَنْ أَعْتَقَ شِرْكاً لَهُ فِي عَبْدٍ، فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ؛ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ عَدْلٍ، فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ، وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ
থিম: কেউ যদি কোন ক্রীতদাস হতে নিজের অংশ মুক্ত করে আর ক্রীতদাসের মূল্য পরিমাণ অর্থ তার কাছে থাকে, তবে তার উপর দায়িত্ব হবে ক্রীতদাসের ন্যায্য মূল্য নির্ণয় করা। তারপর সে শরীকদেরকে তাদের প্রাপ্য অংশ পরিশোধ করবে এবং ক্রীতদাসটি তার পক্ষ হতে মুক্ত হয়ে যাবে।

عن عَبْدُ الله بن عمر-رضي الله عنهما- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: �مَن أَعْتَقَ شِرْكًا له في عَبْدٍ, فكان له مالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ العَبْدِ: قُوِّمَ عليه قِيمَةَ عَدْلٍ , فأعطى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ, وعَتَقَ عليه العَبْدُ , وإلا فقد عَتَقَ منه ما عَتَقَ�.

আবদুল্লাহ ইবনু �উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু সূত্রে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, কেউ যদি কোন ক্রীতদাস হতে নিজের অংশ মুক্ত করে আর ক্রীতদাসের মূল্য পরিমাণ অর্থ তার কাছে থাকে, তবে তার উপর দায়িত্ব হবে ক্রীতদাসের ন্যায্য মূল্য নির্ণয় করা। তারপর সে শরীকদেরকে তাদের প্রাপ্য অংশ পরিশোধ করবে এবং ক্রীতদাসটি তার পক্ষ হতে মুক্ত হয়ে যাবে, কিন্তু (সে পরিমাণ অর্থ) না থাকলে তার পক্ষ হতে ততটুকুই মুক্ত হবে যতটুকু সে মুক্ত করেছে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
من كان له شراكة، ولو قليلة، في عبد، أو أمة، ثم أعتق جزءا منه، عتق نصيبه بنفس الإعتاق، فإن كان المعتق موسرا -بحيث يستطيع دفع قيمة نصيب شريكه- عتق العبد كله، نصيب المعتق ونصيب شريكه، وينظر قيمة نصيب شريكه التي تساويها في السوق وأعطى شريكه القيمة.
وإن لم يكن موسرا -بحيث لا يملك قيمة نصيب صاحبه- فلا إضرار على صاحبه، فيعتق نصيبه فقط، ويبقى نصيب شريكه رقيقا كما كان.
যে ব্যক্তির কোন গোলাম বা বাঁদিতে সামান্য পরিমাণও অংশিদারিত্ব থাকে অতঃপর সে তার কিছু অংশ আযাদ করে দিল, তাহলে এ আযাদ করা দ্বারা তার অংশ আযাদ করা হবে। যদি আযাদকারী স্বচ্চল হয়; যেমন সে তার শরীকের অংশের মুল্য পরিশোধ করতে সক্ষম তখন পুরো গোলাম মুক্ত হয়ে যাবে। আযাদকারীর অংশ এবং তার অংশিদারের অংশ। আর সে দেখবে তার অংশিদারের অংশের বাজার মূল্য তারপর সে তার শরীককে মূল্য পরিশোধ করবে। আর যদি সে স্বচ্চল না হয়, যেমন সে তার সাথীর অংশের মূল্য পরিশোধের ক্ষমতা না রাখে তখন তার সাথীকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না, ফলে শুধু তার অংশ আযাদ হবে। আর তার অংশিদারের অংশ পূর্বের মতোই গোলাম হিসেবে থেকে যাবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2992

 
Hadith   52   الحديث
الأهمية: مَنْ أَعْتَقَ شِقْصَاً مِنْ مَمْلُوكٍ، فَعَلَيْهِ خَلاصُهُ كُلُّهُ فِي مَالِهِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ؛ قُوِّمَ الْمَمْلُوكُ قِيمَةَ عَدْلٍ
থিম: কেউ তার অংশীদারী গোলাম থেকে নিজের অংশ আযাদ করে দিলে তার দায়িত্ব হয়ে পড়ে নিজস্ব অর্থে সেই গোলামকে পূর্ণ আযাদ করা। যদি তার প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকে, তাহলে গোলামের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: �من أعتق شِقْصَاً مِنْ مملوك، فعليهِ خَلاصُهُ كله في ماله، فإِنْ لم يكن له مال؛ قُوِّمَ المملوك قِيمَةَ عَدْلٍ، ثمَّ اُسْتُسْعِيَ العبد، غير مَشْقُوقٍ عليه�.

আবূ হুরায়রা�রাদিয়াল্লাহু <�আনহু� রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, �কেউ তার অংশীদারী গোলাম থেকে নিজের অংশ আযাদ করে দিলে তার দায়িত্ব হয়ে পড়ে নিজস্ব অর্থে সেই গোলামকে পূর্ণ আযাদ করা। যদি তার প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকে, তাহলে গোলামের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। তারপর (অন্য শরীকদের অংশ পরিশোধের জন্য) তাকে উপার্জনে যেতে বাধ্য করা হবে, তবে তার উপর অতিরিক্ত কষ্ট চাপানো যাবে না�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أن من أعتق نصيباً له في مملوك؛ فإن المعتق يلزمه عتق المملوك كله إذا كان له مال، أي: للمعتِق مال يتحمل ذلك، بأن يدفع لشركائه قيمة حصتهم في المملوك ليصبح حرًّا، أما إذا لم يكن له مال، أو له مال لا يتحمل ذلك، أو يترتب عليه إضرار به؛ فإنه في هذه الحالة يخير العبد بين أمرين:
الأول: أن يبقي نفسه في الملك بقدر الحصة التي بقيت فيكون مبعضاً، أي بعضه رقيق وبعضه معتق؛ فإنه يجوز له في هذه الحالة أن يبقى مملوكاً مبعضاً.
الثاني: أن يعمل ليدفع لمن لم يعتقه نصيبه، بعد أن يقوم المملوك قيمة عدل، ويسمى الاستسعاء.
কেউ তার অংশীদারী গোলাম থেকে নিজের অংশ আযাদ করে দিলে তার সম্পদ থাকলে অংশীদারকে তার অংশের মূল্য পরিশোধ করে তার ওপর দায়িত্ব হয়ে পড়ে নিজস্ব অর্থে সেই গোলামকে পূর্ণ আযাদ করা। আর যদি তার প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকে অথবা যে পরিমাণ সম্পদ আছে তাতে যদি আযাদ করা সম্ভব না হয় অথবা উক্ত সম্পদ দিয়ে আযাদ করলে আযাদকারীর ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তাহলে গোলামকে দু�টির যে কোন একটি কাজ পছন্দ করতে দিতে হবে: প্রথমত: গোলামের যতটুকু আযাদ করা হয়েছে ততটুকু আযাদ রাখা। অর্থাৎ তার কিছু অংশ গোলাম থাকবে আর কিছু অংশ আযাদ থাকবে। এ অবস্থায় তার জন্য আংশিক গোলাম হয়ে থাকা বৈধ।
দ্বিতীয়ত: তার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে অন্য শরীকদের অংশ পরিশোধের জন্য তাকে উপার্জন করতে সুযোগ করে দেওয়া। একে ইসতিস�আ বলা হয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2993

 
Hadith   53   الحديث
الأهمية: مَنْ اقْتَنَى كَلْباً -إلاَّ كَلْبَ صَيْدٍ، أَوْ مَاشِيَةٍ- فَإِنَّهُ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطَانِ
থিম: যে শিকারী কিংবা গৃহপালিত পাহারার কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পালবে, প্রতিদিন তার সাওয়াব থেকে দু�কিরাত কমতে থাকবে।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- قال: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: �مَن اقْتَنَى كَلْبًا -إلا كلبَ صَيْدٍ، أو مَاشِيَةٍ- فإنه يَنْقُصُ من أَجْرِهِ كل يوم قِيرَاطَانِ�.
قال سالم: وكان أبو هريرة يقول: �أو كلبَ حَرْثٍ�، وكان صَاحِبَ حَرْثٍ.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �যে শিকারী কিংবা গৃহপালিত পাহারার কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পালবে, প্রতিদিন তার সাওয়াব থেকে দু�কিরাত কমতে থাকবে।�।
সালিম বলেন, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলতেন, অথবা শস্য-ক্ষেত পাহারার কুকুর ব্যতীত। তিনি শস্য-ক্ষেতের মালিক ছিলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الكلب من البهائم الخسيسة القذرة؛ ولهذا نهى الشرع الشريف الطاهر عن اقتنائه؛ لما فيه من المضار والمفاسد، من ابتعاد الملائكة الكرام البررة عن البيت الذي هو فيه، ولما فيه من الإخافة والترويع والنجاسة والضرر، ولما في اقتنائه من السفه.
ومن اقتناه نقص من أجره كل يوم شيء عظيم، قُرِّب معناه بالقيراطين والله أعلم قدر ذلك؛ لأن هذا عصى الله باقتنائه وإصراره على ذلك.
فإذا دعت الحاجة إليه جاز اقتناؤه في أحد ثلاثة أشياء:
الأولى: حراسة الغنم التي يخشى عليها من الذئب والسارقين.
الثانية: حراسة الحرث.
الثالثة: إذا قصد به الصيد.
فلهذه المنافع يسوغ اقتناؤه وتزول اللائمة عن صاحبه.
কুকুর হলো অপরিচ্ছন্ন নোংরা প্রাণির অন্যতম। তার ক্ষতি ও অনিষ্টতা এবং যে ঘরে কুকুর পালিত হয় সে ঘর থেকে সম্মানিত পুত:পবিত্র ফিরিশতাগণ দূরে চলে যাওয়ায় পবিত্র শরী�আত কুকুর পালন করতে নিষেধ করেছেন। তাছাড়াও কুকুরে রয়েছে ভীতি, হুমকি, অপবিত্রতা ও ক্ষতি এবং কুকুর পালাতে রয়েছে বোকামী।
সুতরাং যে ব্যক্তি কুকুর পালবে প্রতিদিন তার সাওয়াব থেকে বিরাট পরিমাণ সাওয়ার কমতে থাকবে যা প্রায় দু�কিরাত পরিমাণ। এক কিরাত সমান কতো তা আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। কেননা এ ব্যক্তি কুকুর পালন করে আল্লাহর নাফরমানী করল এবং সে পাপের উপর অটল থাকল।
তবে যার কুকুর পালনের প্রয়োজন আছে সে তিনটি কারণে তা পালতে পারবে।
প্রথমত: গৃহপালিত পশু যেগুলোতে নেকড়ে ও চোরের ভয় থাকে সেগুলোর পাহারার জন্য।
দ্বিতীয়ত: শস্য-ক্ষেত পাহারার জন্য।
তৃতীয়ত: শিকার করার উদ্দেশ্যে কুকুর পালা।
উপরোক্ত উপকার সাধনের নিমিত্তে কুকুর পালা বৈধ এবং মালিক থেকে নিন্দা দূরীভুত হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2994

 
Hadith   54   الحديث
الأهمية: مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينِ صَبْرٍ يَقْتَطِعُ بِهَا مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ، هُوَ فِيهَا فَاجِرٌ، لَقِيَ الله وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَان
থিম: যে ব্যক্তি কোন মুসলমান ব্যক্তির মাল নাহক আত্মসাৎ করার জন্য মিথ্যা কসম খাবে, সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে, যখন তিনি তার উপর ক্রোধান্বিত থাকবেন।

عن عبد الله بن مسعودٍ -رضي الله عنه- مرفوعًا: (من حلف على يَمِينِ صَبْرٍ يَقْتَطِعُ بها مال امرئ مسلم، هو فيها فاجر، لقي الله وهو عليه غضبان)، ونزلت: (إن الذين يشترون بعهد الله وأيمانهم ثمنا قليلا) إلى آخر الآية".

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �যে ব্যক্তি কোন মুসলমান ব্যক্তির মাল নাহক আত্মসাৎ করার জন্য মিথ্যা কসম খাবে, সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে, যখন তিনি তার উপর ক্রোধান্বিত থাকবেন। অতঃপর নাযিল হল: যার অর্থ, �যারা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ও নিজেদের শপথ স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করে, পরকালে তাদের কোন অংশ নেই�। আয়াতের শেষ পর্যন্ত।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الحديث وعيد شديد لمن أخذ مال امْرِئ بغير حق، وإنما أخذه بخصومته الفاجرة، ويمينه الكاذبة الآثمة.
فهذا يلْقَى الله وهو عليه غضبان، ومن غضب الله عليه فهو هالك، ثم تلا النبي-صلى الله عليه وسلم- هذه الآية الكريمة، مصداقا لهذا الوعيد الأكيد الشديد من القرآن الكريم.
যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে অপরের সম্পদকে হনন করে তার জন্য হাদীসটিতে রয়েছে কঠিন হুমকি ও শাস্তি। সে অবশ্যই মিথ্যা ও অসৎ শপথ এবং অন্যায় যুক্তি দিয়ে অপরের সম্পদ ছিনিয়ে নিয়েছে। কিয়ামতের দিন এ লোক আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে যে অবস্থায় আল্লাহ তার ওপর ক্ষুব্ধ। আর যার ওপর আল্লাহ ক্ষুব্ধ হবেন সে অবশ্যই ধ্বংস হবে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কঠিন হুমকির প্রমাণ স্বরূপ কুরআনের এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2996

 
Hadith   55   الحديث
الأهمية: مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاحَ فَلَيْسَ مِنَّا
থিম: যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করবে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: �مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاحَ فَلَيْسَ مِنَّا�.

আবূ মূসা আল-আশ�আরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, �যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করল সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يبين النبي -صلى الله عليه وسلم- أن المؤمنين إخوة، يتألم بعضهم لألم بعضهم الآخر ويفرح لفرحه، وأن كلمتهم واحدة فهم يد على من عاداهم.
فيلزمهم الاجتماع والطاعة لإمامهم، وإعانته على من بغى وخرج عليه؛ لأن هذا الخارج شق عصا المسلمين، وحمل عليهم السلاح، وأخافهم فيجب قتاله، حتى يرجع ويفئ إلى أمر الله -تعالى-؛ لأن الخارج عليهم والباغي عليهم، ليس في قلبه، لهم الرحمة الإنسانية، ولا المحبة الإسلامية، فهو خارج عن سبيلهم فليس منهم، فيجب قتاله وتأديبه.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, মুমিনগণ পরস্পর ভাই ভাই। একের দুঃখে অপরে দুঃখ পায়, আবার একের সুখে অন্যে সুখি হয়। তাদের কালিমা এক এবং তারা শত্রুর মোকাবিলায় এক হাত।
সুতরাং তাদের উচিত ঐক্যবদ্ধ থাকা ও তাদের নেতার আনুগত্য করা এবং যারা নেতার বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘন ও বিদ্রোহ করে তাদেরকে প্রতিহত করার মাধ্যমে নেতাকে সাহায্য করা। কেননা উক্ত বিদ্রোহী মুসলিম জামাতকে ছত্রভঙ্গ করল, তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করল এবং ত্রাস সৃষ্টি করল। সুতরাং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ওয়াজিব, যতক্ষণ না সে ফিরে আসে ও আল্লাহর নির্দেশের কাছে মাথানত না করে। কেননা সে মুসলিমের দলের বিরুদ্ধে বের হয়েছে ও বিদ্রোহ করেছে। সুতরাং তার অন্তরে ইসলামি মহব্বত নেই। এ হাদীসের কঠোর হুমকি প্রমাণ করে যে, এই পাপ কবীরা গুনাহ, যা হুমকি ও তিরস্কার থেকে বুঝে আসে। কাজেই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ও তাকে শায়েস্তা করা ওয়াজিব।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2997

 
Hadith   56   الحديث
الأهمية: مَنْ قَتَلَ قَتِيلاً لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ
থিম: যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করবে আর তার জন্য রয়েছে তার ওপর প্রমাণ, তাহলে তার মাল-সামানাহ তার।

عن أبي قتادة الأنصاري -رضي الله عنه- قال: �خَرَجْنَا مَعَ رَسُول الله -صلى الله عليه وسلم- إلَى حُنَيْنٍ -وَذَكَرَ قِصَّةً- فَقَالَ رَسُولُ الله-صلى الله عليه وسلم-: مَنْ قَتَلَ قَتِيلاً لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ� قَالَهَا ثَلاثاً.

আবূ কাতাদা আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হুনাইনে বের হলাম। �এবং তিনি ঘটনাটি উল্লেখ করলেন� তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করবে আর তার জন্য রয়েছে তার ওপর প্রমাণ, তাহলে তার মাল-সামানাহ তার�। এটি তিনি তিনবার বলেছেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال يوم حنين: من قتل قتيلاً له عليه شاهد أو دليل فله سلبه، أي: له ثياب المقتول وسلاحه، ودابته التي قاتل عليها، وأن أبا قتادة قتل رجلاً، وقال لمن حوله: إني قتلت رجلاً، فأقسم على من عرف ذلك أن يشهد لي قالها ثلاثاً.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনাইনের দিন বলেছেন, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করে এর ওপর তার জন্য রয়েছে সাক্ষী বা প্রমাণ, তাহলে তার মাল-সামানাহ তার। অর্থাৎ তার জন্যে রয়েছে নিহত ব্যক্তির মাল-সামানাহ, কাপড়, অস্ত্র এবং যে বাহনের ওপর আরোহণ করে যুদ্ধ করেছে। আর আবু কাতাদাহ এক লোককে হত্যা করল এবং তার আশপাশের লোকদের বলল, আমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছি। যে ব্যক্তি বিষয়টি জানতে পারলো তাকে আমি সপথ করাবো যে, সে যেন আমার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়। এটি তিনি তিনবার বলেছেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2998

 
Hadith   57   الحديث
الأهمية: غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ الله -صلى الله عليه وسلم- سَبْعَ غَزَوَاتٍ، نَأْكُلُ الْجَرَادَ
থিম: আমরা রাসূলুল্লাহুর সাথে সাতটি যুদ্ধ টিড্ডি (ফড়িং) খেতে খেতে করেছি।

عن عَبْد اللهِ بن أبي أوفى -رضي الله عنهما- قال: �غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ الله -صلى الله عليه وسلم- سَبْعَ غَزَوَاتٍ، نَأْكُلُ الْجَرَادَ�.

আব্দুল্লাহ ইবন আবি আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: �আমরা রাসূলুল্লাহুর সাথে সাতটি যুদ্ধ টিড্ডি (ফড়িং) খেতে খেতে করেছি�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أنَّ الله سبحانه وتعالى رَزَقَ أصْحَابَ رَسُولِ اللهِ - صلى الله عليه وسلم - بِسَبْع غَزَوَات يَمُدَّهُم بِالْجَرَاد لعدم وجود القُوتِ عندهم كما أمدَّهم بالعنْبر الذي خرَجَ من البَحْرِ فأكلوا منه في غزوة أخرى.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা�আলা রাসূলের সাহাবীদেরকে সাতটি যুদ্ধে তাদের নিকট কোন খাদ্য না থাকার কারণে টিড্ডি (ফড়িং) দ্বারা রিযিক হিসেবে সাহায্য করেছেন যেমনটি তিনি তাদেরকে আম্বর মাছ দ্বারা সাহায্য করেছিলেন। যে মাছটি সমূদ্র থেকে বের হয়েছিল অপর একটি যুদ্ধে তারা সবাই তা থেকে খেয়েছিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2999





© EsinIslam.Com Designed & produced by The Awqaf London. Please pray for us