عن أُمّ عَطِيَّةَ الأنصارية -رضي الله
عنها- قالت: �دخل علينا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حين تُوُفِّيَتْ
ابنته، فقال: اغْسِلْنَهَا ثلاثا، أو خمسا، أو أكثر من ذلك -إن
رَأَيْتُنَّ ذلك- بماء وَسِدْرٍ، واجْعَلْنَ في الأخيرة كافُورا -أو شيئا
من كافور- فإذا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي �. فلما فَرَغْنَا آذَنَّاهُ،
فأعطانا حَقْوَهُ، وقال: أَشْعِرْنَهَا بِهِ -تعني إزاره-.
وفي رواية
�أو سَبْعا�، وقال: � ابْدَأْنَ بِمَيَامِنِهَا ومَواضِعِ الوُضوء منها�
وإن أُمّ عَطِيَّةَ قالت: وجعلنا رأسها ثلاثة قُرُون�.
উম্মু
আতিয়্যাহ্
আনসারী
রাদিয়াল্লাহু
আনহা
হতে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন:
আল্লাহর
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
কন্যা (যায়নাব)
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহা
ইন্তিকাল
করলে
তিনি
আমাদের
নিকট
এসে
বললেন :
তোমরা
তাকে
তিনবার
বা
পাঁচবার
বা
প্রয়োজন
মনে
করলে
তার
চেয়ে
অধিকবার
বরই
পাতাসহ
পানি
দিয়ে
গোসল
দাও।
শেষবারে
কর্পুর
বা (তিনি
বলেছেন)
কিছু
কর্পুর
ব্যবহার
করবে।
তোমরা
শেষ
করে
আমাকে
খবর
দাও।
আমরা
শেষ
করার
পর
তাঁকে
জানালাম।
তখন
তিনি
তাঁর
চাদরখানি
আমাদেরকে
দিয়ে
বললেন :
এটি
তাঁর
শরীরের
সঙ্গে
জড়িয়ে
দাও।
অপর
বর্ণনায়
বর্ণিত:
�অথবা
সাত
বার�
এবং
তিনি
বলেন,
তার
ডান
দিক
থেকে
এবং
ওযূর
অঙ্গগুলো
থেকে
আরম্ভ
কর।�
আর
উম্মে
আতিয়্যাহ
রদিয়াল্লাহু
আনহা
বলেন,
আমরা
তার
চুলকে
তিনটি
বেনি
করি।
Hadith Explanation بيان الحديث
لما تُوُفيت
زينب -رضي الله عنها-، وهي بنت النبي -صلى الله عليه وسلم- ، دخل
النبي -صلى الله عليه وسلم- على النسوة اللاتي يغسلنها، وفيهن "أم عطية
الأنصارية" ليعلمهن صفة غسلها، لتخرج من هذه الدنيا إلى ربها، طاهرة نقية
فقال: اغسلنها ثلاثاً، أو خمسا، ليكون قطع غسلهن على وتر أو أكثر من ذلك،
إن رَأيْتُنَّ أنها تحتاج إلى الزيادة على الخمس، وأنه لازم.
وليكون
الغسل أنقى، والجسد أصلب، اجعلن مع الماء سدراً، وفي الأخيرة كافورا، لتكون
مطيبة بطيب يبعد عنها الهوام، ويشد جسدها، ووصاهن أن يبدأن بأشرف أعضائها،
من الميامن، وأعضاء الوضوء، وأمرهن - إذا فرغن من غسلها على هذه الكيفية-
أن يخبرنه.
فلما فرغن
وأعلمنه، أعطاهن إزاره الذي باشر جسده الطاهر، ليشعرنها إياه، أي ليكون مما
يلي جسدها، فيكون بركة عليها في قبرها، وقد نقضت النسوة اللاتي يغسلن زينب
رأسها وغسلنه وجعلنه ثلاثة قرون الناصية قرن والجانبان قرنان وألقينه
خلفها.
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
মেয়ে
যয়নব
মারা
যাওয়ার
পর
তিনি
তাকে
যারা
গোসল
দিচ্ছেন
তাদের
নিকট
প্রবেশ
করলেন,
তাদের
গোসলের
পদ্ধতি
শেখানোর
উদ্দেশ্যে
যাতে
এ
দুনিয়া
থেকে
তার
রবের
কাছে
পুত
পবিত্র
অবস্থায়
বের
হয়।
আর
তাদের
মধ্যে
ছিলেন,
উম্মে
আতিয়্যাহ
আল-আনসারী
রাদিয়াল্লাহু
আনহা।
তিনি
তাদের
বললেন,
তোমরা
তাকে
তিনবার
বা
পাঁচবার
বেজোড়
গোসল
দাও
বা
প্রয়োজন
মনে
করলে
তার
চেয়েও
অধিকবার
গোসল
দাও।
অর্থাৎ,
যদি
মনে
করো
পাঁচবারের
বেশি
প্রয়োজন
তাহলে
তাই
করো।
এটি
অবশ্যই
জরুরি
যাতে
তার
গোসল
পরিপূর্ণ
হয়
এবং
শরীর
পরিস্কার
হয়।
আর
পানির
সাথে
বরই
পাতা
দাও
এবং
শেষবারে
কর্পূর
ব্যবহার
করবে,
যাতে
এমন
সুঘ্রাণ
হয়
যদ্বারা
কীট
প্রতঙ্গগুলো
তার
থেকে
দূরে
থাকে
এবং
তার
দেহ
শক্ত
ও
অক্ষত
থাকে।
তারপর
তিনি
তাদের
নির্দেশ
দেন
যে,
তারা
যেন
তার
সম্মানিত
অঙ্গ-
ওযূর
অঙ্গগুলো
দ্বারা
ডান
দিক
থেকে
গোসল
দেওয়া
শুরু
করেন।
তারপর
তিনি
তাদের
নির্দেশ
দেন
যে,
এ
পদ্ধতিতে
তারা
যখন
তাকে
গোসল
দেওয়া
শেষ
করে
তাকে
যেন
খবর
দেয়।
তারা
যখন
গোসল
দেওয়া
শেষ
করল
এবং
তাকে
সংবাদ
দিল,
তখন
তিনি
তাঁর
চাদরখানি
তাদেরকে
দিয়ে
দিলেন,
যে
চাদর
দ্বারা
সে
তার
পবিত্র
দেহকে
ডাকতেন।
যাতে
তা
তার
শরীরের
সাথে
জড়িয়ে
দেয়।
ফলে
তা
তার
কবরে
তার
জন্য
বরকত
হবে।
যে
সব
নারীগণ
তাকে
গোসল
দিয়েছিল
তারা
তার
মাথা
খুলেন
এবং
তা
ধুয়ে
দেন।
আর
তার
চুলকে
তিনটি
বেনি
করেন।
একটি
কপালের
বেনি
আর
দুটি
দুই
পাশের
বেনি
এবং
তার
চুলকে
পিছনে
ফেলে
দেন।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 1751 |
|
Hadith 3 الحديث
الأهمية: حجَّ بي مع رسول الله -صلى الله عليه
وسلم- في حجة الوداع، وأنا ابن سبع سنين
থিম:
বিদায়
হজে
নবী
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
সঙ্গে
আমাকে
নিয়ে
হজ
করা
হয়েছে।
আমি
তখন
সাত
বছরের
ছেলে।� |
عن السَّائب بن يزيد -رضي الله عنهما-
قال: �حُجَّ بي مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- في حجة الوداع، وأنا ابن
سبع سنين�.
সায়েব
ইবন
ইয়াযীদ
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
থেকে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন, �বিদায়
হজে
নবী
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
সঙ্গে
আমাকে
নিয়ে
হজ
করা
হয়েছে।
আমি
তখন
সাত
বছরের
ছেলে।�
Hadith Explanation بيان الحديث
السائب بن يزيد -رضي الله عنهما-
صحابيٌّ صغير، حجَّ به أهْلُهُ على عهد النبي -صلى الله عليه وسلم- فأدرك
حجة الوداع، وأقرهم النبي -عليه الصلاة والسلام- على الحج بالصبيان،
وتُحسَبُ له حجة تطوع، لكن إذا بلغ يَلْزَمُهُ أن يحج مَرةً أخرى حجة
الإسلام، ويفعل الصَّبِيُّ في الحج مثل فعل الكبير من الإحرام والتَّجرُّد
مِنَ المخِيطِ والتلبية ونحوها، فإذا عجز عنها فعلها عنه وَلِيُّهُ، كأبيه
وأمه.
সায়িব
ইবন
ইয়াযীদ
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
একজন
ছোট
সাহাবী।
তার
পরিবার
তাকে
নিয়ে
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
যুগে
হজ
করে
এবং
সে
বিদায়ী
হজ
পায়।
রাসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
সাহাবীগণকে
বাচ্চাদের
নিয়ে
হজ
করার
অনুমতি
দেন।
আর
এটা
তার
নফল
হজ
হিসেবে
গণ্য
হবে।
যখন
সে
বালেগ
হবে
তাকে
পুণরায়
ফরয
হজ
করতে
হবে।
হজে
বাচ্চারাও
বড়দের
মতো
ইহরাম
বাঁধবে,
তালবিয়া
পাঠ
করবে,
সিলাই
করা
কাপড়
পরা
থেকে
বিরত
থাকবে
এবং
অন্যান্য
সব
কাজই
করবে।
যদি
কোনো
কর্ম
করতে
অক্ষম
হয়
তবে
তার
অভিভাবক
যেমন
মাতা
ও
পিতা
তার
পক্ষ
থেকে
সেটা
আদায়
করবে।
আত-তাওযীহ
শরহু
জামে
আস-সহীহ
১২/৪৭৩,
উমদাতুল
কারী,
১০/২১৮,
ইবন
উসাইমীন
এর
শরহু
রিয়াদুস
সালেহীন
৫/৩২৬-৩২৭।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
বুখারী
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2750 |
|
Hadith 4 الحديث
الأهمية: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حَج
على رَحل وكانت زاملته
থিম:
নবী
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বাহনে
চড়ে
হজ
সমাধা
করেন।
আর
ঐ
বাহনটিই
ছিল
প্রয়োজনীয়
যাবতীয়
সাজ-সরঞ্জামের
বাহক। |
عن أنس بن مالك -رضي الله عنه-: أنَّ
رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حَجَّ على رَحْلٍ وكانتْ زَامِلَتَهُ.
আনাস
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
থেকে
মারফু�
হিসেবে
বর্ণিত,
নবী
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বাহনে
চড়ে
হজ্জ
সমাধা
করেন।
আর
ঐ
বাহনটিই
ছিল
প্রয়োজনীয়
যাবতীয়
সাজ-সরঞ্জামের
বাহক।
Hadith Explanation بيان الحديث
حجَّ النبيُّ -عليه الصلاة والسلام- على
ظهر البعير من غير محملٍ وهو الشيء الذي يوضع على البعير، ولم يكن له بعيرٌ
آخر يحمل عليه طعامه ومتاعه، بل يجعَلُهُ معه على هذا البعير،مما يدل على
زهده وتقلله من الدنيا -عليه السلام-، والحديث لا يَدُلُّ على تحريم ركوب
الدواب المريحة والفاخرة في الحج، وإن كان التقلُّلُ من الرفاهية والتنعم
في الحج هو الأفضل اقتداءً برسول الله -صلى الله عليه وسلم-.
থিম:
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
�মাহমাল�
বিহীন (বসার
গদি
ছাড়াই)
উটের
পিঠে
চড়ে
হজ
পালন
করেছেন।
উটের
উপর
রাখার
গদিকে
�মাহমাল�
বলা
হয়।
খাদ্য-পানীয়
ও
আসবাব-পত্র
বহন
করার
তার
দ্বিতীয়
কোনো
উট
ছিল
না।
বিষয়টি
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
দুনিয়ার
প্রতি
অনাসক্তি
ও
স্বল্প
পরিমাণ
গ্রহণের
প্রমাণ
বহণ
করে।
তবে
হাদীসটি
দ্বারা
হজে
আরামদায়ক
ও
উন্নত
যান-বাহন
ব্যবহার
করা
হারাম
হওয়ারর
প্রমাণ
বহন
করে
না।
যদিও
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
সুন্নাতের
অনুসরণ
করে
হজের
মধ্যে
ভোগ-বিলাস
ও
আরাম-আয়েশ
কম
করাই
উত্তম।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
বুখারী
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2751 |
|
Hadith 5 الحديث
الأهمية: رباط يوم وليلة خير من صيام شهر وقيامه،
وإن مات جرى عليه عمله الذي كان يَعمل، وأجري عليه رزقه، وأمن الفتان
থিম:
একদিন
ও
একরাত
সীমান্ত
প্রহরায়
রত
থাকা
একমাস
সিয়াম
ও
কিয়াম
অপেক্ষা
উত্তম।
আর
যদি
ঐ
অবস্থায়
মারা
যায়,
তাহলে
তাতে
ঐসব
কাজের
প্রতিদান
দেওয়া
হবে,
যা
সে
পূর্বে
করত
এবং
তার
রিযিক
অব্যাহত
থাকবে
এবং
তাকে (কবরের)
ফিৎনা
থেকে
মুক্ত
রাখা
হবে। |
عن سلمان الفارسي -رضي الله عنه-
مرفوعاً: �رباط يوم وليلة خير من صيام شهر وقيامه، وإن مات جرى عليه عمله
الذي كان يعمل، وأُجْرِيَ عليه رزقه، وأَمِنَ الفَتَّانَ�.
সালমান
ফারসী
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
থেকে
মারফু
হিসেবে
বর্ণিত, �একদিন
ও
একরাত
সীমান্ত
প্রহরায়
রত
থাকা
একমাস
সিয়াম
ও
কিয়াম
অপেক্ষা
উত্তম।
আর
যদি
ঐ
অবস্থায়
মারা
যায়,
তাহলে
তাতে
ঐসব
কাজের
প্রতিদান
দেওয়া
হবে,
যা
সে
পূর্বে
করত
এবং
তার
রিযক
অব্যাহত
থাকবে
এবং
তাকে (কবরের)
ফিৎনা
থেকে
মুক্ত
রাখা
হবে।�
Hadith Explanation بيان الحديث
حراسة يوم وليلة في سبيل الله لحماية
المسلمين خير من صيام شهر وقيام ليله، وإذا مات المجاهد بقي أجر عمله
مستمراً لا ينقطع، و كذلك يرزق من الجنة ؛لأنه حي عند ربه في الجنة، وتحصل
له كرامة بأن لا يأتيه الملكان ليسألاه، وذلك لأنه مات مرابطاً في سبيل
الله -تعالى-، مع العلم أن الرباط من الجهاد في سبيل الله، لأنه ملازمة
أماكن الحدود لحماية المسلمين من الكفار.
মুসলিমদের
হিফাযতের
জন্য
একরাত
ও
একদিন
পাহারাদারী
করা
একমাস
সিয়াম
ও
কিয়াম
থেকে
উত্তম।
মুজাহিদ
যখন
মারা
যায়
তার
আমলের
সাওয়াব
চালু
থাকে,
বন্ধ
হয়
না।
অনুরূপভাবে
জান্নাত
থেকে
তাকে
খাদ্য
দেওয়া
হয়।
কারণ,
সে
জান্নাতে
তার
রবের
নিকট
জীবিত।
তার
আরও
মর্যাদা
লাভ
হয়
যে,
দু�জন
ফিরিশতা
তাকে
প্রশ্ন
করার
জন্য
আসে
না।
কারণ,
সে
আল্লাহর
রাস্তায়
পাহারারত
অবস্থায়
মারা
গেছেন।
এ
কথাও
স্বীকৃত
যে,
পাহারা
দেওয়া
আল্লাহর
রাস্তায়
জিহাদ
করার
নামান্তর।
কারণ,
পাহারাদারির
অর্থই
হচ্ছে
কাফিরদের
থেকে
মুসলিমদের
রক্ষা
করার
উদ্দেশ্যে
সীমান্তে
অবস্থান
করা।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
মুসলিম
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2752 |
|
Hadith 6 الحديث
الأهمية: عمرة في رمضان تعدل حجة - أو حجة معي
থিম:
রমযানের
মাসে
ওমরাহ
হজের
বরাবর
অথবা
আমার
সঙ্গে
হজের
বরাবর। |
عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما-
مرفوعاً: �عمرة في رمضان تعدل حجة - أو حجة معي�.
ইবন
আব্বাস
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
থেকে
মারফু
হিসেবে
বর্ণিত,
নবী
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, �রমযান
মাসের
ওমরাহ
হজের
সমতুল্য
অথবা
আমার
সঙ্গে
হজের
সমতুল্য।�
Hadith Explanation بيان الحديث
أداء عمرة في شهر رمضان يماثل أجرها أجر
حجة تطوع أو حجة مع النبي -صلى الله عليه وسلم-، والمقصود في الشرف والأجر،
لا أن العمرة في رمضان يحصل بها فريضة الحج.
রমযান
মাসে
ওমরার
সাওয়াব
নফল
হজ
বা
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
সাথে
হজের
সমতুল্য।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2753 |
|
Hadith 7 الحديث
الأهمية: كان النبي-صلى الله عليه وسلم- يعتكف في
كل رمضان عشرة أيام، فلما كان العام الذي قبض فيه اعتكف عشرين يوما
থিম:
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
প্রত্যেক
রমযান
মাসের (শেষ)
দশদিন
ই�তিকাফ
করতেন।
তারপর
যে
বছরে
তিনি
মারা
যান,
সে
বছরে
বিশ
দিন
ই�তিকাফ
করেছিলেন। |
عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: كان
النبي-صلى الله عليه وسلم- يعتكف في كل رمضان عشرة أيام، فلما كان العام
الذي قُبِضَ فيه اعتكف عشرين يوماً.
আবূ
হুরায়রা
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
থেকে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন, �নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
প্রত্যেক
রমযান
মাসের (শেষ)
দশদিন
ই�তিকাফ
করতেন।
তারপর
যে
বছরে
তিনি
মারা
যান,
সে
বছরে
বিশ
দিন
ই�তিকাফ
করেছিলেন।�
Hadith Explanation بيان الحديث
كان النبيُّ -عليه الصلاة والسلام-
يلزمُ المسجدَ مُنقطِعَاً لعبادة الله في كل رمضان عشرة أيامٍ، وكان يعتكف
في العشر الأوسط منه رجاء إدراك ليلة القدر، فلما عَلِمَ أنها في العشر
الأواخر منه اعتكفها، ثم اعتكف في العام الذي ماتَ فِيهِ عِشرين يوماً
زيادة في الطاعة والتقرب لله -تعالى-.
থিম:
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
প্রত্যেক
রমযানের
দশ
দিন
ইবাদতের
জন্য
ফারিগ
হয়ে
মসজিদকে
আঁকড়ে
ধরতেন।
আর
তিনি
মাঝের
দশদিন
কদরের
রাত
পাওয়ার
জন্য
ইতেকাফ
করতেন,
যখন
তিনি
জানলেন
যে
কদরের
রাত
শেষ
দশ
দিনে
তখন
তিনি
ঐ
দশ
দিনে
ইতেকাফ
করলেন।
এরপর
তিনি
যে
বছর
মারা
যান
ঐ
বছরে
বিশদিন
আল্লাহর
অধিক
আনুগত্য
ও
নৈকট্যের
জন্যে
ইতিকাফ
করেন।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
বুখারী
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2754 |
|
Hadith 8 الحديث
الأهمية: كانت عكاظ، ومجنة، وذو المجاز أسوَاقًا
في الجاهلية، فتأَثموا أن يتجروا في المواسم، فنزلت: ليس عليكم جناح أن
تبتغوا فضلًا من ربكم
থিম:
উক্কায,
মাজিন্নাহ
ও
যুল-মাজায
নামক
স্থানগুলো (ইসলামপূর্ব)
জাহেলী
যুগের
বাজার
ছিল।
ফলে
সাহাবায়ে
কেরাম
সে
মৌসুমগুলোতে
ব্যবসা
করাকে
পাপ
মনে
করলেন।
তার
বৈধতার
জন্যে
অবতীর্ণ
হলো,
যার
অর্থ, �(হজের
সময়)
তোমাদের
জন্য
তোমাদের
রবের
অনুগ্রহ
কামনা (ব্যবসা-বাণিজ্যে)
করায়
কোনো
দোষ
নেই। |
عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما-
قال: كانت عُكَاظُ،
ومَجِنَّةُ، وذُو المجَازِ أسوَاقَاً في الجاهلية، فَتَأَثَّمُوا أنْ
يَتَّجِرُوا في المواسم، فنزلت: {ليس عليكم جناح أن تبتغوا فضلاً من ربكم}
"البقرة" (198) في مواسم الحج.
আব্দুল্লাহ
ইবন
আব্বাস
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
কর্তৃক
মারফূ�
হিসেবে
বর্ণিত,
উকায,
মাজিন্নাহ
ও
যুল-মাজায (ইসলামপূর্ব)
জাহেলী
যুগে
প্রসিদ্ধ
বাজার
ছিল।
ফলে
সাহাবায়ে
কেরাম (হজের)
মৌসুমগুলোতে
তথায়
ব্যবসা-বাণিজ্য
করতে
পাপ
মনে
করলেন।
তাই
অবতীর্ণ
হলো,
যার
অর্থ, �(হজের
সময়)
তোমাদের
জন্য
তোমাদের
রবের
অনুগ্রহ
কামনা
করায় (অর্থাৎ
ব্যবসা-বাণিজ্যে)
কোনো
দোষ
নেই।� [সূরা
আল-বাকারাহ,
আয়াত:
১৯৮]
Hadith Explanation بيان الحديث
كانت هذه الأماكن أسواقاً للمشركين من
قبل الإسلام يُتَاجِرُون فيها في أيام الحج، فخاف الصحابة -رضي الله عنهم-
أن يأثموا إذا تَاجَرُوا فيها في أيام الحج، فأنزل الله هذه الآية
ليُبَيِّنَ لهم أنَّ التجارة في موسم الحج لا تُفْسِدُهُ مع أداء النسك على
الوجه الشرعي، على أنَّ التجارة في الحج جائزةٌ، لكنَّ الأولى والأحسن
التفرغ لأداء نسك الحج، فهذا هو الأفضل.
এ
জায়গাগুলো
মুশরিকদের
বাজার
ছিল।
তারা
হজের
মৌসুমে
এখানে
ব্যবসা
বাণিজ্য
করতো।
তাই
হজের
মৌসুমে
তথায়
ব্যবসা-বাণিজ্য
করলে
পাপী
হবেন
সাহাবীরা
আশঙ্কা
করলেন।
তখন
আল্লাহ
তা�আলা
এ
আয়াত
নাযিল
করে
তাদের
জানিয়ে
দেন
যে,
হজের
মৌসুমে
হজের
আহকামগুলো
শর�ঈ
পদ্ধতিতে
আদায়
করে
ব্যবসা
করলে
তাদের
হজ
নষ্ট
হবে
না।
কারণ,
হজের
ভেতর
ব্যবসা
করা
বৈধ।
তবে
উত্তম
ও
ভালো
হচ্ছে
হজের
আহকামগুলো
পালনের
জন্য
পুরোপুরি
ফারেগ
থাকা।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
বুখারী
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2755 |
|
Hadith 9 الحديث
الأهمية: كل ميت يختم على عمله إلا المرابط في
سبيل الله، فإنه يَنْمي له عمله إلى يوم القيامة، ويؤمن فتنة القبر
থিম:
প্রত্যেক
ব্যক্তির
মৃত্যুর
সাথে
সাথে
তার
আমল
শেষ
হয়ে
যায়।
কিন্তু
সীমান্ত
প্রহরীর
সাওয়াব
বন্ধ
হয়
না।
কিয়ামত
পর্যন্ত
তার
আমলের
সাওয়াব
বৃদ্ধি
পেতে
থাকবে
এবং
সে
কবরের
ফিতনা
থেকে
নিরাপদ
থাকবে। |
عن فَضَالَةُ بنُ عُبَيْدٍ وسلمان
الفارسي وعقبة بن عامر الجهني -رضي الله عنهم- مرفوعاً: �كُلُّ مَيِّتٍ
يُخْتَمُ على عَمَلِهِ إلا الُمرَابِطَ في سبيل الله، فإنه يَنْمِي لَهُ
عَمَلَهُ يوم القيامة،
ويُؤَمَّنُ فتنة القبر�.
ফাদালাহ
বিন
উবাইদ,
সালমান
আল-ফারসী
এবং
উকবা
ইবন
আমের
আল-জুহানী
রাদিয়াল্লাহু
আনহুম
থেকে
মরফূ
হিসেবে
বর্ণিত, �প্রত্যেক
ব্যক্তির
মৃত্যুর
সাথে
সাথে
তার
আমল
শেষ
হয়ে
যায়,
কিন্তু
সীমান্ত
প্রহরীর
সাওয়াব
বন্ধ
হয়
না।
কিয়ামত
পর্যন্ত
তার
আমলের
সাওয়াব
বৃদ্ধি
পেতে
থাকবে
এবং
সে
কবরের
ফিতনা
থেকে
নিরাপদ
থাকবে।�
Hadith Explanation بيان الحديث
كُلُّ مَيِّتٍ يَنْقَطِعُ عَمَلُهُ
بالموتِ فلا يُكْتَبُ لَهُ أجرٌ جديدٌ، إلا المرابِطَ في سبيل الله الذي
يَحرِسُ حُدُودَ المسلمين،فإنَّ الله يُكْرِمُهُ ببقاءِ أجْرِ
عَمَلِهِ،ويَأْمَنُ فِتنَةَ القَبْرِ فلا يسأله الملكان.
প্রত্যেক
ব্যক্তির
মৃত্যুর
সাথে
সাথে
তার
আমল
বন্ধ
হয়ে
যায়।
এরপর
তার
জন্য
আর
কোনো
নতুন
সাওয়াব
লিখা
হয়
না।
কিন্তু
সীমান্ত
প্রহরীর
সাওয়াব
বাকী
থাকে
যারা
মুসলিমদের
সীমানা
পাহারা
দেয়।
নিশ্চয়
আল্লাহ
তাআলা
তার
আমলের
সাওয়াব
জারী
রেখে
তাকে
সম্মানিত
করেন
এবং
কবরের
ফিতনা
থেকে
নিরাপদ
রাখেন।
সুতরাং
দুই
ফিরিশতা (মুনকার
ও
নাকির)
তাকে
কোনো
প্রশ্ন
করবে
না।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
তিরমিযী
বর্ণনা
করেছেন। -
এটি
আবূ
দাঊদ
বর্ণনা
করেছেন। -
এটি
আহমাদ
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2756 |
|
Hadith 10 الحديث
الأهمية: من حج، فلم يرفث، ولم يفسق، رجع كيوم
ولدته أمه
থিম:
যে
ব্যক্তি
হজ
পালন
করল
এবং (তাতে)
কোনো
অশ্লীল
কাজ
করল
না
ও
পাপাচার
করল
না,
সে
ব্যক্তি
ঠিক
ঐ
দিনকার
মত (নিষ্পাপ
হয়ে)
বাড়ি
ফিরল,
যেদিন
তার
মা
তাকে
প্রসব
করেছেন। |
عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً:
�مَنْ حَجَّ، فلَمْ يَرْفُثْ، وَلم يَفْسُقْ، رَجَعَ كَيَوْمَ وَلَدْتُهُ
أُمُّهُ�.
আবূ
হুরায়রা
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
থেকে
মরফূ�
হিসেবে
বর্ণিত, �যে
ব্যক্তি
হজ
পালন
করল
এবং (তাতে)
কোন
অশ্লীল
কাজ
করল
না
ও
পাপাচার
করল
না,
সে
ব্যক্তি
ঠিক
ঐ
দিনকার
মত (নিষ্পাপ
হয়ে)
বাড়ি
ফিরল,
যেদিন
তার
মা
তাকে
প্রসব
করেছেন।�
Hadith Explanation بيان الحديث
مَنْ حَجَّ لله -تعالى- ولم يَصْدُرْ
منه كلامٌ قبيحٌ ولا فعلٌ سيءٌ أثناء المناسك، ولم يأتِ بمعصيةٍ رَجَعَ
مِنْ حَجِّهِ مَغْفُوراً له، كما يُولَدُ الصَّبِيُّ سَالماً من الذُّنُوب،
وتكفيرُ الحجِّ للذُّنُوب والخطايا خاصٌّ بصغائر الذنوب، أما الكبائرُ فلا
بُدَّ لها من التوبة.
যে
ব্যক্তি
আল্লাহর
জন্য
হজ
পালন
করল
এবং
হজ
পালনকালীন
তার
থেকে
কোনো
মন্দ
কথা
ও
কাজ
প্রকাশ
পেলো
না
এবং
সে
কোনো
পাপও
করল
না,
সে
তার
হজ
থেকে
ক্ষমাপ্রাপ্ত
হয়ে
ফিরল,
যেমন
শিশু
নিষ্পাপ
হয়ে
জন্ম
লাভ
করে।
আর
হজের
কাফ্ফারা (গুনাহ
মাপের
বিষয়টি)
ছোট
গোনাহ
ও
ভুল-ত্রুটির
সাথে
নির্দিষ্ট,
অন্যদিকে
কবীরা
গোনাহের
জন্য
তাওবা
করা
জরুরী।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2758 |
|
Hadith 11 الحديث
الأهمية: لَكُنَّ أفضل الجهاد: حج مبرور
থিম: �তোমাদের (মহিলাদের)
জন্য
সর্বোত্তম
জিহাদ
হচ্ছে
�মাবরূর�
হজ। |
عن عائشة -رضي الله عنها- قالت:
قُلتُ: يا رَسُولَ الله، نَرَى الجهادَ أفضلَ العمل، أفلا نُجاهِد؟
فقال: �لَكُنَّ أفضلُ الجهادِ: حجٌّ مبرور�.
আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু
আনহা
হতে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন,
আমি
বললাম, �হে
আল্লাহর
রাসূল!
আমরা
জিহাদকে
সর্বোত্তম
আমল
হিসেবে
জানি,
আমরা
কি
জিহাদ
করব
না?�
তিনি
বললেন, �তোমাদের (মহিলাদের)
জন্য
সর্বোত্তম
জিহাদ
হচ্ছে
�মাবরূর�
হজ।�
Hadith Explanation بيان الحديث
كانت أم المؤمنين عائشةُ -رضيَ الله
عنها- والنساءُ معها يعتقدن أنَّ أفضل الأعمال وأكثرها أجراً الجهاد في
سبيل الله ومقاتلة الأعداء، فأرشَدَهُنَّ -عليه الصلاة والسلام- إلى جهادٍ
أفضل في حقهن من القتال، وهو الحج الذي لا إثم يخالطه، سُمِّيَ الحجُّ
جهاداً لأنه جهادٌ للنفس، وفيه بذلٌ للمال وطاقة البدن.
উম্মুল
মুমিনীন
আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহা
ও
তার
সাথে
নারীরা
বিশ্বাস
করত
যে,
সর্বোত্তম
ও
অধিক
সাওয়াবের
আমল
হচ্ছে
আল্লাহর
রাস্তায়
জিহাদ
ও
দুশমনদের
সাথে
যুদ্ধ
করা,
ফলে
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তাদের
ক্ষেত্রে
উত্তম
আমলের
নির্দেশনা
দিলেন,
আর
সেটি
হচ্ছে
এমন
হজ,
যার
সাথে
পাপের
সংমিশ্রন
থাকে
না।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
বুখারী
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2759 |
|
Hadith 12 الحديث
الأهمية: يا عباس، يا عم رسول الله، سلوا الله
العافية في الدنيا والآخرة
থিম:
হে
আব্বাস,
হে
আল্লাহর
রাসূলের
চাচা!
তোমরা
আল্লাহর
কাছে
দুনিয়া
ও
আখিরাতের
নিরাপত্তা
প্রার্থনা
করো। |
عن أبي الفضل العباس بن عبد المطلب -رضي
الله عنه- قال: قلتُ: يا رسول الله عَلِّمْنِي شيئا أسأله الله -تعالى-،
قال: �سَلُوا اللهَ َالعافية� فمكثتُ أياما،ً ثم جِئْتُ فقلتُ: يا رسول
الله علمني شيئا أسأله الله -تعالى-، قال لي: �يا عباس، يا عَم رسول الله،
سَلُوا الله العافية في الدنيا والآخرة�.
আবুল
ফাদাল
আব্বাস
ইবন
আব্দুল
মুত্তালিব
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
থেকে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন,
আমি
জিজ্ঞেস
করলাম, �হে
আল্লাহর
রাসূল!
আমাকে
এমন
কিছু
শিক্ষা
দিন
যা
আমি
আল্লাহর
কাছে
প্রার্থনা
করব।
তিনি
বললেন, �তোমরা
আল্লাহর
কাছে
নিরাপত্তা
প্রার্থনা
করো।
অত:পর
কিছু
দিন
অতিবাহিত
হওয়ার
পরে
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
কাছে
আবার
গেলাম
এবং
তাঁকে
বললাম,
হে
আল্লাহর
রাসূল!
আমাকে
এমন
কিছু
শিক্ষা
দিন
যা
আমি
আল্লাহর
কাছে
প্রার্থনা
করব।
তিনি
আমাকে
বললেন,
হে
আব্বাস,
হে
আল্লাহর
রাসূলের
চাচা!
তোমরা
আল্লাহর
কাছে
দুনিয়া
ও
আখিরাতের
নিরাপত্তা
প্রার্থনা
করো।�
Hadith Explanation بيان الحديث
هذا الحديث من جوامع كلمه -صلى الله
عليه وسلم-، فقد سأله عمه العباس -رضي الله عنه- أن يعلمه دعاءً، فعلمه
دعاءً هو عبارة عن جملة قصيرة، شديدة الإيجاز عميقة الدلالة، استوعبت خير
الدنيا والآخرة، وتنكير لفظ (شيئاً) للتعظيم؛ لأنه يريد شيئاً يسيراً
قولياً يسأل الله به ليس به كلفة مع عظم الأجر فقال: �سلوا الله العافية�،
وعدم تقييد العافية بشيء يجعلها عافية عامة تستلزم السلامة من كل شر دينوي
وأخروي.
এ
হাদীসটি
রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু
�আলাইহি
ওয়াসালামের
জাওয়ামে�উ
কালিম (বক্তব্য
সংক্ষেপ,
অর্থ
ব্যাপক)
এর
অন্তর্গত।
এতে
বাক্য
অতি
সংক্ষিপ্তাকারে
বলা
হয়,
কিন্তু
এর
অর্থ
অনেক
গভীর
ও
ব্যাপক।
হাদীসটিতে
দুনিয়া
ও
আখিরাতের
সব
ধরণের
কল্যাণ
সন্নিবেশিত
হয়েছে।
এখানে
শাইয়ান
শব্দটি
সম্মানার্থে
অনিদিষ্টবাচক
শব্দে
ব্যবহৃত
হয়েছে।
কেননা
বর্ণনাকারী
এর
দ্বারা
উদ্দেশ্য
করেছেন
যে,
তিনি
অতি
ছোট
মৌখিক
দো�আ
শিখে
এর
দ্বারা
আল্লাহর
কাছে
প্রার্থনা
করবে
আর
আল্লাহ
এর
বিনিময়ে
তাকে
অপরিসীম
প্রতিদান
দিবেন।
অত:পর
রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু �আলাইহি
ওয়াসালাম
বললেন, �তোমরা
আল্লাহর
কাছে
নিরাপত্তা
প্রার্থনা
করো।�
তিনি
এখানে
নিরাপত্তাকে
কোন
কিছুর
সাথে
নির্দিষ্ট
করেন
নি;
বরং
সাধারণ
নিরাপত্তা
চেয়েছেন
যা
দুনিয়া
ও
আখিরাতের
যাবতীয়
অকল্যাণ
থেকে
নিরাপত্তা
লাভ
অত্যাবশ্যক
করে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ
লিগাইরিহী] ← → এটি
তিরমিযী
বর্ণনা
করেছেন। -
এটি
আহমাদ
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2932 |
|
Hadith 13 الحديث
الأهمية: إذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلا
يَمْسَحْ يَدَهُ حَتَّى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا
থিম:
যখন
তোমাদের
কেউ
খাবার
খায়
তখন
সে
তার
হাত
নিজে
চাটা
অথবা
চাটানো
ছাড়া
হাত
মুছবে
না।
Hadith Explanation بيان الحديث
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ -رضي الله عنهما-
أَنَّ النَّبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ: ��إذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ
طَعَامًا فَلا يَمْسَحْ يَدَهُ حَتَّى يَلْعَقَهَا، أَوْ يُلْعِقَهَا�.
ইবনে
আব্বাস
রাদিয়াল্লাহু
আনহুমা
থেকে
বর্নিত,
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, �যখন
তোমাদের
কেউ
খাবার
খায়
তখন
সে
তার
হাত
নিজে
চাটা
অথবা
চাটানো
ছাড়া
হাত
মুছবে
না�।
Hadith Explanation بيان الحديث
أمر النَّبِي -صلى الله عليه وسلم- مَنْ
أكل طَعَاماً ألا يَمْسَحَ يده أَو يغسلها حتى يَلْعَقَها أَو يُلْعِقَها،
وقد جاءت علة هذا في بعض الروايات أَنَّهُ لا يَدْرِي في أيّ طَعامِه
الْبَرَكَة، ومِنْ أَجْلِ ذَلِك أَمَرَ النَّبي -صلى الله عليه وسلم-
بِلَعْقِ الأَصَابِعِ فَلَعَلَّ الْبَرَكَة فِيمَا عَلِقَ بِها مِنْ
الطَّعَام.
যে
ব্যক্তি
খাবার
খায়
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তাকে
এ
নির্দেশ
দেন
যে,
সে
যেন
তার
হাত
নিজে
চাটা
বা
চাটানো
ছাড়া
না
মুছে
বা
না
ধোয়।
কারণ,
সে
জানে
না
খাবারের
কোন
অংশে
বরকত
নিহিত।
এ
কারণেই
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
আঙ্গুল
ছাটার
নির্দেশ
দেন।
হতে
পারে
বরকত
খাদ্যের
যে
অংশ
আঙ্গুলের
সাথে
লেগে
আছে
তাতেই
রয়েছে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2935 |
|
Hadith 14 الحديث
الأهمية: إذَا جَمَعَ الله -عَزَّ وَجَلَّ-
الأَوَّلِينَ وَالآخَرِينَ: يُرْفَعُ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ، فَيُقَالُ:
هَذِهِ غَدْرَةُ فُلانِ بْنِ فُلانٍ
থিম:
কিয়ামতের
দিনে
প্রত্যেক
বিশ্বাসঘাতকের
জন্য
একটি
করে (বিশেষ)
পতাকা
নির্দিষ্ট
হবে।
বলা
হবে
যে,
এটা
অমুকের
ছেলে
অমুকের
গাদ্দারির
প্রতীক। |
عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما-
مرفوعاً: "إذا جمع الله -عز وجل- الأَوَّلِينَ والآخِرين: يرفع لكل غادر
لِوَاءٌ، فيقال: هذه غَدْرَةُ فلان بن فلان".
আব্দুল্লাহ
ইবন
উমার
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
হতে
মারফূ�
হিসেবে
বর্ণিত
�কিয়ামতের
দিনে
প্রত্যেক
বিশ্বাসঘাতকের
জন্য
একটি
করে (বিশেষ)
পতাকা
নির্দিষ্ট
হবে।
বলা
হবে
যে,
এটা
অমুকের
ছেলে
অমুকের
গাদ্দারির
প্রতীক।�
Hadith Explanation بيان الحديث
إذا جمع الله الأولين والآخرين يوم
القيامة جيء بكل غادر ومعه علامة غدرته، وهي اللواء المقترن به، فيفتضح بها
بين الناس.
কিয়ামতের
দিন
আল্লাহ
তা�আলা
যখন
পূর্বের
ও
পরের
সবাইকে
একত্র
করবেন
তখন
প্রত্যেক
বিশ্বাসঘাতককে
উপস্থিত
করা
হবে।
আর
তার
সাথে
থাকবে
তার
ঘাতকতার
নির্দশন।
আর
তা
হলো
পতাকা
যা
তার
সাথে
মিলিত
হবে,
তা
দ্বারা
মানুষের
সামনে
তাকে
অপধস্থ
করা
হবে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2936 |
|
Hadith 15 الحديث
الأهمية: أن عمر بن الخطاب اسْتَشَارَ النَّاسَ
فِي إمْلاصِ الْمَرْأَةِ
থিম:
উমার
ইবনুল
খাত্তাব
নারীকে
অকালে
গর্ভপাত
করানো
সম্পর্কে
মানুষের
কাছে
পরামর্শ
চাইলেন।
Hadith Explanation بيان الحديث
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ -رضي الله
عنه- أَنَّهُ اسْتَشَارَ النَّاسَ فِي إمْلاصِ الْمَرْأَةِ، فَقَالَ
الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ: �شَهِدْت النَّبِيَّ -صلى الله عليه وسلم-
قَضَى فِيهِ بِغُرَّةٍ- عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ- فَقَالَ: ائتني بِمَنْ
يَشْهَدُ مَعَك، فَشَهِدَ مَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ�.
উমার
ইবনুল
খাত্তাব
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
থেকে
বর্ণিত,
তিনি
নারীকে
অকালে
গর্ভপাত
করানো
সম্পর্কে
মানুষের
কাছে
পরামর্শ
চাইলেন।
তখন
মুগীরাহ
ইবন
শু�বা
বললেন,
এ
বিষয়ে
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
একটি
গোলাম
অথবা
একটি
বাঁদি
দ্বারা
ফায়সালা
করার
সময়
আমি
উপস্থিত
ছিলাম।
তখন
সে
বলল,
তোমার
সাথে
আরও
যারা
উপস্থিত
ছিল
তাদের
নিয়ে
আসো।
তখন
তার
সাথে
মুহাম্মাদ
ইবন
মাসলামহ
সাক্ষী
দিলেন।
Hadith Explanation بيان الحديث
وضعَت امرأة ولدها ميتاً قبلَ أوان
الولادة على إثر جنايةٍ عليها.
وكان من
عادَة الخليفة العادل عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- أن يستَشير أصحابه
وعلماءَهم في أموره وقضاياه فحين أسقطت هذه المرأة جنيناً ميتاً غيرَ
تامٍّ، أشكل عليه الحكم في ديته، فاستشار الصحابة -رضي الله عنهم- في ذلك.
فأخبرَه
المغيرةُ بن شعبة أنه شهِد النبي -صلى الله عليه وسلم- قضَى بدية الجنين
"بغرَّة" عبد أو أمة.
فأراد عمر
التَّثبُتَ من هذا الحكم، الذي سيكون تشريعاً عاماً إلى يوم القيامة.
فأكَّد
على المغيرة أن يأتي بمن يشهد على صدق قوله وصحة نقله، فشهد محمد بن مسلمة
الأنصاري على صدق ما قال، -رضي الله عنهم أجمعين-.
থিম:
একজন
মহিলার
ওপর
নির্যাতন
করার
ফলে
সে
নিজের
গর্ভের
সন্তান
প্রসবের
সময়
আসার
আগেই
মৃত
অবস্থায়
প্রসব
করে।
ন্যায়
পরায়ণ
খলীফা
উমার
ইবনুল
খাত্তাব
তার
যাবতীয়
কর্মে
ও
বিচার
কার্যে
সিদ্ধান্ত
নিতে
সাহাবীগণ
ও
উলমাদের
পরামর্শ
গ্রহণ
করতেন।
এ
মহিলাটি
যেহেতু
তার
গর্ভজাত
সন্তানকে
অসম্পূর্ণ
অবস্থায়
মৃত
গর্ভপাত
করল
তার
দিয়্যতের
বিধানটি
তার
কাছে
অস্পষ্ট
রইল।
তাই
তিনি
সাহাবীগণের
পরামর্শ
নিলেন।
তখন
মুগীরাহ
ইবন
শু�বা
রাদিয়াল্লাহ
�আনহু
সংবাদ
দেন
যে,
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
গর্ভজাত
সন্তানের
দিয়ত
একটি
গোলাম
অথবা
একটি
বাঁদি
দ্বারা
ফায়সালা
করেন।
তারপর
উমার
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
এ
হুকুমটি
সম্পর্কে
নিশ্চিত
হইতে
চাইলেন
যা
কিয়ামত
পর্যন্তের
জন্য
একটি
সামগ্রিক
আইনে
পরিণত
হবে।
তখন
তিনি
মুগীরাহকে
তাগীদ
দিলেন
যেন
সে
তার
কথার
সত্যতার
ওপর
ও
তার
বর্ণনার
বিশুদ্ধতার
ওপর
সাক্ষী
উপস্থিত
করে।
তখন
মুহাম্মাদ
ইবন
মুসলামাহ
আল-আনসারী
সে
যা
বলেছে
তার
সত্যতার
ওপর
সাক্ষ্য
প্রদান
করেন।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2937 |
|
Hadith 16 الحديث
الأهمية: اسْتَفْتَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ
رَسُولَ الله فِي نَذرٍ كَانَ عَلَى أُمهِ، تُوُفِّيَتْ قَبْلَ أَنْ
تَقْضِيَهُ، قَالَ رَسُولُ الله-صلى الله عليه وسلم-: فَاقْضِهِ عَنْها
থিম:
সা�দ
ইবনু
উবাদা
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম -কে
তার
মায়ের
একটি
মান্নত
সম্পর্কে
জিজ্ঞেস
করেন,
যা
পূর্ণ
করার
আগেই
তার
মা
মারা
যান।
রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বলেন,
তুমি
তার
পক্ষ
থেকে
তা
পূর্ণ
করো। |
عن عَبْدُ الله بْنُ عَبَّاسٍ -رضي الله
عنه- قال: �استَفْتَى سعد بن عُبَادَةَ رسول الله في نَذْرٍ كان على أمِّه،
تُوُفِّيَتْ قبل أَنْ تقضيَهُ، قال رسول الله-صلى الله عليه وسلم-:
فاقْضِهِ عنها�.
ইবনু
�আব্বাস
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
থেকে
বর্ণিত।
সা�দ
ইবনু
উবাদা
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম -কে
তার
মায়ের
একটি
মান্নত
সম্পর্কে
জিজ্ঞেস
করেন,
যা
পূর্ণ
করার
আগেই
তার
মা
মারা
যান।
রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বলেন,
তুমি
তার
পক্ষ
থেকে
তা
পূর্ণ
করো।
Hadith Explanation بيان الحديث
تُوفِيَت أُمُّ سَعْدٍ ولَمْ تَقْضِ
نَذْراً عَلَيْهَا، فسأل ابْنُها سَعْدُ بْنُ عُبَادَة النَّبِيَّ -صلى
الله عليه وسلم- أَنْ يَقْضِيَهُ عَنْهَا، فأجاز له ذلك، وقال: (اقضه
عنها).
থিম:
সা�আদের
মা
মারা
গেল,
অথচ
তার
ওপর
থাকা
মান্নত
সে
পুরো
করতে
পারেনি,
তাই
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তার
ছেলে
সা�আদ
ইবন
উবাদাহকে
নির্দেশ
দিলেন
সে
যেন
তার
মায়ের
পক্ষ
থেকে
তা
পূরণ
করে
দেয়।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2938 |
|
Hadith 17 الحديث
الأهمية: أَتَى النَّبِيَّ -صلى الله عليه وسلم-
عَيْنٌ مِنْ الْمُشْرِكِينَ، وَهُوَ فِي سَفَرِه
থিম:
রাসূলুল্লাহর
নিকট
মুশরিকদের
একজন
গুপ্তচর
উপস্থিত
হলো।
তখন
তিনি
সফরে
ছিলেন। |
عن سلمة بن الأكوع -رضي الله عنه- قال:
�أَتَى النَّبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- عَيْنٌ مِنْ الْمُشْرِكِينَ،
وَهُوَ فِي سَفَرِهِ، فَجَلَسَ عِنْدَ أَصْحَابِهِ يَتَحَدَّثُ، ثُمَّ
انْفَتَلَ، فَقَالَ النَّبِيُّ -صلى الله عليه وسلم-: اُطْلُبُوهُ
وَاقْتُلُوهُ فَقَتَلْتُهُ، فَنَفَّلَنِي سَلَبَهُ�.
فِي
رِوَايَةٍ �فَقَالَ: مَنْ قَتَلَ الرَّجُلَ؟ فَقَالُوا: ابْنُ الأَكْوَعِ
فَقَالَ: لَهُ سَلَبُهُ أَجْمَعُ�.
সালমা
ইবনুল
আকওয়া
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
থেকে
বর্ণিত:
তিনি
বলেন, �রাসূলুল্লাহর
নিকট
মুশরিকদের
একজন
গুপ্তচর
উপস্থিত
হলো।
তখন
তিনি
সফরে
ছিলেন।
সে
সাহাবীদের
সাথে
বসে
কথা
বলছিল।
অতঃপর
সে
চলে
গেল।
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বললেন,
তোমরা
তাকে
তালাশ
কর
এবং
তাকে
হত্যা
কর।
ফলে
আমি
তাকে
হত্যা
করলাম।
তারপর
তিনি
তার
মাল
সামানাহ
নফল
হিসেবে
আমাকে
প্রদান
করলেন�।
অপর
বর্ণনায়
বর্ণিত,
তিনি
জিজ্ঞাসা
করলেন, �লোকটিকে
কে
হত্যা
করল?
তারা
বলল,
ইবনুল
আকওয়া,
তারপর
বলল,
তার
জন্য
তার
সব
মাল-সামানাহ�।
Hadith Explanation بيان الحديث
هذا الحديث في بيان حكم الإسلام فيمن
يتجسس على المسلمين من الكفار الحربيين؛ فقد أخبر سلمة بن الأكوع -رضي الله
عنه-، قال: "أتى النبي -صلى الله عليه وسلم- عين من المشركين" العين
الجاسوس سمي به؛ لأن عمله بالعين، أو لشدة اهتمامه بالرؤية واستغراقه فيها
كأن جميع بدنه صار عينا. "وهو": أي والحال أن النبي -صلى الله عليه وسلم-
"في سفر، فجلس أي: الجاسوس، عند أصحابه يتحدث، ثم انفتل أي: انصرف، فقال
النبي -صلى الله عليه وسلم-: اطلبوه واقتلوه فقتلته، أي: فطلبته فوجدته
فقتلته، فنَفَّلَنِي أي: أعطاني نفلًا، وهو ما يخص به الرجل من الغنيمة،
ويزاد على سهمه، "سَلَبه": أي: ما كان عليه من الثياب والسلاح سمي به؛ لأنه
يسلب عنه، ويدخل في السلب: المركب وما عليه من السرج والآلة، وما معه على
الدابة من مال، وما على وسطه من ذهب وفضة.
এ
হাদীসটিতে
মুসলিম
বিরোধী
কাফিরদের
পক্ষ
থেকে
যারা
মুসলিমদের
বিষয়ে
গোয়েন্দাগিরী
করে
ইসলামে
তাদের
বিধান
সম্পর্কে
আলোচনা
করা
হয়েছে।
সালমা
ইবন
আকওয়া
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
সংবাদ
দেন
যে,
রাসূলুল্লাহর
নিকট
মুশরিকদের
একজন
গুপ্তচর
উপস্থিত
হলো।
আঈন-চোখ
অর্থ
গুপ্তচর।
কারণ,
তার
কর্ম
সাধারণত
চোখ
দিয়ে
হয়ে
থাকে।
অথবা
দেখার
প্রতি
তার
গুরুত্ব
বেশি
হওয়া
এবং
তাতে
সে
অধিক
মগ্ন
হওয়ার
কারণে
তার
পুরো
দেহই
যেন
চোখ
হয়ে
গেছে।
আর
তিনি
অর্থাৎ
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
একটি
সফরে
ছিলেন।
সে
বসে
পড়ল
আর
সাহাবীদের
সাথে
কথা
বলছিল।
অতঃপর
সে
চলে
গেল।
তখন
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বললেন,
তোমরা
তাকে
তালাশ
কর
এবং
তাকে
হত্যা
কর।
ফলে
আমি
তাকে
তালাশ
করলাম
তারপর
তাকে
পেয়ে
হত্যা
করলাম।
তার
মাল
সামানাহ
তিনি
নফল
হিসেবে
আমাকে
প্রদান
করলেন।
অর্থাৎ,
আমাকে
নফল
দান
করলেন।
আর
নফল
হলো,
কোন
মানুষের
জন্য
গণীমতের
মালকে
খাস
করা
এবং
তাকে
তার
অংশের
ওপর
কিছু
অতিরিক্ত
দেওয়া।
সালাবুহু
অর্থাৎ,
তার
নিকট
কাপড়,
অস্ত্র
ইত্যাদি
যা
ছিল
তাকে
�সালাব�
বলে
নাম
করণ
করা
হয়েছে।
কারণ,
তা
তার
থেকে
ছিনিয়ে
নেওয়া
হয়।
সাওয়ারী,
তার
উপর
বিছানো
বিছানা,
অস্ত্র,
বাহনের
ওপর
রাখা
মালামাল
এবং
তার
মাঝে
থাকা
স্বর্ণ
ও
চাঁদি
সবই
সালারেব
অর্ন্তভুক্ত।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
মুসলিম
বর্ণনা
করেছেন। -
মুত্তাফাকুন
�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2939 |
|
Hadith 18 الحديث
الأهمية: أَلا أُنَبِّئكُمْ بِأَكْبَرِ
الكَبَائِرِ
থিম:
আমি
কি
তোমাদেরকে
সবচেয়ে
বড় (কবীরাহ)
গুনাহ
সম্পর্কে
সংবাদ
দেবো
না? |
عن أبي
بَكْرَةَ- رضي الله عنه - عن النبي -صلى الله عليه وسلم- أنه قال:
�أَلا أُنَبِّئُكم بِأَكْبَرِ الْكَبَائِر؟�- ثَلاثا- قُلْنَا: بَلى يا
رسول الله، قَالَ: �الإِشْرَاكُ بِالله وَعُقُوقُ الوالدين، وكان
مُتَّكِئاً فَجَلس، وَقَال: ألا وَقَوْلُ الزور، وَشهَادَةُ الزُّور�، فَما
زال يُكَرِّرُها حتى قُلنَا: لَيْتَه سَكَت.
আবূ
বাকরাহ
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
থেকে
বর্ণিত,
তিনি
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
থেকে
বর্ণনা
করেন,
তিনি
বলেন, �আমি
কি
তোমাদেরকে
সবচেয়ে
বড় (কবীরাহ)
গুনাহ
সম্পর্কে
সংবাদ
দেবো
না?�
তিনবার
বললেন।
আমরা
বললাম,
অবশ্যই,
হে
আল্লাহর
রাসূল।
তিনি
বললেন, �আল্লাহর
সাথে
শরীক
করা,
মাতা-পিতার
নাফরমানী
করা,
তিনি
হেলান
দেয়া
অবস্থায়
ছিলেন,
তারপর
উঠে
বসলেন
এবং
বললেন,
সাবধান!
মিথ্যা
কথা
বলা
ও
মিথ্যা
সাক্ষ্য
দেওয়া।�
তিনি
কথাটি
বার
বার
বলতেছিলেন।
এমনকি
আমরা
বললাম,
যদি
তিনি
চুপ
হতেন।
Hadith Explanation بيان الحديث
أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال
لأصحابه: ألا أنبئكم أي أخبركم بأكبر الكبائر فذكر هذه الثلاث التي هي
الإشراك بالله، وهو اعتداء على مقام الألوهية، وأخذٌ لحقه سبحانه وتعالى،
وإعطاؤه لمن لا يستحقه من المخلوقين العاجزين، وعقوق الوالدين ذنب فظيع؛
لأنه مكافأة للإحسان بالإساءة لأقرب الناس، وشهادة الزور عامَّة لكل قول
مُزوَّر ومكذوب يراد به انتقاص مَن وقع عليه بأخذ من ماله أو اعتداء على
عرضه أو نحو ذلك.
Esin Hadith Text Arabic
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
সাহাবীদের
বললেন,
আমি
কি
তোদেরকে
কবীরাহ
গুনাহ
কী
জানিয়ে
দিব
না?
অতঃপর
তিনি
এই
তিনটি
উল্লেখ
করলেন,
সেগুলো
হলো:
আল্লাহর
সাথে
শরীক
করা।
এটি
হলো
মাকামে
উলুহিয়্যাতের
ওপর
সীমা
লঙ্গন
করা
এবং
আল্লাহ
তা�আলার
অধিকারের
ওপর
হস্তক্ষেপ
করে
তা
এমন
সব
অক্ষম
সৃষ্টিকে
দেওয়া
যারা
তার
উপযুক্ত
নয়।
মাতা-পিতার
নাফরমানি
করা
জঘন্য
অপরাধ।
কারণ,
তা
হলো
সবচেয়ে
নিকটতম
লোককে
মন্দ
আচরণ
দ্বারা
অনুগ্রহের
প্রতিদান
দেওয়া।
আর
মিথ্যা
সাক্ষ্য
দেওয়া।
এটি
সব
ধরনের
মিথ্যা
কথা
ও
অপবাদকে
শামিল
করে।
এর
দ্বারা
উদ্দেশ্য
হলো,
প্রতিপক্ষের
সম্পদ
হনন
করা
বা
তার
ইজ্জত
সম্মান
ইত্যাদির
ওপর
আঘাত
করা।
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2941 |
|
Hadith 19 الحديث
الأهمية: إنَّ الله يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا
بِآبَائِكُمْ
থিম:
অবশ্যই
আল্লাহ
তোমাদেরকে
মাতা-পিতার
নামে
সপথ
করতে
নিষেধ
করেছেন। |
عن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- قال:
قَالَ رَسُولُ الله-صلى الله عليه وسلم-: �إنَّ الله يَنْهَاكُمْ أَن
تَحْلِفُوا بِآبَائِكم�.
وَلمسلم:
�فَمَن كان حَالِفا فَلْيَحْلِف بِالله أو لِيَصْمُت�.
وَفِي
رِوَايَةٍ قَالَ عُمَرُ -رضي الله عنه- قال: �فَوَالله ما حَلَفْتُ بِهَا
منذ سَمِعْت رَسُولَ الله يَنْهَى عَنْهَا، ذَاكراً وَلا آثِراً�.
উমার
ইবন
খাত্তাব
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
থেকে
বর্ণিত:
তিনি
বলেন,
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, �অবশ্যই
আল্লাহ
তোমাদেরকে
মাতা-পিতার
নামে
সপথ
করতে
নিষেধ
করেছেন।�
মুসলিমের
বর্ণনায়
বর্ণিত:
�যে
ব্যক্তি
সপথ
করতে
চায়
সে
যেন
আল্লাহর
নামে
সপথ
করে
অন্যথায়
চুপ
থাকে।�
অপর
বর্ণনায়
বর্ণিত:
উমার
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
বলেন: �আল্লাহর
কসম
আমি
রাসূলুল্লাহকে
নিষেধ
করতে
শোনার
পর
থেকে
আর
কোন
দিন
ইচ্ছাকৃত
বা
কারো
থেকে
বর্ণনা
করে
তা
দ্বারা
সপথ
করিনি।�
Hadith Explanation بيان الحديث
سمِع رسولُ الله -صلى الله عليه وسلم-
عمرَ -رضي الله عنه- وهو
يَحْلِفُ بِأَبيه فَنَادَاهم النَّبي -صلى الله عليه وسلم- رافِعَاً
صَوْتَه:�إنَّ الله يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ� فَامْتَثَلَ
الصَّحَابَةُ أَمْرَ رَسُولِ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- وَأَصْبحُوا لا
يَحلِفُون إلا بالله، حتَّى ذكر عُمَرُ أنَّه لم يحلِف بغير الله منذُ سَمع
رسولَ الله- صلى الله عليه وسلم � ينهى عن ذلك، لا مُتعمِّداً ولا ناقِلاً
لحلِف غيرِه بغيرِ الله .
থিম:
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
উমার
রাদিয়াল্লাহু
আনহুকে
তার
পিতার
নামে
কসম
করতে
শোনে
উচাঁ
আওয়াজে
ডাক
দিয়ে
বললেন,
অবশ্যই
আল্লাহ
তোমাদেরকে
মাতা-পিতার
নামে
সপথ
করতে
নিষেধ
করেছেন।
সাহাবীগণ
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
নির্দেশ
পালন
করলেন
এবং
তারা
আল্লাহর
নাম
ছাড়া
সপথ
করতেন
না।
এমনকি
উমার
রাদিয়াল্লাহু
উল্লেখ
করেন,
তিনি
রাসূলুল্লাহকে
নিষেধ
করতে
শোনার
পর
থেকে
আর
কোন
দিন
ইচ্ছাকৃত
ভাবে
বা
কারো
থেকে
বর্ণনা
করে
আল্লাহর
নাম
ছাড়া
সপথ
করিনি।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2945 |
|
Hadith 20 الحديث
الأهمية: أَنَّ امْرَأَةً وُجِدَتْ فِي بَعْضِ
مَغَازِي النَّبِيِّ -صلى الله عليه وسلم- مَقْتُولَةً
থিম:
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
কোন
একটি
যুদ্ধে
একজন
নারীকে
নিহত
পাওয়া
গেল। |
عن عَبْدُ الله بن عمر -رضي الله عنهما-
�أَنَّ امْرَأَةً وُجِدَتْ فِي بَعْضِ مَغَازِي النَّبِيِّ -صلى الله عليه
وسلم- مَقْتُولَةً، فَأَنْكَرَ النَّبِيُّ -صلى الله عليه وسلم- قَتْلَ
النِّسَاءِ، وَالصِّبْيَانِ�.
আব্দুল্লাহ
ইবন
উমার
রাদিয়াল্লাহু �আনহুমা
থেকে
বর্ণিত;
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
কোন
একটি
যুদ্ধে
একজন
নারীকে
নিহত
পাওয়া
গেল,
তখন
তিনি
নারী
ও
শিশুদের
হত্যা
করতে
নিষেধ
করেন।
Hadith Explanation بيان الحديث
إنكار النبي -صلى الله عليه وسلم- قتل
النساء والصبيان يدل على تحريم قتلهم، وقوله في بعض الأحاديث الواردة في
هذا المعنى: (ما كانت هذه لتقاتل) تنبيه على علة النهي عن قتل النساء؛ لأن
الغالب فيهن عدم المقاتلة وإن كان في بعضهن شر وشجاعة لكن الحكم عُلِّق على
الأغلب، فمن قاتلت قوتلت.
নারী
ও
শিশুদের
হত্যাকে
নিন্দা
করা
দ্বারা
প্রমাণিত
হয়
যে,
তাদের
হত্যা
করা
নিষিদ্ধ।
কোন
কোন
হাদীসে
এ
অর্থে
বর্ণিত
তার
বাণী (এ
নারী
যুদ্ধ
করার
জন্য
ছিল
না)
নারীদের
হত্যা
করা
নিষিদ্ধ
হওয়া
কারণের
প্রতি
দৃষ্টি
আকর্ষণ।
কারণ,
তাদের
মধ্যে
স্বাভাবিক
নিয়ম
হলা
যুদ্ধ
না
করা,
যদিও
তাদের
কারো
কারো
মধ্য
খারাবী
ও
সাহসিকতা
লক্ষ্য
করা
যায়।
কিন্তু
বিধান
অধিকাংশের
সাথে
সম্পৃক্ত
হয়ে
থাকে।
তাই
তাদের
থেকে
যে
নারী
যুদ্ধ
করবে
তাকে
হত্যা
করা
হবে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2949 |
|
Hadith 21 الحديث
الأهمية: يَعَضُّ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ كَمَا
يَعَضُّ الْفَحْلُ، لا دِيَةَ لَك
থিম:
তোমাদের
কেউ
কি
অপর
ভাইকে
এমনভাবে
চিবাতে
পারে
যেমন
উট
চিবায়,
তোমার
কোন
ক্ষতিপূরণ
নেই |
عن عمران بن حصين -رضي الله عنهما- �أن
رجلا عَضَّ يَدَ رجل؛ فَنَزَعَ يَدَهُ من فِيهِ؛ فوقعت ثَنِيَّتُهُ؛
فاختصما إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: يَعَضُّ أحدُكم أخاه كما
يَعَضُّ الفَحْلُ؛ لا دِيَةَ لك�.
ইমরান
ইবন
হুসাইন
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
হতে
বর্ণিত:
এক
ব্যক্তি
অপর
এক
ব্যক্তির
হাত
দাঁত
দিয়ে
কামড়ে
ধরল।
আর
সে
তার
হাত
তার
মুখ
থেকে
টেনে
বের
করল,
ফলে
তার
সামনের
দাঁত
পড়ে
গেল।
তারা
দুইজন (অভিযোগ
নিয়ে)
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
নিকট
গেল।
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বললেন, �তোমাদের
কেউ
কি
অপর
ভাইকে
এমনভাবে
চিবাতে
পারে
যেমন
উট
চিবায়,
তোমার
কোন
ক্ষতিপূরণ
নেই?�
Hadith Explanation بيان الحديث
اعْتَدَى رجلٌ على آخر فعَضَّ يدَه؛
فانتزعَ المعْضُوضُ يدَه من فمِ العاضِّ؛ فسقطت ثنيتاه؛ فاختَصما إلى النبي
-صلى الله عليه وسلم-.
العاضُّ
يُطالبُ بديةِ ثنيتيه السَّاقطتين، والمعضُوضُ يدافع عن نفسه بأنَّه يريد
إنقاذَ يده من أسنانه.
فأنكر
النبي -صلى الله عليه وسلم- على المدَّعِي العاضِّ، كيف يفعل مثل ما يفعله
غِلاظُ الحيوانات؟ وقال: يعضُّ أحدُكم أخاه، ثم بعد هذا يأتي ليُطالِب
بديةِ أسنانه الجانية؟! ليس لك دية؛ فالبادي هو المعتدِي.
এক
ব্যক্তি
অপর
এক
ব্যক্তির
ওপর
সীমা
লঙ্ঘন
করল
এবং
দাঁত
দিয়ে
তার
হাতকে
কামড়ে
ধরল,
ফলে
আহত
ব্যক্তি
কর্তনকারী
ব্যক্তির
মুখ
থেকে
হাত
টেনে
বের
করল,
ফলে
তার
সামনের
দু�টি
দাঁত
পড়ে
যায়।
তারা
দুইজন (অভিযোগ
নিয়ে)
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
নিকট
গেল।
যে
কামড়
দিল
সে
তার
পড়ে
যাওয়া
দুটি
দাঁতের
দিয়্যতের
দাবি
করল।
আর
যাকে
কামড়
দেওয়া
হলো
সে
তাকে
এ
বলে
প্রতিহত
করছে
যে,
সে
তার
হাতকে
তাদের
দাঁতের
থেকে
বাঁচানোর
চেষ্টা
করছে
কেবল।
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
কামড়
দাতার
দাবীকে
প্রত্যাখ্যান
করলেন।
হিংস্র
জন্তু
যে
কাজ
করে
তা
কীভাবে
মানুষ
করতে
পারে?
তিনি
বলেন,
তোমাদের
কেউ
তার
অপর
ভাইকে
কামড়
দেয়
অতঃপর
সে
আসে
তার
অপরাধী
দাঁতসমূহের
দিয়ত
চাইতে।
তোমার
জন্য
কোন
ক্ষতিপূরণ
নেই।
যে
শুরুকারী
সেই
অন্যায়কারী।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2950 |
|
Hadith 22 الحديث
الأهمية: أَنَّ رَسُولَ الله-صلى الله عليه وسلم-
اصْطَنَعَ خَاتَماً مِنْ ذَهَبٍ
থিম:
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
স্বর্ণের
একটি
আংটি
বানালেন। |
عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما-
�أن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - اصْطَنَعَ خَاتَمًا من ذهب، فكان
يجعل فَصَّهُ في باطن كَفِّهِ إذا لَبِسَهُ، فصنع الناس كذلك، ثم إنه جلس
على المنبر فَنَزَعَهُ فقال: إني كنت أَلْبَسُ هذا الخَاتَمَ , وأجعل
فَصَّهُ من داخل, فرمى به ثم قال: والله لا أَلْبَسُهُ أبدا فَنَبَذَ الناس
خَواتِيمَهُمْ�.
وفي
لفظ �جعله في يده اليمنى�.
আব্দুল্লাহ
ইবন
উমার
রাদিয়াল্লাহু
আনহুমা
থেকে
বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
স্বর্ণের
একটি
আংটি
বানালেন।
তিনি
যখন
তা
পরতেন
তখন
তার
নকশাটি
তার
তালুর
ভিতরে
রাখতেন।
লোকেরাও
তাই
করতো।
তারপর
একদিন
তিনি
মিম্বারে
বসলে
তা
খুলে
ফেললেন
এবং
বললেন,
আমি
এ
আংটিটি
পরতাম
এবং
তার
নকশাটি
ভিতরের
দিকে
রাখতাম
তারপর
তা
ফেলে
দিলেন।
অতঃপর
বললেন,
আল্লাহর
কসম
আমি
তা
আর
কখনো
পরিধান
করবো
না।
লোকেরাও
তাদের
আংটিসমূহ
নিক্ষেপ
করে
দিল।
অপর
শব্দে
বর্ণিত,
সেটিকে
সে
তার
ডান
হাতে
রেখে
দিল।
Hadith Explanation بيان الحديث
أمر النبي -صلى الله عليه وسلم- أن يصنع
له خاتم من ذهب، وكان إذا لبسه جعل فصه في باطن كفه اليمنى، فتبعه الصحابة
على ذلك وصنعوا كما صنع، ثم بعد فترة جلس النبي -صلى الله عليه وسلم- على
المنبر ليراه الناس، ثم قال: إني كنت ألبس هذا الخاتم، وأجعل فصه في داخل
كفي، ثم رماه وقال: والله لا ألبسه أبدا، وكان ذلك بعد تحريمه، فرمى
الصحابة خواتيمهم اقتداء برسول الله -صلى الله عليه وسلم-.
থিম:
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তার
জন্য
একটি
স্বর্ণের
আংটি
বানানোর
নির্দেশ
দিলেন।
আর
যখন
তিনি
তা
পরতেন
তখন
তার
নকশাটি
তার
হাতের
কব্জির
ভিতরের
দিকে
রাখতেন।
সাহাবীগণ
এ
বিষয়ে
তার
অনুসরণ
করল
এবং
তারা
তাই
করল
যা
তিনি
করলেন।
কিছুদিন
পর
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
মিম্বারের
ওপর
বসলেন
যাতে
তাকে
মানুষ
দেখতে
পায়।
অতঃপর
তিনি
বললেন,
আমি
এ
আংটিটি
পরিধান
করতাম
এবং
তার
নকশা
কব্জির
নিচে
রাখতাম।
তারপর
তা
তিনি
ফেলে
দিলেন
এবং
বললেন,
আল্লাহর
কসম
আমি
তা
আর
কখনো
পরিধান
করবো
না।
এটি
ছিল
নিষিদ্ধ
হওয়ার
পর।
তারপর
সাহাবীগণও
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
অনুকরণে
তাদের
আংটিসমূহ
নিক্ষেপ
করে
দিলেন।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2951 |
|
Hadith 23 الحديث
الأهمية: كُلُّ شَرَابٍ أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ
থিম:
যে
সকল
পানীয়
নেশা
সৃষ্টি
করে,
তা
হারাম। |
عن عائشة رضي الله عنها: �أَنَّ رسول
الله-صلى الله عليه وسلم-
سُئِل عن الْبِتْعِ؟ فقال: كل شَرَابٍ أَسْكَر فهو حَرَامٌ�.
�আয়িশাহ
রাদয়িাল্লাহু
আনহা
হতে
বর্ণিত।
তিনি
বলেন,
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বলেছেন,
যে
সকল
পানীয়
নেশা
সৃষ্টি
করে,
তা
হারাম।
Hadith Explanation بيان الحديث
سئل النبي -صلى الله عليه وسلم- عن شرب
البتع الذي هو نبيذ العسل، فأتى -صلى الله عليه وسلم- بجواب عام شامل،
مفاده أنه لا عبرة باختلاف الأسماء، ما دام المعنى واحداً، والحقيقة واحدة.
فكل شراب
أسكر، فهو خمر محرَّم، من أي نوع أخذ.
وهو من
جوامع كَلِمه -صلى الله عليه وسلم- وحسن بيانه عن ربه، ولهذا جاء من العلم
في مدة بعثته بما يسعد البشرية في الدنيا والآخرة.
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে
মধুর
পানীয়
মদ
সম্পর্কে
জিজ্ঞেস
করা
হলে,
তিনি
একটি
সামগ্রিক
ও
ব্যাপক
উত্তর
দেন।
যার
সারমর্ম
হলো
নামের
ভিন্নতার
কোন
গুরুত্ব
নাই
যতক্ষণ
পর্যন্ত
তার
উদ্দেশ্য
ও
বাস্তবতা
এক
হবে।
সুতরাং
যে
সকল
পানীয়
নেশা
সৃষ্টি
করে,
তাই
মদ,
হারাম।
যেখান
থেকেই
তা
নেওয়া
হোক।
এটি
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
অল্প
শব্দে
অনেক
অর্থবোধক
বাক্যসমূহের
একটি
বাক্য
এবং
স্বীয়
রবের
পক্ষ
থেকে
তার
সুন্দর
বর্ণনা।
এ
কারণেই
তার
আগমনের
সময়
এমন
ইলমের
আর্বিভাব
হয়
যা
দুনিয়া
ও
আখিরাতে
মানবতার
জন্য
কল্যাণকর
ছিল।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2952 |
|
Hadith 24 الحديث
الأهمية: نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ وَهِيَ مِنْ
خَمْسَةٍ: مِنْ الْعِنَبِ، وَالتَّمْرِ، وَالْعَسَلِ، وَالْحِنْطَةِ،
وَالشَّعِيرِ
থিম:
মদ
হারাম
হওয়ার
বিধান
নাযির
হয়েছে।
আর
তা
পাঁচটি
জিনিষ
থেকে
হয়ে
থাকে।
আঙ্গুর,
খেজুর,
মধু,
গম
ও
জব
থেকে। |
عن عَبْدُ الله بن عمر-رضي الله عنهما-
أن عمر قال -على منبر رسول الله- -صلى الله عليه وسلم- : "أما بعد، أيها
الناس، إنه نزل تحريم الخمر وهي من خمسة: مِنَ العنب، والتمر، والعسل،
والحنطة، والشعير. والخمر: مَا خَامَرَ العَقْلَ. ثَلاثٌ وَدِدْتُ أَنَّ
رَسُولَ الله -صلى الله عليه وسلم- كَانَ عَهِدَ إلَيْنَا فِيهَا عَهْداً
نَنْتَهِي إلَيْهِ: الجَدُّ، والكَلالَةُ، وأَبْوَابٌ مِنَ الرِّبَا".
আব্দুল্লাহ
ইবন
উমার
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
থেকে
বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
মিম্বারে
আরোহণ
করে
ওমর
বলেন,
অতঃপর:
হে
মানব
সকল,
মদ
হারাম
হওয়ার
বিধান
নাযির
হয়েছে।
আর
তা
পাঁচটি
জিনিষ
থেকে
তৈরি
হয়:
আঙ্গুর,
খেজুর,
মধু,
গম
ও
জব।
আর
মদ
বলা
হয়
যা
আকলকে
লুকিয়ে
ফেলে।
তিনটি
বিষয়ে
আমি
খুব
চেয়েছি
যদি
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
আমাদেরকে
তাতে
চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত
দিয়ে
দিতেন,
যার
দিকে
গিয়ে
আমরা
ক্ষান্ত
হতাম:
দাদা,
সন্তানহীন
ব্যক্তি
যার
কোন
মাতা-পিতা
নেই
এবং
সুদের
কতক
অধ্যায়।
Hadith Explanation بيان الحديث
خطب عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- في
مسجد رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وعلى منبره هذه الخطبة، وقرر فيها
-رضي الله عنه- أن الخمر ما خامر العقل، فالخمر لا يختص بالعنب، بل حتى
الشراب المسكر المصنوع من التمر أو العسل أو الحنطة خمر، وقد ذكر عمر -رضي
الله عنه- في خطبته أن ثلاث مسائل فيها إشكال عندهم، تمنى أن لو كان عهد
النبي -صلى الله عليه وسلم- في هذه الثلاث المسائل عهداً إلى أمته ينتهون
إليه فيها، وهي: ميراث الجد، وميراث كل ميت لا ولد له ولا والد، وبعض أبواب
الربا، والحمد لله أن الحكم في هذه الثلاث المسائل معلوم، وليس معنى هذا أن
النبي -صلى الله عليه وسلم- لم يبينهن، فقد أتم الرسالة، وأدى الأمانة،
وبلغ عن الله ما هو أخفى وأقل شأنا منهن، ولكن عمر -رضي الله عنه- يريد أن
يكون فيها نص صريح واضح لا يحتمل الاجتهاد.
উমার
উবনুল
খাত্তাব
রাদিয়াল্লাহু
রাসূলের
মসজিদে
তার
মিম্বারে
আরোহণ
করে
এ
ভাষণ
দেন।
আর
তিনি
তাতে
বলেন
যে,
মদ
বলা
হয়
যা
আকলকে
লুকিয়ে
ফেলে।
সুতরাং
মদ
শুধু
আঙ্গুরের
সাথে
খাস
নয়,
বরং
মদ
হলো
নেশাজাত
পানীয়
যা
খেজুর,
মধু
ও
জব
থেকে
তৈরি
হয়।
তারপর
উমার
রাদিয়াল্লাহু
উল্লেখ
করেন
যে,
তিনটি
মাস�আলা
তার
নিকট
অস্পষ্ট।
সে
আশা
করে
যে,
যদি
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
এ
তিনটি
মাসআলার
ক্ষেত্রে
কোন
সুস্পষ্ট
প্রতিশ্রতি
প্রদান
করতেন
যার
দিকে
উম্মত
ফিরে
যেত।
আর
তা
হলো
দাদার
মীরাস,
সন্তানহীন
ব্যক্তি
যার
কোন
সন্তান
বা
মাতা-পিতা
নেই
তার
মীরাস
এবং
সূদের
কতক
অধ্যায়।
আল-হামদুলিল্ললাহ
এ
তিনটি
মাস�আলার
বিধান
অবশ্যই
জানা।
এর
অর্থ
এ
নয়
যে,
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
এগুলোর
বিধান
স্পষ্ট
করে
বর্ণনা
করেননি।
বরং
তিনি
রিসালাতকে
পূর্ণ
করেছেন
এবং
আমানতকে
আদায়
করেছেন।
আর
আল্লাহর
পক্ষ
থেকে
যা
এর
চেয়েও
কম
গুরুত্বপূর্ণ
ও
গোপন
তাও
তিনি
পৌঁছিয়েছেন।
কিন্তু
উমার
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
চাইলেন,
এ
বিষয়ে
সুস্পষ্ট
সরাসরি
বর্ণনা
যাতে
কোন
ইজতিহাদের
সুযোগ
না
থাকে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2954 |
|
Hadith 25 الحديث
الأهمية: أَنْفَجْنَا أَرْنَباً بِمَرِّ
الظَّهْرَانِ فَسَعَى الْقَوْمُ فَلَغَبُوا
থিম:
মাররুয-যাহরান
নামী
স্থানে
আমরা
একটি
খরগোশকে
উত্যক্ত
করলাম।
লোকেরা
ছুটোছুটি
করে
ক্লান্ত
হয়ে
পড়ল। |
عن أنس -رضي الله عنه- قال:
�أَنْفَجْنَا أَرْنَباً بِمَرِّ الظَّهْرَانِ، فَسَعَى الْقَوْمُ
فَلَغَبُوا، وَأَدْرَكْتُهَا فَأَخَذْتُهَا، فَأَتَيْتُ بِهَا أَبَا
طَلْحَةَ، فَذَبَحَهَا وَبَعَثَ إلَى رَسُولِ الله-صلى الله عليه وسلم-
بِوَرِكِهَا وَفَخِذَيْهَا فَقَبِلَهُ�.
আনাস
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
থেকে
বর্ণিত:
মাররুয-যাহরান
নামী
স্থানে
আমরা
একটি
খরগোশকে
উত্যক্ত
করলাম ।
লোকেরা
ছুটোছুটি
করে
ক্লান্ত
হয়ে
পড়ল।
আর
আমি
তাকে
পেলাম
এবং
ধরলাম।
তারপর
তাকে
নিয়ে
আবূ
তালহার
নিকট
আসলে
সে
তা
জবেহ
করল
এবং
রাসূলুল্লাহর
নিকট
তার
নিতম্ব
ও
রান
প্রেরণ
করলে
তিনি
তা
গ্রহণ
করেন।
Hadith Explanation بيان الحديث
كان النبي -صلى الله عليه وسلم- وأصحابه
في سَفَرٍ، ولعلَّهُم قد نزلُوا في ذلك المكَان الذي هُو مَر الظَّهْرَان؛
فَلَقَدْ نَزَلَ في هذا الموْضِع رَسولُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم-
بأصحابه في عامِ الْفَتْحِ، فَأَثَارُوا أَرْنَباً فَسَعَى الْقَوْمُ خلفها
لِيَأْخُذُوها، قَالَ فَتعبواوا وأدْرَكتُها، وكان أنس بن مالك في ذلك
الوقت في ريْعَانِ شَبَابِهِ، فَأَخَذَهَا وذَهَبَ بِها إلى زَوْجِ
أُمِّهِ، وهو أبو طلحة -رضي الله عنه-، فَذَبَحَهَا وأَهْدَى مِنْهَا إِلى
رسولِ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- الفخذين والورك-وهُو مُلْتَقَى الظَّهْرِ
مَعَ مَرْبَطِ الرِّجْل-؛ فَقَبِلَها، ولَعَلَّه قَدْ أَكَلَ مِنْهَا.
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
ও
তার
সাহাবীগণ
একটি
সফরে
ছিলেন।
হতে
পারে
তারা
যে
স্থানে
অবতরণ
করেন
সেটি
ছিল
�মাররুয
যাহরান�
নামী
স্থান।
এ
স্থানে
আল্লাহর
রাসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তার
সাহাবীদের
নিয়ে
বিজয়ের
বছর
অবতরণ
করেন।
তারা
একটি
খরগোশকে
তাড়া
করল।
সবাই
সেটিকে
ধরার
জন্য
তার
পিছু
নিল।
তিনি
বলেন
তারা
অক্ষম
হলে
আমি
সেটিকে
ধরে
ফেলি।
আনাস
ইবন
মালিক
তখন
তার
যৌবনে
পা
দিয়েছেন
মাত্র।
তিনি
সেটিকে
ধরে
তার
মায়ের
স্বামী
আবু
তালহার
নিকট
নিয়ে
গেলে
তিনি
তা
জবেহ
করে
দেন
এবং
তা
থেকে
নিতম্ব
রাসূলের
জন্য
হাদিয়া
দেন।
তিনি
তা
গ্রহণ
করলেন
এবং
হতে
পারে
তিনি
তা
থেকে
খেলেন।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2958 |
|
Hadith 26 الحديث
الأهمية: أَنَّ رَسُولَ الله -صلى الله عليه
وسلم- سَمِعَ جَلَبَةَ خَصْمٍ بِبَابِ حُجْرَتِهِ
থিম:
একদিন
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তাঁর
ঘরের
দরজায়
বাদী-বিবাদীর
তর্কাতর্কি
শুনতে
পেলেন। |
عن أُمُّ سَلَمَة -رضي الله عنها- أن
رسول الله -صلى الله عليه وسلم- سَمِعَ جَلَبَةَ خَصْمٍ بِبَابِ
حُجْرَتِهِ، فَخَرَجَ إلَيْهِمْ، فقال: �ألا إنما أنا بشر، وإنما يأتيني
الخصم، فلعل بعضكم أن يكون أبلغ من بعض؛ فَأَحْسِبُ أَنَّهُ صَادِقٌ؛
فَأَقْضِي لَهُ، فمن قضيت له بحق مسلم فإنما هي قطعة من نار،
فَلْيَحْمِلْهَا أَوْ يَذَرْهَا�.
উম্মু
সালামাহ
রাদিয়াল্লাহু
আনহা
থেকে
বর্ণিত:
একদিন
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তাঁর
ঘরের
দরজায়
বাদী-বিবাদীর
তর্কাতর্কি
শুনতে
পেয়ে
তাদের
নিকট
বেরিয়ে
আসলেন।
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বললেন,
মনে
রাখবে
আমি
তো
একজন
মানুষ।
আমার
কাছে (কোন
কোন
সময়)
ঝগড়াকারীরা
আসে।
তোমাদের
মধ্যে
কেউ
কেউ
অন্যের
চেয়ে
অধিক
বাকপটু।
তখন
আমি
মনে
করি
যে,
সে
সত্য
বলেছে।
তাই
আমি
তার
পক্ষে
রায়
দেই।
বিচারে
যদি
আমি
ভুলবশত
অন্য
কোন
মুসলমানের
হক
তাকে
দিয়ে
থাকি,
তবে
তা
দোযখের
টুকরা।
এখন
সে
তা
গ্রহণ
করুক
বা
ত্যাগ
করুক।
Hadith Explanation بيان الحديث
سمع النبي -صلى الله عليه وسلم- أصوات
خصوم مختلطة؛ لما بينهم من المنازعة والمشاجرة عند بابه، فخرج إليهم؛ ليقضي
بينهم، فقال:
إنما أنا
بشر مثلكم، لا أعلم الغيب، ولا أخبر ببواطن الأمور؛ لأعلم الصادق منكم من
الكاذب، وإنما يأتيني الخصم لأحكم بينهم، وحكمي مبني على ما أسمعه من حجج
الطرفين وبيِّناتهم وأيْمَانِهِم، فلعل بعضكم يكون أبلغ وأفصح وأبينَ من
بعض؛ فأحسب أنه صادق مُحِق؛ فأقضي له، مع أن الحق -في الباطن- بجانب خصمه،
فاعلموا أن حكمي في ظواهر الأمور لا بواطنها، فلن يحل حراما؛ ولذا فإن من
قضيت له بحق غيره وهو يعلم أنه مبطل، فإنما أقطع له قطعة من النار،
فليحملها إِن شاء، أو ليتركها، فعقاب ذلك راجع عليه، والله بالمرصاد
للظالمين.
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তার
দরজার
সামনে
দুই
পক্ষের
ঝগড়া
বিবাধের
বিক্ষিপ্ত
আওয়াজ
শুনতে
পেয়ে
তাদের
মধ্যে
মীমাংসা
করার
জন্য
ঘর
থেকে
বের
হয়ে
আসেন।
তারপর
তিনি
বলেন,
আমি
তোমাদের
মতোই
মানুষ।
আমি
গায়েব
জানি
না
এবং
আমি
গোপন
বিষয়ের
সংবাদ
দিই
না
যাতে
তোমাদের
মধ্যে
কে
সত্যবাদী
আর
কে
মিথ্যাবাদী
তা
তোমাদের
জানাবো।
আমার
কাছে
বাদী-বিবাদী
আসে
যাতে
আমি
তাদের
মধ্যে
ফায়সালা
করি।
আর
আমার
ফায়সালা
উভয়
পক্ষ
থেকে
যে
দলীল,
প্রমাণাদি
ও
সপথ
শুনি
তার
ভিত্তিতে।
হতে
পারে
তাদের
মধ্যে
কেউ
অধিক
পন্ডিত,
সাহিত্যিক
ও
স্পষ্টবাদী।
ফলে
আমি
মনে
করি
যে
সে
সত্যবাদী,
তখন
আমি
তার
পক্ষে
ফায়সালা
দিয়ে
থাকি।
হতে
পারে
ভিতরের
সত্য
তার
প্রতিপক্ষের
জন্য।
আর
মনে
রাখবে
আমার
ফায়সালা
বাহ্যিক
দিক
বিবেচনায়
গোপনীয়তার
বিবেচনায়
নয়।
যার
ফলে
কোন
হারাম
হালাল
হয়ে
যায়
না।
এ
কারণেই
যদি
আমি
কারো
জন্য
অপরের
হকের
ফায়সালা
করে
দেই
অথচ
সে
জানে
যে
সে
অন্যায়কারী,
তাহলে
মনে
রাখবে
আমি
তার
জন্য
জাহান্নামের
একটি
টুকরার
ফায়সালা
করলাম।
সে
যদি
চায়
তা
গ্রহণ
করুক
অথবা
ছেড়ে
যাক।
তার
শাস্তি
তার
ওপরই
বর্তাবে।
আল্লাহ
তা�আলাই
জালিমদের
থেকে
প্রতিশোধ
গ্রহণকারী।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2959 |
|
Hadith 27 الحديث
الأهمية: أَنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- نَهَى
عَنْ النَّذْرِ، وَقَالَ: إنَّ النَّذْرَ لا يَأْتِي بِخَيْرٍ، وَإِنَّمَا
يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنْ الْبَخِيلِ
থিম:
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
মানত
করতে
নিষেধ
করেছেন
এবং
বলেছেন
মানত
কোনো
কল্যাণ
নিয়ে
আসে
না,
তবে
তা
দ্বারা
কৃপণ
থেকে
বের
করা
হয়
মাত্র। |
عن ابن عمر -رضي الله عنهما- عن النبي
-صلى الله عليه وسلم- �أنه نهى عن النذر، وقال: إنّ النَّذْرَ لا يأتي
بخير، وإنما يُسْتَخْرَجُ به من البخيل�.
ইবন
উমার
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
থেকে
বর্ণনা
করেন, �তিনি
মানত
করতে
নিষেধ
করেছেন
এবং
বলেছেন
মানত
কোনো
কল্যাণ
নিয়ে
আসে
না,
তবে
তা
দ্বারা
কৃপণ
থেকে
বের
করা
হয়
মাত্র�।
Hadith Explanation بيان الحديث
نهى النبي -صلى الله عليه وسلم- عن
النذر، وعلل نهيه بأنه لا يأتي بخير؛ وذلك لما يترتب عليه من إيجاب الإنسان
على نفسه شيئًا هو في سعة منه، فيخشى أن يقصر في أدائه، فيتعرض للإثم، ولما
فيه من إرادة المعاوضة مع الله -تعالى- في التزام العبادة معلقة على حصول
المطلوب، أو زوال المكروه.
وربما ظن
-والعياذ بالله- أن الله -تعالى- أجاب طلبه؛ ليقوم بعبادته.
لهذه
الأسباب وغيرها، نهى عنه النبي -صلى الله عليه وسلم-؛ إيثارا للسلامة،
وطمعا في جود الله -تعالى- بلا مقابل ولا شرط، وإنما بالرجاء والدعاء.
وليس في
النذر فائدة، إلا أنه يستخرج به من البخيل، الذي لا يقوم إلا بما وجب عليه
فعله وتحتم عليه أداؤه، فيأتي به مكرها، متثاقلا، فارغا من أساس العمل، وهي
النية الصالحة، والرغبة فيما عند الله -تعالى-.
থিম:
নবী
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
মানত
করতে
নিষেধ
করেছেন।
তিনি
নিষেধাজ্ঞার
কারণ
ব্যাখ্যা
করে
বলেছেন
যে,
মানত
কোনো
কল্যাণ
নিয়ে
আসে
না।
কেননা
মানুষ
মানত
করতে
গিয়ে
নিজের
ওপর
এমন
সব
জিনিস
অত্যাবশ্যকীয়
করে
নেয়
যা
পালন
করার
ব্যাপারে
সে
স্বাধীন
ছিল,
অতএব
ওয়াজিব
করে
নেওয়ার
ফলে
তাতে
ত্রুটি
হওয়ার
আশঙ্কা
রয়েছে,
যে
কারণে
সে
গুনাহের
সম্মুখীন
হবে।
তাছাড়াও
পছন্দনীয়
জিনিস
লাভ
করতে
বা
অপছন্দনীয়
জিনিস
থেকে
পরিত্রাণ
পেতে
ইবাদত
আবশ্যক
করে
আল্লাহর
সাথে
একটি
বিনিময়
করা।
হয়ত
সে
ভাববে
যে, -আল্লাহর
কাছে
আশ্রয়
প্রার্থনা
করছি-
তার
ইবাদতের
কারণে
আল্লাহ
তার
ইচ্ছাপূরণ
করেছে।
উপরোক্ত
ও
আরো
অন্যান্য
কারণে
নবী
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
মানত
করতে
নিষেধ
করেছেন,
যাতে
ব্যক্তি
গুনাহ
থেকে
নিরাপদে
থাকে
এবং
কোন
প্রতিদান
ও
শর্ত
ব্যতীরেকে
শুধু
প্রত্যাশা
ও
দু�আর
দ্বারা
আল্লাহর
অনুগ্রহ
পাওয়ার
প্রত্যাশা
করে।
তবে
মানতের
দ্বারা
কৃপণ
হতে
কিছু
বের
করা
হয়,
যে
কৃপণ
নিজের
ওপর
অত্যাবশ্যক
ও
জরুরি
হওয়া
ব্যতীরেকে
কিছু
দান
করে
না।
ফলে
সে
কষ্টকর
ও
ভারী
হলেও
মানত
আদায়
করে
আমলের
মূল
ভিত্তি
নেক
নিয়ত
ও
আল্লাহর
অনুগ্রহের
দৃঢ়
প্রত্যাশা
ছাড়াই।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 2960 |
|
Hadith 28 الحديث
الأهمية: إنِّي وَالله- إنْ شَاءَ الله- لا
أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ، فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْراً مِنْهَا إلاَّ أَتَيْتُ
الَّذِي هُوَ خَيْرٌ، وَتَحَلَّلْتُهَا
থিম:
আল্লাহর
শপথ!
ইন
শাআল্লাহ,
আমি
যখনই
কিছুর
ব্যাপারে
হলফ
করব,
তারপর
তার
চেয়ে
উত্তম
কিছু
দেখতে
পাব,
তখন
আমার
কসম
ভঙ্গের
কাফ্ফারা
দিয়ে
যেটি
উত্তম
সেটিই
করব। |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|